মেদিনীপুর: খড়গপুর (Kharagpur) শহরে প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে গুলি করার ঘটনায় অবশেষে গ্রেফতারি। শুক্রবার তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা সকলেই খড়গপুরের বাসিন্দা। এদিন তাঁদের খড়গপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। সোমবার রাতে খড়গপুর পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে গুলি চলে। তৃণমূল কর্মী ভেঙ্কট ওরফে প্রসাদ রাওকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ ১০ জনকে আটক করে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই গ্রেফতার করা হয় এই তিনজনকে।
খড়গপুর পুরসভার ওল্ড সেটেলমেন্ট এলাকায় সোমবার রাত দশটা নাগাদ একটি মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ৪০ বছর বয়সী ভেঙ্কট। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনাস্থলে তদন্তে যান ফরেনসিক দলের প্রতিনিধিরা। বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। ২০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের পার্টি অফিস সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি ভেঙ্কটের।
সেদিন ভেঙ্কটের সঙ্গেই ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েছিলেন কে শ্রীনিবাস রাও নামে ব্যক্তি। তিনি জানান, স্কুটি চেপে তিন যুবক এসেছিলেন। কোনও কথা বলেননি তাঁরা। পরপর গুলি চালাতে থাকেন। এদিকে তিনজনেরই মুখে মাস্ক পরা ছিল। ফলে কারও মুখই চেনা যায়নি। সোমবার রাতে প্রায় চার রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে শ্রীনিবাস রাও জানান। তাঁর কথায়, “যখন গুলি চলছে, আমি, আরও কয়েকজন পাশেই দাঁড়িয়ে। হঠাৎ করে এমন ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যাই সকলে। ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিলাম। এভাবে সামনে থেকে গুলি চালাতে দেখছি, বিশ্বাসই হচ্ছিল না।” এরপরই তদন্ত শুরু করে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তারা। তাতেই পুলিশের হাতে বেশ কিছু তথ্য উঠে আসে। বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ভেঙ্কট। সেই ব্যবসা সংক্রান্ত ঝামেলার কারণে এই ঘটনা কি না তা অবশ্য এখনও পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। ধৃতদের জেরা করে রহস্যের কিনারা পেতে চান তদন্তকারীরা। ধৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।