কলকাতা: বছর ঘুরতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election)। ২০১৮ সালের শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই বাংলায় পালে হাওয়া লাগতে শুরু করে বিজেপির। তারপর লোকসভা, বিধানসভাতেও পদ্ম ফুটেছে বাংলার দিকে দিকে। এবার ফের বেজেছে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা। এমতাবস্থায় এবার আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে ভোটবাক্স পুকুরে ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Leader of the Opposition Suvendu Adhikari)। কেশিয়ারির মাটিতে দাঁড়িয়ে কার্যত বাজিয়ে দিলেন বড় হুঙ্কার। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোরদার চর্চা।
প্রসঙ্গত এদিন, পশ্চিম মেদিনীরপুরের কেশিয়ারিতে হুল উৎসবের মঞ্চে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়,”পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রয়োজনে অনলাইন নমিনেশনের জন্য দ্বারস্থ হব আদালতের। পুরভোটে আধাসেনা পাইনি। এবারেও দাবি করব। তবে সবকিছুর পরেও যদি না হয় তাহলে ভোটবাক্স তুলে পুকুরে ফেলে দিন”। একইসঙ্গে এদিন সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্লোগানও ঠিক করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “ঘুষ মুক্ত-মেধা যুক্ত কর্মসংস্থান, কাটমানি মুক্ত জনপরিষেবা আর রাজনীতি মুক্ত পুলিশ, এই তিনের উপরে জোর দিয়েই হবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের লড়াই।
একইসঙ্গে কোচবিহারের পর এবার পশ্চিম মেদিনীপুরে গিয়েও মহারাষ্ট্রের পর ঝাড়খন্ড হয়ে বাংলা দখল করার হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এদিন ফের শুভেন্দু বলেন, “কেউ বাইরে থাকবে না, যত বেলা গড়াবে এখানে মহারাষ্ট্র হবে।” যা নিয়ে ফের উত্তপ্ত বাংলার রাজনৈতিক মহল। এবার রাজ্য পুলিশকে শুভেন্দুর তুলোধনা নিয়েও শুরু হয়েছে পাল্টা চর্চা। একইসঙ্গে রাজ্য পুলিশের কার্যকলাপ নিয়েও একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে তুলোধনা করতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। আক্রমণ শানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও। এদিন শুভেন্দু বলেন, আমাদের রাজ্যে পুলিশকে যেভাবে ব্যবহার করা হয় তা কোথাও কেউ করে না। এদের কাজই হচ্ছে বিরোধী নেতাদের আটকানো। আমাকে ৭ জনুয়ারি আমাকে নেতাই যেতে দেয়নি। ওইদিন ৪ হাজার পুলিশ এনেছিল। সব রাস্তা ব্যারিকেড। আমার তৈরি শহিদ বেদি। একটা ফুল দিতে চেয়েছিলাম সেখানে। দিতে দেবে না। এদের কাজই হচ্ছে এটা।” দিনভর রুদ্ররূপী শুভেন্দুকে দেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একটা বড় অংশের মত, পঞ্চায়েত ভোটে ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী’ এ কথাই যেন এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের মাটিতে নতুন করে বলার চেষ্টা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।