Paschim Medinipur School: স্কুলের বারান্দায় মদের বোতল, সিগারেট-গাঁজা, রোজ সাফাই করেন ‘হেড স্যার’-সহ শিক্ষকরাই

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 12, 2022 | 12:32 PM

Paschim Medinipur School: এহেন কার্যকলাপ কেউ প্রতিবাদ করতে এলে তার রক্ষা নেই বলেও অভিযোগ গ্রামবাসীদের। ফল ভুগতে হবে বলে হুমকি দেওয়া বলে অভিযোগ।

Paschim Medinipur School: স্কুলের বারান্দায় মদের বোতল, সিগারেট-গাঁজা, রোজ সাফাই করেন হেড স্যার-সহ শিক্ষকরাই
দাসপুর স্কুলে মদের বোতল, সিগারেট-গুটকার প্যাকেট ঝাঁট দিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক

Follow Us

পশ্চিম মেদিনীপুর: স্কুল চত্বরে দুষ্কৃতীদের আড্ডা! চলছে দেদার মদ্যপান, নেশা করে বেহুঁশ করে পড়ে থাকছেন স্কুলের বারান্দাতেই। স্কুল চত্বরকে দুষ্কর্মের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে বসেছে এলাকার দুষ্কৃতীরা। স্কুল জুড়ে পড়ে মদের বোতল, গ্লাস, সিগারেট-বিড়ির প্যাকেট। প্রতিবাদ করলেই কপালে জুটছে হুমকি। দুষ্কৃতীদের দাদাগিরিতে অতিষ্ঠ স্কুলের শিক্ষকরা। সকাল সকাল স্কুলে এসে ঝাঁটা হাতে জঞ্জাল পরিষ্কার করাই এখন রোজের কাজ হয়ে পড়েছে শিক্ষিকদের। এমন ছবি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের
বৈকুন্ঠপুর মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।

ওই স্কুলে পৌঁছে প্রধান শিক্ষক-সহ অন্যান্য শিক্ষকদের প্রত্যেকদিনের কাজ ঝাঁটা হাতে মদের বোতল, গ্লাস, বিড়ির প্যাকেট, আদ খাওয়া বিড়ির টুকরো, গাঁজার ভাঙা কোলকে, গুটকার প্যাকেট ঝাঁট দিয়ে ফেলা। স্কুল চত্বরকে দুষ্কর্মের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে বসেছেন এলাকার কয়েকজন দুষ্কৃতী।

এহেন কার্যকলাপ কেউ প্রতিবাদ করতে এলে তার রক্ষা নেই বলেও অভিযোগ গ্রামবাসীদের। ফল ভুগতে হবে বলে হুমকি দেওয়া বলে অভিযোগ। প্রধান শিক্ষকের দাবি, “বারবার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তেমনভাবে কোনও লাভই হয়নি। দুষ্কৃতীরা আরও বেশি বুক ফুলিয়ে ঘুরছে। স্কুলের পরিবেশ বলে আর কিছু নেই।” ছুটি কাটিয়ে স্কুল খুললেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি কিছুই। এমনই চিত্র দাসপুরের বৈকুন্ঠপুর মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে।

এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৮০। শিক্ষক ৪ জন। বর্তমানে স্কুলে আসে প্রতিনিয়ত ৮ থেকে ১০ জন পড়ুয়া। চরম সমস্যায় শিক্ষকরা। আর সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আক্ষেপের সুরে বলেন, “প্রতিদিন স্কুল খোলার পরেই দেখি কাচের বোতল ভাঙা পড়ে রয়েছে। স্কুল চত্বর থেকে শুরু করে খেলার মাঠ সর্বত্র একই অবস্থা। নিজেরাই সাফ করি, নাহলে ছোট ছোট বাচ্চাদের বিপদ হতে পারে যেকোনও সময়।” বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও আখেরে লাভ হয়নি কিছুই।

গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য-স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুকদেব দোলুই বলেন, “প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। পুলিশ মাঝেমধ্যে আসে। পুলিশ এলে ওরা পালিয়ে যায়। ফের একই সমস্যা হয়।” যদিও বিডিও এই ব্যাপারে কিছুই ক্যামেরার সামনে বলতে চাননি।

Next Article