কেশপুর: চন্দ্রকোনার ঝাঁকরায় কিছুদিন আগেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভা ঘিরে চূড়ান্ত নাটকীয়তা তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আদালতের নির্দেশে ঝাঁকড়ায় সভা করতে পেরেছেন শুভেন্দু। আর এবার বঙ্গ বিজেপির অপর হেভিওয়েটের সভা ঘিরেই তৈরি নাটকীয় পরিস্থিতি। এবার বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) সভা। আগামিকাল, মঙ্গলবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে একটি পথসভা রয়েছে বিজেপির। সেই সভায় বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে সুকান্ত মজুমদারের। বিজেপির অন্দরে সেই সভার প্রস্তুতিও প্রায় শেষ পর্বে। কিন্তু এরই মধ্যে সভার ২৪ ঘণ্টা আগে সভাস্থল নিয়ে আপত্তি জানাল পুলিশ।
উল্লেখ্য, আগামিকাল দুপুর কেশপুরের বিশ্বনাথপুর বাজার এলাকায় একটি পথসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়ার কথা রয়েছে সুকান্ত মজুমদারের। কিন্তু সভাস্থলে নিয়ে আপত্তি পুলিশের। কেশপুর থানার থেকে বিজেপির কেশপুর দক্ষিণ মণ্ডল সভাপতিকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠিতে পুলিশ জানিয়েছে, সভার অনুমতি চেয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছে। ওই জায়গায় সভা করা নিয়ে দুটি পৃথক আপত্তির কথা পুলিশের কাছে এসেছে। পরে আরও একটি আপত্তি পুলিশের কাছে আসে গ্রাম কমিটির তরফে। সেই কারণে আগামিকাল ওই জায়গায় সভা করতে নিষেধ করা হয়েছে পুলিশের তরফে।
এই পুলিশি আপত্তির বিষয়ে বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস জানান, ‘বিশ্বনাথপুরের গ্রাম কমিটি ও বাজার কমিটি আমাদের লিখিত অনুমতি দিয়েছিল। পুলিশ তাদের বাড়িতে গিয়ে ধমক দিয়েছে এবং ওরা যাতে অনুমতি ফিরিয়ে নেয়, সেই জন্য চাপ তৈরি করে। পুলিশের আপত্তি জানিয়ে চিঠি আমাদের কাছে এখনও আসেনি, সংবাদমাধ্যমের থেকে জেনেছি। কিন্তু আমরা আমাদের কর্মসূচি করবই এবং এর জন্য হাইকোর্টে যেতে হলে তাও যাব।’
অন্যদিকে তৃণমূল ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আশিস হুদাইত জানাচ্ছেন, ‘আমি ঘটনাটির কথা এখনও জানি না। তবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখার দায়িত্ব পুলিশের। আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশ্বাসী। এখানে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই।’