মেদিনীপুর: পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসচিবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল ন্যাশনাল এসসি কমিশন। সোমবার মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে গিয়ে একথা বলেন কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে নতুন ঘটনা ঘটতে চলেছে। স্বাস্থ্য সচিবকে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট পাঠাতে হচ্ছে। কারণ তিনি সমনকেও অবহেলা করেছেন।” প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে সজল বিশ্বাস নামে এক চিকিৎসক বিজেপির প্রতীকে গাইঘাটা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এর জন্য হেলথ সার্ভিসের চিকিৎসক পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। চাকরি ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় প্রক্রিয়া শুরু হয়। বন্ধ হয়ে যায় চিকিৎসকের বেতন। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল, হাইকোর্টের পাশাপাশি ন্যাশনাল এসসি কমিশনের দ্বারস্থ হন সজল। কমিশন চিকিৎসকের পক্ষে নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ না মানায় জারি হল গ্রেফতারি পরোয়ানা। স্বাস্থ্যসচিবের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবে বলে সোমবারই জানিয়েছেন কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান। ইতিমধ্যেই সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়।
সোমবার মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার পরিদর্শন করতে যান কমিশনের শীর্ষ কর্তা অরুণ হালদার। কথা বলেন বন্দিদের সঙ্গে। কথা বলেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও। পরিদর্শন শেষে রাজ্যের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন কমিশনের এই শীর্ষ কর্তা। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের তরফে তদন্তে কোনও সহযোগিতা করা হচ্ছে না। অভিযোগকারীরা কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানোর পরেই তাঁদের বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করা হচ্ছে। কখনও পুলিশ বা কখনও রাজনৈতিক চাপের কাছে বয়ান বদলাতে হচ্ছে অভিযুক্তদের। ফলে বিচারই পাচ্ছেন না অভিযোগকারীরা। কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার পরিদর্শনে গিয়ে বলেন জাতীয় এসসি কমিশনের শীর্ষ কর্তা।