পশ্চিম মেদিনীপুর: শুক্রবার রথ। তাই সকলে ব্যস্ত তার প্রস্তুতিতে। ইতিমধ্যে ব্যস্ততা বেড়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যেও। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি ঘাটালেও প্রামাণিক পরিবার এখন ব্যস্ত রথ তৈরিতে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের প্রামাণিক পরিবার। সেখানেই তারা এখন ব্যস্ত রথ তৈরিতে। কয়েকদিন বাদেই রথযাত্রা, তাই রথ তৈরিতে ব্যস্ততা তুঙ্গে। পরিবারের ছেলে থেকে মহিলারাও সকলেই এখন রথ তৈরি করছেন।
দীর্ঘ দু’বছর লকডাউনে বন্ধ ছিল রথযাত্রার মেলা। তাই বিক্রি হয়নি রথ। ফলে প্রচুর আর্থিক সংকটে পড়েছিল এই পরিবারের সদস্যরা। তবে এই বছরটা আলাদা। করোনার গেরো কাটিয়ে এই বৎসর রথযাত্রা হবে অন্যান্য বছরের মতো স্বাভাবিক ছন্দে। তাই চরম তৎপরতা রথ তৈরির জন্য। শিল্পীদের দাবি অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর একটু বেশি রথ তৈরি করেছেন তাঁরা। শেষ মুহূর্তে এখন রথে চলছে রং দিয়ে নকশা করার কাজ। রথের মেলায় বসে এক-একটি রথ ৫০০, ৮০০, ১০০০, ১৫০০ টাকা দামে বিক্রি হয়। তাঁদের এই রথ জেলা সহ পার্শ্ববর্তী জেলাতেও পাড়ি দেয়।
শিল্পী ভোলানাথ প্রামাণিক বলেন, ‘আমি রথ তৈরি করছি। ঘাটাল সহ বিভিন্ন জেলায় এই রথ পৌঁছায়। দু’বছর করোনার জন্য অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে। আগের বছরও হয়েছে। তবে সেই ভাবে চরম বিক্রি-বাট্টা হয়নি। এই বছর ৯৪ ও ৯৫ পিস রথ তৈরি করেছি। বিক্রিও টুকটাক শুরু হয়েছে। ৪০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যেই রথ বিক্রি হয়। আকৃতির উপর নির্ভর করে এই বিক্রি।’ শিল্পী ছন্দা প্রামাণিক বলেন, ‘এই কাজ অনেকেদিনের। প্রায় পঁচিশ-তিরিশ বছরের ব্যবসা। আমার শ্বশুরমশাই করতেন। এখন স্বামী করেন। দুবছর লকডাউনের সময় ব্যবসা খারাপ গিয়েছে। এই বছর বাজার ভাল। আশা করছি ভাল হবে।’