Medinipur TMC: ‘দেব, নুসরত-মিমি-সায়ন্তিকা-জুন মালিয়া লুঠেপুটে খাচ্ছে, ওঁরাই দলের সম্পদ’, বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে মন্ত্রীকে শোকজ করল তৃণমূল

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 28, 2022 | 3:31 PM

Medinipur TMC: শনিবার রাত থেকেই ভাইরাল হয় এক ভিডিয়ো। ভিডিওতে দেখা যায় বক্তব্য রাখছেন রাজ্যের মন্ত্রী। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিতে গিয়ে বেশ কয়েক জনের নামও করেন তিনি।

Medinipur TMC: দেব, নুসরত-মিমি-সায়ন্তিকা-জুন মালিয়া লুঠেপুটে খাচ্ছে, ওঁরাই দলের সম্পদ, বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে মন্ত্রীকে শোকজ করল তৃণমূল
বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে শোকজ মন্ত্রীকে

Follow Us

পশ্চিম মেদিনীপুর: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সুব্রত বক্সি সকলকে জানিয়েও মেলেনি সাড়া। ‘খারাপ’ লোকেদের সায় দিচ্ছে দলের শীর্ষনেতৃত্ব তাই পশ্চিমাঞ্চল নাগরিক সমিতি গড়ার ভাবনা খোদ রাজ্যের মন্ত্রীর। এমনই দলবিরোধী মন্তব্যের জন্য শোকজ করা হল রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী তথা শালবনির বিধায়ককে। শনিবার দলীয় কর্মীদের নিয়ে শালবনিতে এক বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো। সেই বৈঠকে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যায় রাজ্যের মন্ত্রীকে।

শনিবার রাত থেকেই ভাইরাল হয় এক ভিডিয়ো। ভিডিওতে দেখা যায় বক্তব্য রাখছেন রাজ্যের মন্ত্রী (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV৯ বাংলা)। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিতে গিয়ে বেশ কয়েক জনের নামও করেন তিনি। তাঁদেরকে ‘খারাপ’ লোক বলে সম্বোধনও করেন। অভিযোগ করেন, “যারা লুটেপুটে খাচ্ছে, তারা যদি দলের সম্পদ হয় তাহলে এই পার্টিটা আর করা যাবে না।” তবে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা করে পশ্চিমাঞ্চল নাগরিক সমিতির নামে নয়া মঞ্চ তৈরির বার্তা মন্ত্রীর। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সুব্রত বক্সিকে বারবার বুঝিয়েছেন। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি।

ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী?

“আমাদের কি বাঁচার রাইটটা থাকবে না? আমাদের নাগরিক সিটিজেনশিপটা আছে নাকি নাই? এটাই আমরা বলতে চাইছি। আমরা পরিকল্পনা করে এই যাত্রা শুরু করেছি। আমরা পুলিশের কাছে, বিডিও কাছে আবেদন করেছি, যে আমাদের বাঁচান, আমাদের নাগরিকত্বটা আছে নাকি নেই? এদেশে থাকতে পারব নাকি আমরা? আমাদের বক্তব্যটা এই জায়গায়। আমাদের নাগরিকত্ব যদি খণ্ডনের চেষ্টা করেন, তাহলে আমরা কী করব? তার জন্যই আমাদের এই পশ্চিমাঞ্চল নাগরিক সমাজ। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ পর্যন্ত পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। আমরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছি, সুব্রত বক্সিকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তাঁরা বুঝতে চাননি। খারাপ লোককেই তাঁরা ভাল লোক বুঝেছেন। আমরা বাঁচব কীভাবে? ওঁরা খারাপ লোককে খারাপ বলবে তো! এখানে যদি দেবাদিদেব মহাদেব, সন্ধ্যা রায়, সায়ন্তিকা, জুন মালিয়া, মিমি-ঝিমি, নুসরত-ফুসরত, সন্দীপ সিং, উত্তরা সিং.. তারা যদি লুঠেপুটে খাচ্ছে, তারা যদি সম্পদ হয়, তাহলে তো সে পার্টি করা যাবে না। পার্টির টাকা ডাকাতি করে তারা যদি পার্টির সম্পদ হয়, তাহলে কি চোর ডাকাতদের কথা শুনবে দল? আমাদের সামাজিক আন্দোলন করতে হবে। মুখে বলতে হবে।”

মন্ত্রীর বক্তব্যের এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরেই শাসকদলের অন্দরের কোন্দল নিয়ে শোরগোল পড়েছে জেলা জুড়ে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তৃণমূল বিধায়ককে শোকজ করেছে দল। দলের মন্ত্রীকে শোকজ করার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূলের কো অর্ডিনেটর তথা বিধায়ক অজিত মাইতি। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতকে ফোন করা হলে তিনি শোকজের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। এই ভিডিয়ো নিয়েও কোন প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি মন্ত্রী। ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে শাসক শিবির।

শ্রীকান্ত মাহাতোর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সায়ন্তিকার বক্তব্য “বিষয়টি দলের আভ্যন্তরীণ বিষয়। এবিষয়ে যা বলার ও করার তা দল করবে। এ বিষয়ে আমি জনসমক্ষে কিছু বলব না”।

Next Article