দাসপুর: এই বছর মাধ্যমিক দিত বছর পনেরোর ছেলেটা। তামার কাজ মা-বাবাকে দেখত সে। তার একার রোজগারেই চলত সংসার। তবে একটা দমকা হওয়া যেন বদলে দিল সবটা। সাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে মারুতির চার চাকা কেড়ে নিল ছেলেটার প্রাণ। অকাতরে শেষ কিশোর।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের নাড়াজোল ভীম তলায়। জানা গিয়েছে, দাসপুর থানার কিসমত নাড়াজোলে মেটাসোরা গ্রামের দাসপাড়ার বাসিন্দা দীপ্তি দাস। এই বছরই মাধ্যমিক দেওয়ার কথা ছিল। দীপ্তির বাবা ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না। মায়ের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তামার কাজ করেই সংসার চলাত কিশোর। শুক্রবার সন্ধ্যে নাগাদ খেলার মাঠ থেকে মেদিনীপুর সড়ক ধরে সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিল সে।
সেই সময় একটি মারুতি দ্রুত গতিতে লরিকে ওভারটেক করতে যায়। তখনই নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে ধাক্কা মারে সাইকেল। উল্টে পড়ে যায় কিশোর। দীর্ঘক্ষণ রাস্তাতেই পড়ে থাকে সে। পরে এলাকাবাসীর নজরে এলে নাড়াজোল গ্রামীন হাসপাতাল এবং রাতেই ওড়িশা এইমসে পাঠানো হয়।কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
পাড়ার তরতাজা ছেলেটার পরিণতির জেরে এ দিন রাজ্য সড়কে প্রতিবাদ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ। তাঁদের দাবি, রাস্তায় বাম্পার তৈরি করতে হবে। সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা করতে হবে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দাসপুর থানার পুলিশ। প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।