পশ্চিম মেদিনীপুর: বিজয়া দশমীর দিন মদের আসরে বচসা। আর তা থেকে হাতাহাতি। তার জেরে মৃত্যু একজনের। এই ঘটনার তদন্তে নেমে দাসপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে তিনজনকে। অভিযুক্তরা হলেন ভাস্কর মাঝি, দীপঙ্কর মাঝি ও আরতি মাঝি। এদের প্রত্যেকের দাবি জোর পূর্বক ঠেলে ফেলে দিয়েছিল। সেই কারণেই হয়ত মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার মহব্বতপুর গ্রামে বাসিন্দা মানস মাঝি (৪০)। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত্রিবেলা মহব্বতপুর গ্রামের ভাস্কর মাঝির বাড়িতে গিয়েছিল মানস মাঝি। সেখানেই মদের আসর বসে। তারপর শুক্রবার ভোর ৩ টে নাগাদ ভাস্কর ও তাঁর মা মানসের বাড়িতে গিয়ে খবর দেন রাতের মদের আসরে তাঁদের দু’জনের মারপিট হয়েছে। এরপরেই মানস শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কিন্তু সকাল নাগাদ মানসের বাড়ির লোক জানতে পারেন তাঁদের বাড়ির ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত মানসের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দাসপুর থানার পুলিশ ভাস্কর মাঝিকে গ্রেফতার করেন। পরে শনিবার দীপঙ্কর মাঝিকে ও আরতি মাঝিকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের শনিবার ঘাটাল আদালতে তোলা হলে আদালত দুই ব্যক্তির পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এই বিষয়ে অভিযুক্ত ভাস্কর মাঝি বলেন, ‘আমাদের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে আমিও গেছিলাম। আরও বন্ধুরা ছিল সেখানে। ও বাইক নিয়ে আমার বাড়িতে এসে গ্রিল ধরে ধাক্কাধাক্কি করে। আমি ওকে ঠেলে দিয়েছিলাম। ও যে মারা যাবে আমি ভাবিনি। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমি খুন করিনি।’