মেদিনীপুর: বিক্ষোভে মুখর খড়গপুর আইআইটি। আইআইটির মেইন গেট বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ। অভিযোগ, খড়গপুর আইআইটির ভিতরে যাওয়ার যে মেইন গেট তা কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে। এদিকে এই খড়গপুর আইআইটি ক্যাম্পাসের ভিতর রয়েছে একাধিক স্কুল। কেন্দ্রীয় সরকারের স্কুলের পাশাপাশি রাজ্য পরিচালিত এমনকী বেসরকারি স্কুলও আছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই স্কুলগুলি চলছে। স্কুলের পড়ুয়ারা আইআইটির মেইন গেট দিয়েই স্কুলে ঢোকে। অনেক বাচ্চাও থাকে। তাদের সঙ্গে মা কিংবা বাবা আসেন। মূলত তাঁদেরই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। গেট বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে তারা। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। অভিযোগ, আইআইটির পড়ুয়ারা ঢুকতে গেলে তাঁদেরও বাধা দেওয়া হয়। যদিও এ নিয়ে আইআইটি কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করেনি।
৪টি বড় বড় স্কুল আছে আইআইটি ক্যাম্পাসের মধ্যে। যার মধ্যে দু’টি বেসরকারি, একটি কেন্দ্রীয় সরকারের, আরেকটি রাজ্য সরকারের। অভিযোগ, গত ১৩ নভেম্বর আইআইটি কর্তৃপক্ষ একটি নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেয়, আইআইটিতে ঢোকার যে মেইন গেট তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই গেট পুরী গেট নামে পরিচিত। এদিকে এই গেট বন্ধ থাকায় ঘুরপথে পড়ুয়াদের ঢুকতে হচ্ছে।
এখানে প্রবেশের আরেকটি গেটের নাম গ্যাস গোডাউন গেট। সেই গেট দিয়ে যাঁরা ঢুকছেন, তাঁদের অনেকটা ঘুরতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রায় ৪ কিলোমিটার ঘুরতে হচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সবথেকে বড় বিষয়, এই গেট দিয়ে ঢুকতে গেলে ব্যস্ততম বাইপাস হয়ে যেতে হবে। এদিকে সেখানে বড় বড় ট্রাক, ডাম্পার চলে। বড় কোনও বিপদ ঘটে গেলে তার দায়িত্ব কে নেবে বলে প্রশ্ন অভিভাবকদের? অভিভাবকদের অভিযোগ, আইআইটি কর্তৃপক্ষ একটা নোটিস দিয়েই হাত ঝেড়ে ফেলেছে। অথচ প্রায় ১২ হাজার পড়ুয়ার সেমেস্টার শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই এই নতুন জটিলতা পড়তে হচ্ছে।
এক অভিভাবক বলেন, “৫ বছর ধরে আমার বাচ্চা এখানে পড়ে। আজ হঠাৎ আইআইটির মনে হয়েছে এখানে নিরাপত্তা ব্যহত হচ্ছে। আমাদের অভিভাবকদের আটকে দিচ্ছে। আমরা তো যাই, বাচ্চা ছেড়ে চলে আসি। আর তো কিছু না।”