সামনে বিষধর সাপ, বাচ্চা কোলে সারারাত কোমর জলে দাঁড়িয়ে মা! ১২ ঘণ্টা পর তৎপর প্রশাসন

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Jul 31, 2021 | 3:52 PM

Flood: রাজনগরে জলের মধ্যে আটকে থাকা এক পরিবারের মহিলা সদস্যরা জানালেন, রাতে ক্রমশ জল বেড়ে বাড়ি ডুবে যায়। সারাটা রাত ছোট্ট শিশুকে নিয়ে কোমর সমান জলের মধ্যেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। বাড়িতে ঘুরছিল বিষধর সাপও! অবস্থার কথা বলতে বতে কেঁদে ফেলেন মহিলারা।

সামনে বিষধর সাপ, বাচ্চা কোলে সারারাত কোমর জলে দাঁড়িয়ে মা! ১২ ঘণ্টা পর তৎপর প্রশাসন
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

পশ্চিম মেদিনীপুর: নিম্নচাপের প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে নদীর জল ঢুকে পড়েছিল গ্রামে। কিন্তু কোথাও যাওয়ার সুযোগই পাননি গ্রামবাসীরা। শুক্রবার রাত কেউ কোমরজল তো কেউ বুকসমান জলে দাঁড়িয়ে রাত কাটিয়েছেন। কারও বা কোলে দুধের শিশু। অবশেষে প্রশাসনিক তৎপরতায় উদ্ধার হলেন তাঁরা। পাড়ে উঠে কেঁদে ফেললেন বাসিন্দারা।

শুক্রবার বিকাল গড়াতেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের রাজনগর, সামাট, হোসেনপুর, রামগড় এবং রামদেবপুর গ্রামে। রাত যত বেড়েছে ততই বেড়েছে নদীর জল। নদীর জল ঢুকে কয়েক ঘন্টায় প্লাবিত হয়ে যায় এই গ্রামগুলি। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন বাড়ির মধ্যেই কেউ কোমর, কেউবা গলা সমান জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে রাত কাটিয়েছেন! অবশেষে শনিবার ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী দাসপুর পুলিশের ওসি অমিত মুখোপাধ্যাকে সাথে নিয়ে জল মগ্ন গ্রাম গুলি থেকে দুর্গত মানুষদের উদ্ধারে নামেন। নামানো হয় রাজ্য পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত উদ্ধারকারী গ্রুপ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ বা DMG কে। তার পর উদ্ধার হন গ্রামবাসীরা।

উদ্ধারের পর রাজনগরে জলের মধ্যে আটকে থাকা এক পরিবারের মহিলা সদস্যরা জানালেন, রাতে ক্রমশ জল বেড়ে বাড়ি ডুবে যায়। সারাটা রাত ছোট্ট শিশুকে নিয়ে কোমর সমান জলের মধ্যেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। বাড়িতে ঘুরছিল বিষধর সাপও! অবস্থার কথা বলতে বতে কেঁদে ফেলেন মহিলারা।

শনিবার দাসপুর পুলিশের তরফে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অরুন দোলই জানান, জলে এলাকার বহু পরিবার আটকে রয়েছে। তাঁদের উদ্ধার করে রাজনগর ইউনিয়ন হাইস্কুলে রাখা হচ্ছে। জলের চাপ ক্রমশ বাড়ছে। অন্যদিকে এলাকার কংসাবতী ও শিলবতীর দাসপুর বাজারের দিকের বাঁধের হাল খুব একটা ভাল ঠেকছে না। একাধিক জায়গায় ছোটো বড়ো ধ্বস আছে। এই অবস্থায় আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর।

প্রসঙ্গত, নিম্নচাপের দাপটে বঙ্গে অতিসক্রিয় বর্ষা। বুধবার থেকে রাতভর দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়েছে কলকাতার বেশ কিছু এলাকা। অতিভারী বৃষ্টি হয়েছে দুই মেদিনীপুরেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয় রয়েছে বঙ্গোপসাগরের উপরে। সেই কারণেই আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। প্রধানত মেঘলা আকাশ থাকবে। কোথাও কোথাও বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার হয়ে বৃষ্টিরও পূর্বাভাস রয়েছে। আরও পড়ুন: দরজায় কড়া নেড়ে ‘হারানো’ স্ত্রী-পুত্রকে দিয়ে গেল ‘দুয়ারে পুলিশ’, অশ্রুসিক্ত প্রতিবন্ধী স্বামী 

Next Article