Ghatal Super Speciality Hospital: দেবের ২ কোটির ‘নাইট শেল্টারে’র এ কী অবস্থা! সেখানে এক রাত যাপনের অভিজ্ঞতাই অন্য

Ashim Bera | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 12, 2023 | 11:00 AM

Ghatal: মহকুমা হাসপাতাল চত্বরেই রয়েছে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। প্রতিনিয়ত হাজারও রোগীর আগমন। সেই হাসপাতাল চত্বরে ঘাটালের সাংসদ অভিনেতা দেবের তহবিল থেকে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে চার বছর আগে তৈরি করা হয় 'নাইট শেল্টার' ।  রোগীর পরিজনরা সেই শেল্টারে যাতে আশ্রয় নিতে পারেন

Ghatal Super Speciality Hospital: দেবের ২ কোটির নাইট শেল্টারের এ কী অবস্থা! সেখানে এক রাত যাপনের অভিজ্ঞতাই অন্য
এই নাইট শেল্টারের বেহাল দশা
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

মেদিনীপুর: দেওয়াল ভর্তি পানের পিক, গুটখার ছোপ। মেঝেতে চতুর্দিকে পড়ে নোংরা আবর্জনা। সুইচ বোর্ড ভেঙে তার ঝুলছে! দৃশ্যত যেন আস্তাকুড়! কিন্তু এই ‘নাইট শ্লেটার’ তৈরি করতেই খরচ হয়েছিল ২ কোটি টাকা।  অভিনেতা সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবের সাংসদ তহবিলের কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হওয়া নাইট শেল্টারের বেহাল অবস্থা। রোগীর  পরিবারের সদস্যরাই বলছেন, বর্তমানে ব্যবহারের অযোগ্য সেই শেল্টার। তাই শীতের রাতে হাসপাতালে চত্বরে খোলা আকাশের নীচে মশারি খাটিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে শুয়ে রয়েছেন রোগীর পরিজনেরা। এই দৃশ্য পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল।

মহকুমা হাসপাতাল চত্বরেই রয়েছে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। প্রতিনিয়ত হাজারও রোগীর আগমন। সেই হাসপাতাল চত্বরে ঘাটালের সাংসদ অভিনেতা দেবের তহবিল থেকে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে চার বছর আগে তৈরি করা হয় ‘নাইট শেল্টার’ ।  সেটারই এখন বেহাল অবস্থা। রাস্তার মশারি খাটিয়ে শুয়ে থাকা এক রোগীর আত্মীয় বললেন, “যা অবস্থা, তাতে মানুষ থাকতে পারে না। মনে হয় দু’মাস ঝাড়ু দেয় না। রাস্তাতেই তাই দুদিন ধরে থাকছি।”

যত্রতত্র পড়ে পানের পিক

আবর্জনার স্তূপ

স্বাভাবিকভাবে যার কারণে হাসপাতাল চত্বরে খোলা আকাশের নীচেই রাতে মশারি খাটিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে শুয়ে রয়েছেন রোগীর পরিজনরা। অনেকেই পরিজন দিনের পর দিন হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের পরিজনদের হাসপাতালের বাইরে এভাবেই রাত্রিযাপন করতে হচ্ছে। সকলেই চাইছেন, দ্রুত  এই ‘নাইট শেল্টার’ ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হোক।  এক রোগীর পরিজন বলেন, “আমাদের তো কোনও উপায় নেই। কোনওভাবে রাত কাটাচ্ছি আরকী। গরমে যাওবা হয়ে যেত, শীত তো, সঙ্গে মশার উপদ্রব তো আছে। এভাবে আমরাই না রোগী হয়ে যাই।” আরেকজন বললেন, “রাস্তায় থাকছি বাধ্য হয়ে, প্রচুর মশা। রোগীর জন্য থাকতে গিয়ে এখন রোগীই হয়ে যাচ্ছি। যাতে ওত সুন্দর জায়গাটা পরিষ্কার করা হয়।”

মশারি টাঙিয়ে রাস্তায় শুয়ে রোগীর পরিজনরা

যাত্রী নিবাসের বেহাল দশার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পঞ্চানন মণ্ডল। তিনি বলেন, “আজ থেকে তিন বছর আগে নাইট শেল্টারটি একটি এজেন্সিকে টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কয়েক মাস হল সেই এজেন্সি হাসপাতাল থেকে সরে গিয়েছে। যার কারণে সমস্যা হয়েছে, আমি বিষয়টা হাসপাতাল সুপার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে বলেছি। খুব তাড়াতাড়ি নতুন করে টেন্ডার ইস্যু করে দেওয়া হবে। তখনই আবার আগের মতো হয়ে যাবে।”

ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সুপার সুব্রত দে বললেন তাঁদের কাছে নাকি এ হেন কোনও অভিযোগই আসেননি। তাঁর কথায়, “প্রতিদিনই পরিষ্কার করা হয়। আমাদের কাছে এ ধরনের কোনও অভিযোগ আসেনি। বিষয়টা দেখে নিচ্ছি।”

Next Article