মেদিনীপুর: গত সপ্তাহেই জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন নেতাইকাণ্ডের (Netai) অন্যতম দুই অভিযুক্ত ডালিম পাণ্ডে ও তপন দে। সোমবার জামিন পেলেন আরেক অভিযুক্ত অনুজ পাণ্ডে। গত ৩১ জানুয়ারি নেতাই গণহত্যার মূল তিন অভিযুক্তকে জামিন দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তিনজনই ছিলেন মেদিনীপুর সংশোধনাগারে। হাইকোর্টের নির্দেশমতো তাঁদের ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২ ফেব্রুয়ারি ডালিম ও তপন জামিন পান। তবে জামিনসংক্রান্ত কাগজপত্র তখনও আসেনি অনুজের। তাই তিনি ছাড়া পাননি। সোমবার ছাড়া পেলেন। তবে ডালিম পাণ্ডে বা তপন দের মতো তাঁকে বীরের সম্মানে সংশোধনাগার থেকে নিয়ে যাওয়া হয়নি। বরং সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে কার্যত দৌড়ে গাড়িতে গিয়ে উঠে পড়লেন।
মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে সোমবার সন্ধ্যায় জামিনে ছাড়া পান অনুজ পাণ্ডে। দলের কর্মী, সমর্থক এবং নেতৃত্ব এদিন তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির হয়েছিলেন মেদিনীপুর সংশোধনাগারের সামনে। কিন্তু সংশোধনাগার থেকে বেরিয়েই একরকম ছুটে গাড়িতে উঠে পড়েন অনুজ। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িও স্টার্ট নিয়ে নেয়। এদিকে সংবাদ মাধ্যমের উপর এদিন কিছুটা বিরক্তিই প্রকাশ করেন স্থানীয় বাম কর্মী, সমর্থকরা। এক বামকর্মী বলেন, “কী হয়েছিল সবই তো জানেন। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। আমাদের কমরেডকে আমরা নিয়ে গেলাম। রাত হয়ে গিয়েছে। অনেক রাস্তা যেতে হবে।”
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি। ঝাড়গ্রাম মহকুমার বিনপুর-১ ব্লকের লালগড় গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার নেতাই গ্রামে গ্রামবাসীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল সেদিন। সেই ঘটনায় প্রাণ হারান ৯ জন। এক যুগ পার করে সে মামলা চলছে। প্রথমে তদন্তভার সিআইডির হাতে গেলেও পরে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। ২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল অভিযুক্ত ডালিম-সহ পাঁচজনকে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্ত চলে। তিনজন মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগরে বন্দি ছিলেন। অবশেষে জামিন পেলেন তাঁরা। তবে ডালিম, তপন জামিনের দিন তাঁদের রীতিমতো গলায় ফুলের মালা পরিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এদিন সে ছবি দেখা যায়নি।