Debra: অর্ধনগ্ন হয়ে জাতীয় সড়কের উপর বিক্ষোভ NSQF- এর কর্মহারা শিক্ষকদের!

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Dec 19, 2021 | 9:33 PM

Agitation: "নগ্ন অবস্থায় আমরা আজ রাজ্য সরকারের দিকে তাকিয়ে আছি। কারিগরি মন্ত্রী বড় বড় কথা বলেছিলেন ভোটের আগে। মন্ত্রী হওয়ার পর এমন শুরু হয়েছে। এখন উনি বলছেন আমাদের কোয়ালিফিকেশন নেই।''

Debra: অর্ধনগ্ন হয়ে জাতীয় সড়কের উপর বিক্ষোভ NSQF- এর কর্মহারা শিক্ষকদের!
জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ছাঁটাই হওয়া এনএসকিউএফ কর্মীদের। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

পশ্চিম মেদিনীপুর: কাজ ফিরে পাওয়ার দাবিতে পথ অবরোধ ডেবরায় (Debra)। রবিবার বিকালে ডেবরা টোল প্লাজার সামনে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে পথ অবরোধ করেন এনসিকিউএফ (NSQF) কর্মীরা। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকার এজেন্সি দিয়ে কর্মীদের নিয়োগ করার ফলে ৩২০ জন কর্মী আচমকা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাই পরিবার নিয়ে বিপদে পড়েছেন তাঁরা। কাজ ফিরে দাবীতে রবিবার বিকেল ৩ টা নাগাদ ডেবরা টোল প্লাজা সংলগ্ন ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর খালি গায়ে প্রতিবাদ শুরু করেন তাঁরা। দীর্ঘ সময় জাতীয় সড়ক অবরোধ হয়ে যায়। পরে ডেবরা থানার পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয়।

বিদ্যালয়ে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠন পাঠন শুরু হলেও যাঁরা সরকারি বিদ্যালয়ে যাঁরা এনএসকিউএফ বৃত্তিমূলক বিষয়ে শিক্ষকতা করতেন তাঁদের স্কুল খোলার দিন থেকেই ছাঁটাই করছে রাজ্য সরকার। এমনই অভিযোগ তাঁদের। এই শিক্ষকেরা সিলেবাসে থাকা বৃত্তিমূলক বিষয়ের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের অনলাইনের যাবতীয় কাজ করে থাকেন। যেমন, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, বাংলার শিক্ষা ই-পোর্টালের কাজ, পেনশনের কাজ ইত্যাদি। এঁরা লকডাউনে অনলাইন ক্লাস পর্যন্ত চালিয়ে গিয়েছেন সরকারের নির্দেশ অনুসারে। তাঁরাই আচমকা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

প্রসঙ্গত, এই শিক্ষকেরা ২০১৩ সাল থেকে শিক্ষকতা করলেও কোনও স্বীকৃতি রাজ্য সরকার তাঁদের দেয়নি বলে অভিযোগ। রাজ্যে প্রায় ২ হাজার এনএসকিউএফ শিক্ষক ও ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট এই বৃত্তিমূলক শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত আছেন। তাঁদের দাবি, বেসরকারিকরণ মুক্ত করে সরাসরি সরকারিভাবে তাঁদের কাজে আবার পুনর্বহাল করা এবং ৬০ বছরের কাজের নিশ্চয়তা প্রদান করা। NSQF- এই কর্মীদের বক্তব্য, মানবিক সরকার অমানবিক রূপ দেখাচ্ছেন।

সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষক ছাঁটাই থেকে বিদ্যালয়গুলিকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছেন, এতে হাতে কলমে শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীদের ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে ভবিষ্যৎ, এমন অভিযোগ তাঁদের। এক বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, “আমরা আজ রাজ্য সরকারের দিকে তাকিয়ে আছি। কারিগরি মন্ত্রী বড় বড় কথা বলেছিলেন ভোটের আগে। মন্ত্রী হওয়ার পর এমন শুরু হয়েছে। এখন উনি বলছেন আমাদের কোয়ালিফিকেশন নেই। ল্যাব কর্মীদের মধ্যে অনেক এমটেক, পিএইচি, ডক্টরেট হোল্ডার আছেন আমাদের মধ্যে। ওঁনার জানা নেই।”

এদিকে এ নিয়ে কারিগরি শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী হুমায়ূন কবীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর প্রতিক্রিয়া, রাজ্য সরকারের কিছু করার নেই এখানে। কেন্দ্রের মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছিল এই কর্মীদের। এবং নিয়োগ করা হয় এজেন্সির মাধ্যমে। তাঁরা রাজ্য সরকারের কর্মী নন। তবে এখনও ১, ২৫০ জন কর্মী কাজ করছেন রাজ্যে। কিন্তু এই কাজ হারানো কর্মীদের জন্য রাজ্যের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হবে? মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, এখন ওই কর্মীরা যে ‘নোংরামি’ করছেন, তাতে কতটা কী করা যাবে বলতে পারছেন না তিনি।

আরও পড়ুন: Kolkata municipal corporation election 2021: ‘নাটক করছে, ইগনোর করুন’, পুলিশকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে বিজেপির অভিযোগ ওড়ালেন মমতা 

Next Article