মেদিনীপুর: রাজ্যে একশোর বেশি পুরসভায় ভোট হয়নি। যার জেরে থমকে একাধিক কাজ। ঘাটাল (Ghatal) মহকুমার পাঁচ পুরসভার নিকাশি ব্যবস্থার কাজেও পড়েছিল এই প্রভাব। সেই কাজে উপর জোর দিলেন মহকুমা শাসক। আর সেই কাজে নিজেই কোদাল হাতে তুলে নিলেন মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস। মহকুমা শাসককে এভাবে দেখে অবাক অনেকেই। তবে তাঁর নিজের কথায়, পরিবেশ সুন্দর রাখতে এভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। খোঁজ নিলেন কারা যত্রতত্র জঞ্জাল ফেলে নোংরা করছেন পরিবেশ।
উল্লেখ্য, ঘাটাল মহকুমা পাঁচটি পুরসভার পাঁচটিই তৃণমূল (TMC) পরিচালিত। বর্তমানে নতুন করে পুরসভার নির্বাচন না হওয়ায় কিছুটা হলেও পুরসভার বিভিন্ন কাজ বিশেষ করে নিকাশি ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের গতি শ্লথ হতে দেখা গিয়েছে। আর সেই পুরসভাগুলিতে পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দিলেন খোদ মহকুমাশাসক।
রবিবার তিনি ঘাটাল মহকুমার পাঁচটি পুরসভাতে গিয়ে পুরকর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেমে পড়েন সাফাই অভিযানে। নিজের হাতে কোদালও চালালেন। এমনকি নোংরা আবর্জনা যত্রতত্র পড়ে থাকতে দেখে ধমক দিলেন পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্যদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের এমন কাজেও না-খুশ তিনি।
মহকুমা শাসক এককথায় জানিয়ে দেন কোনওমতেই নোংরা-আবর্জনা যেখানে-সেখানে ঢাঁই করে ফেলা রাখা চলবে না। সুন্দর এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি করে রাখার দায়িত্ব সবার। সেই লক্ষ্যে নিজেও কোদাল হাতে নিয়ে নোংরা আবর্জনা ফেলতে দেখতে পাওয়া গেল ঘাটাল মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাসকে।
একদিন আগেই তিনি চন্দ্রকোনা পৌরসভার সাফাই অভিযান করেছেন। এমনকি পুরসভাবাসীকেও সতর্ক করেছিলেন যে তাঁরা যেন যেখানে সেখানে নোংরা আবর্জনা না ফেলেন। অন্যান্য দিনের মতো এদিন সকালে ক্ষীরপাই পুরসভায় গিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ড তিনি ঘুরে দেখেন। এমনকি নোংরা আবর্জনা যেখানে-সেখানে ফেলে রাখা যাবে না এই নিয়ে সতর্ক করেন পৌরবাসীকে। আর মহাকুমা শাসকের এহেন কাজ খুশি হয়েছেন পুরবাসীও।
এ নিয়ে মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, “আমাদের পাঁচটা ব্লক এবং পাঁচটা মিউনিসিপ্যালিটি। সবার উদ্দেশে বলব এএলাকা পরিষ্কার রাখতে সবাইকে উদ্যোগ নিতে হবে। তবে শুধু ব্লক বা পুরসভার উদ্যোগ নয়, জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। তবেই এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে।”
এদিকে দীর্ঘদিন ড্রেনগুলো যে পরিষ্কার হয়নি এ কথা মেনে নেন ক্ষীরপাই পুরসভার পুরপ্রশাসক। তবে তিনি বলেন, দ্রুততার সঙ্গে এবার কাজ হবে। এতদিন কাজ হচ্ছিল না। ড্রেনগুলোতে মাটি জমা হচ্ছিল। মানুষের অভিযোগ খতিয়ে দেখছি। এ নিয়ে সাফই কর্মীদের সঙ্গে বসছি। ২০০৫ সালে যেমন হাল ছিল পুর এলাকার সেই অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: Kamarhati: সংক্রমণ কমলেও স্বস্তি নেই, স্বাস্থ্যশিবিরে উপচে পড়ছে কলেরা আক্রান্তের ভিড়!