পশ্চিম মেদিনীপুর: স্বামী কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন। বছর বাইশের যুবকের সঙ্গে ফোনে পরিচয় হয়েছিল। তারপর ,সম্পর্কের রঙ নেয় অন্য। পরিবার সে কথা জেনে যায়। শুক্রবার রাতে হাতেনাতে দু’জনকে অশালীন অবস্থায় ধরে ফেলেন পরিবারের সদস্যরা। প্রেমিকা বিয়ে করতে রাজি থাকলেও, রাজি ছিলেন না প্রেমিক। অবশেষে গ্রামবাসীরা দু’জনকেই গ্রাম থেকে বার করে দেন।
দাসপুর থানার কুল্টিকরি গ্রামের দোলই পরিবারের গৃহবধূ বছর তিরিশের শেফালি দোলুইয়ের স্বামী বকু কলকাতায় মিষ্টির দোকানে কাজ করেন। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে।
দাসপুর থানার মাগুরিয়ার বাসিন্দা শুভ মণ্ডল কর্নাটকের ব্যাঙ্গালোরে সোনার কাজ করেন। প্রায় পাঁচ মাস ধরে ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন গৃহবধূ। তবে প্রতিবেশী ও গৃহবধূর বাড়ির লোকের দাবি. অনেকদিন ধরেই ওই ছেলের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন গৃহবধূ।
ওই গৃহবধূর দেওরের একটি ভাড়াবাড়িতে থাকেন। শুক্রবার স্ত্রীকে নিয়ে বাইরে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওই বাড়ির চাবি নিয়ে প্রেমিককে নিয়ে ঘরে ঢুকেছিলেন শেফালি। এদিকে, ঘণ্টা দুয়েক বাড়ির বউকে না দেখে সন্দেহ হয় শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের। তাঁরা খোঁজ শুরু করেন। তখনি শেফালি ও তাঁর প্রেমিককে তাঁরা ধরে ফেলেন।
গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়েন শুভ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ওই গৃহবধূ শ্বশুর বাড়ির লোকের বক্তব্য, কোনমতেই তাঁকে তাঁরা আর বাড়িতে ঢুকতে দেবেন না। তাঁর স্বামীও ফোনে একথা জানিয়েছেন। ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ি উদয়চকে। জানা গিয়েছে, শেষমেশ রাত১১টা নাগাদ গ্রামবাসীরা মুচলেখা লিখিয়ে দুজনকে গ্রাম থেকে বের করে দেন। অন্তত এমনটাই অভিযোগ উঠছে। তবে শেফালি তাঁর প্রেমিককে বিয়ে করতে রাজি হলেও, শুভর বক্তব্য তাঁদের দুজনের মধ্যে ভাই বোনের সম্পর্ক!