মেদিনীপুর: দক্ষিণবঙ্গে তীব্র দহনজ্বালা। এরমধ্যে হাসপাতালে রোগীর চাপ। অথচ নেই পাখা। গরমে অসুস্থ মানুষগুলোর যেন প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার জোগাড়। চন্দ্রকোনার ক্ষীরপাই (Khirpai) গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এমনই করুণ দশা, হাসপাতালের দেওয়ালে কারা যেন পোস্টার সাঁটিয়েছে, ‘রোগী ভর্তি করিতে আসিলে সঙ্গে করে পাখা বা ফ্যান আনিবেন।’ এমন পোস্টার ঘিরে রীতিমতো আলোচনা চারদিকে। তবে কারা এই পোস্টার লাগাল, তা জানে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তীব্র দাবদাহের মাঝে হাসপাতালের বেহাল ছবির অভিযোগ উঠল এবার। অভিযোগ, একটা পাখাও নেই গ্রামীণ হাসপাতালে। পাখা না থাকার কারণেই গরমে ঘেমে নেয়ে অস্থির হয়ে উঠছেন রোগীরা। আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তাঁরা। বাড়ি থেকে পাখা এনে কাজ চালাতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ রোগীদের পরিবারের। মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের ক্ষীরপাই হাসপাতালের এই ছবি ঘিরে শোরগোল।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, পাখা যে একেবারে নেই, এমনটা নয়। তবে বেডের সঙ্গে তুলনা করলে অপ্রতুল। একটি সিলিং ফ্যানে পাঁচটি বেডের রোগীকে জ্বালা জুড়াতে হয়। ফলে এই গরমে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। নাজেহাল রোগীরা।
যদিও এ বিষয়ে হাসপাতালের বিএমওএইচ নিরঞ্জন কুতি বলেন, খুব তাড়াতাড়ি পাখার ব্যবস্থা করছেন তাঁরা। বিএমওএইচের বক্তব্য, “প্রথম থেকে হাসপাতালে যতগুলি পাখা ছিল, ততগুলোই আছে। ১২টা পাখা, সব পাখাই ঘুরছে। আমরা চেষ্টা করছি কিছু ওয়াল ফ্যান লাগানোর। আলাদা লাইন করে ব্যবস্থা করে দেব।” তবে পোস্টার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি জানি না কারা পোস্টার দিয়েছে। নানা লোকই আসে।”
অন্যদিকে চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, “বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পাইনি। আমি খবর নিয়ে দেখছি। বিএমওএইচকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যাতে রোগীদের কোনও অসুবিধা না হয়। যেহেতু খুবই গরম পড়েছে, তাই দ্রুত পাখার ব্যবস্থা করার জন্য বলা হচ্ছে।”