দাসপুর: দুর্ঘটনা কমাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ উদ্যোগ। চালক যাতে মদ্যপ অবস্থায় না থাকেন তা পরীক্ষা করতে ব্রিথ এনলাইজারের ব্যবহার করা হবে। বলা বাহুল্য কলকাতায় এর ব্যবহার আগেই শুরু হয়েছে। এবার থেকে জেলাতেও চালু হল।
ঘাটাল পাঁশকুড়া সড়কে নিত্যদিন দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাই এবার দাসপুর (Daspur) পুলিশের বিশেষ উদ্যোগে ঘাটাল পাঁশকুড়া সড়কে লাগাতার চেকিং শুরু হয়েছে। আনা হয়েছে বিশেষ ব্রিথ অ্যানালাইজার যন্ত্র। এই যন্ত্রে ফুঁ দিলেই চালক মদ্যপ কি না তা সঙ্গে-সঙ্গে যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ধরা পড়ে যাবে।
শনিবার বড়দিনের রাত থেকে এই বিশেষ চেকিং শুরু হয়েছে। দাসপুর পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ড্রিঙ্ক অ্যান্ড ড্রাইভ যাচাইয়ের জন্য বিশেষ অভিযান চলছে ঘাটাল পাঁশকুড়া সড়কের সুলতাননগরে। সড়কের যানবাহনগুলির চালকদের এই বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরীক্ষায় শ্বাস বায়ুর মধ্যে অ্যালকোহলের মাত্রা ৪০ ছাড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
অন্যদিকে, দাসপুর পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন সড়কের চালকরাও। উল্লেখ্য ফি বছর এই বড়দিনের দিন ও রাতে মদ্যপ অবস্থায় চালকের ভুলে বহু দুর্ঘটনা ঘটে। আর বিশেষ করে আজ দাসপুর পুলিশের এই বিশেষ অভিযান সেই দুর্ঘটনায় কিছুটা হলেও লাগাম দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, উৎসবের মেজাজের মধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটেছে। পরপর তিনটি বাড়িতে চুরির ঘটনা প্রকাশ্য়ে এসেছে। যার কারণে এলাকায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনা দাসপুর থানার বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীধরপুর গ্রামের। ওই তিন বাড়ির মালিক স্বদেশ মণ্ডল, স্বপন মণ্ডল ও চন্দন মণ্ডল।এঁদের প্রত্যেকের বক্তব্য, গত রাতে ওই তিনটি বাড়িতেই কোনও লোকজন ছিলেন না। সেই সুযোগেই এই চুরির ঘটনা ঘটে। আজ সকাল হতেই আশপাশের লোকজন দেখেন বাড়ির দরজার লকগুলি ভাঙা। সন্দেহ হতেই বাড়ির মালিকদের ফোনে খবর দিলে তারা বাড়ি ফিরে এসে দেখেন বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড খোয়া গিয়েছে নগদ টাকা ও গহনা। তবে মোট চুরির পরিমাণ এখনও জানা যাচ্ছে না। এমনকী ওই এলাকার প্রাচীণ তিনশ বছরের এক মন্দিরেরও তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছে। দাসপুর থানার পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছে, পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।