পশ্চিম মেদিনীপুর: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে পরোয়া না করে রাতে লক্ষাধিক টাকার গাছ কাটার অভিযোগ বনদফতরের কর্মীদের বিরুদ্ধেই। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন ইস্ত্রিগঞ্জ এলাকায়। সাম্প্রতিক সময়ের একাধিক প্রশাসনিক বৈঠকে গাছ কাটার বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি দিনকয়েক আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এসে গাছ কাটলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যায় রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককেও।
তবে এর পরেও থোরাই কেয়ার। রাতের অন্ধকারে লক্ষাধিক টাকার গাছ কাটার অভিযোগ উঠল বনদফতরেপ কর্মীর বিরুদ্ধেই। গাছ কাটার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নিরঞ্জন হালদার।
গোটা বিষয় নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য। অভিযুক্ত বনকর্মী শম্ভু দাসের সাফাই, ‘ভুল হয়ে গিয়েছে’। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত শম্ভু দাস বনবিভাগের নাইটগার্ড হিসেবে কর্মরত। ঘটনায় বনদফতর কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই এখন দেখার। এই বনকর্মী একাই এই কাজ করতেন, নাকি এর সঙ্গে বনদফতরেরই আরও কেউ জড়িত রয়েছেন তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। মনে করা হচ্ছে, এই বনকর্মী আন্তঃরাজ্য কাঠ পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, “আগে এখানে একটা জায়গায় কেয়ারটেকারের কাজ করত শম্ভু। তারপর বন দফতরে পার্মানেন্ট চাকরি পান। কেয়ারটেকার হিসাবেই। এখানে দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করেছে। এখানে বহু মূল্যবান গাছ কেটে লক্ষ লক্ষ টাকার কাঠ বিক্রি করছে। মেহেগনি কাঠ বিক্রি হচ্ছে। আমরা খবর পেয়ে এসে আটকাই।” বনদফতর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অভিযোগ মিলেছে। তা খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।