দাসপুর: Tv9 বাংলার খবরের জের নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। সরকারি হাসপাতালে নেই জেনারেটর। বিদ্যুৎ চলে গেলেই মোমবাতির আলো ভরসা রোগীদের।হাতে অক্সিজেনের বোতল নিয়ে সামান্য বাতাসের জন্য বাইরে বসে থাকতে হয় তাঁদের। এই খবর প্রকাশের পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তড়িঘড়ি চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে অস্থায়ী ভাবে একটি জেনারেটরের ব্যবস্থা করেন ঘাটাল মহকুমাশাসক।
বুধবার ঘাটাল মহকুমা শাসকের দফতর থেকে একটি জেনারেটর পাঠানো হয় চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে।বিদ্যুৎ চলে গেলে আপাতত সেই জেনারেটরের মাধ্যমে হাসপাতালে বিদ্যুৎ পরিষেবা মিলবে এমনটাই জানানো হয়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই জেনারেটরের সাহায্যে আপাতত হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার, জরুরি বিভাগ সহ রোগীর ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ পরিষেবা পাবেন। এই প্রসঙ্গে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ ডঃ স্বপ্ননীল মিস্ত্রি জানান, ‘ঘাটাল মহকুমাশাসকের দফতর থেকে অস্থায়ী ভাবে একটি জেনারেটর দেওয়া হয়েছে। তা দিয়েই আপাতত কাজ চলবে। জেনারেটর সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য জেলাশাসক ও সিএমওএইচ’কে জানানো হয়েছে আশা করি তারও দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।’
উল্লেখ্য, ,চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর বিকল হয়ে পড়েছে। এমনকী খড়গপুরের একটি সংস্থাকে টেন্ডার দিয়ে হাসপাতালে জেনারেটর পরিষেবা মিললেও গত সাড়ে তিন বছর সেই ঠিকাদার সংস্থার বিল বকেয়া প্রায় ১৪-১৫ লক্ষ টাকা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই বিল না মেটানোয় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তারা হাসপাতালে জেনারেটর পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। এর জেরে বিদ্যুৎ চলে গেলে গোটা হাসপাতাল অন্ধকারে ডুবে যায়। মোমবাতি জ্বালিয়ে থাকতে হয় রোগীদের। এমনকী বিদ্যুৎহীন ওয়ার্ডে গরমে রোগীরা থাকতে না পেরে ওয়ার্ডের বাইরেও বেরিয়ে চলে আসেন তাঁরা।
হাসপাতালের এমন বেহাল অবস্থার ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেতেই নড়েচড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। আপাতত ঘাটাল মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাসের তৎপরতায় তার দফতরে থাকা একটি জেনারেটর চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।