পশ্চিম মেদিনীপুর: সারদা কাণ্ডে ফের নতুন করে চাপ বেড়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Leader of the Opposition Suvendu Adhikari) উপর। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের একের পর এক চাঞ্চল্যকর দাবির জেরে চাপ বেড়েছে বঙ্গ বিজেপির। কিন্তু, সেসবে পাত্তা না দিয়ে এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের জনসভা থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা গেল পদ্ম নেতা শুভেন্দুকে। ‘মহারাষ্ট্রের দশা হবে বাংলারও’, কোচবিহারের জনসভা থেকে এর আগে এ ভাষাতেই হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবার বেলপাহাড়ির সভা থেকে ফের শুভেন্দুর গলায় শোনা গেল একই সুর। এদিন ফের শুভেন্দু বলেন, “কেউ বাইরে থাকবে না, যত বেলা গড়াবে এখানে মহারাষ্ট্র হবে।” একইসঙ্গে রাজ্য পুলিশেরও তুলোধনা করতে দেখা গেল শুভেন্দুকে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক বা বিডিও-দের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ তুলেছেন, অনেক জায়গায় বিডিও-রা ঠিক মতো অফিসে যান না বা গেলেও বেশিক্ষণ অফিসে থাকেন না। এমনকী আকারে-ইঙ্গিতে বিডিওদের উপর পুলিশি নজরদারির কথাও বলেন মমতা। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোরদার চর্চা। এ প্রেক্ষাপটেই এবার রাজ্য পুলিশকে শুভেন্দুর তুলোধনা নিয়েও শুরু হয়েছে পাল্টা চর্চা। এদিন শুভেন্দু বলেন, “কাটমানি মুক্ত জনগণের পরিষেবা, ঘুষ মুক্ত মেধা যুক্ত চাকরির পাশাপাশি আমরা রাজনীতি মুক্ত পুলিশও চাই। আমাদের রাজ্যে পুলিশকে যেভাবে ব্যবহার করা হয় তা কোথাও কেউ করে না। এদের কাজই হচ্ছে বিরোধী নেতাদের আটকানো। আমাকে ৭ জনুয়ারি আমাকে নেতাই যেতে দেয়নি। ওইদিন ৪ হাজার পুলিশ এনেছিল। সব রাস্তা ব্যারিকেড। আমার তৈরি শহিদ বেদি। একটা ফুল দিতে চেয়েছিলাম সেখানে। দিতে দেবে না। এদের কাজই হচ্ছে এটা।”
এখানেই না থেমে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু আরও বলেন, ”এদের আর একটা কাজ হচ্ছে পিসি এলে ৭ হাজার, ভাইপো এলে ৪ হাজার। পিসি এলে ৭ হাজার পুলিশ আসে। বিরাট ব্যাপার। যেন লর্ড মাউন্ট ব্যাটন এসেছেন। চারদিন আগে থেকে স্কুল বন্ধ। রাস্তাঘাট বন্ধ। পাঁচ খানা বুলেটপ্রুফ কালো গাড়ি যায়। সামনে পিছনে তো অসংখ্য। লজ্জা লাগে এই পুলিশগুলোকে দেখলে। দাঁত কেলিয়ে স্যালুট করে। অ্যাডিশনাল ব়্যাঙ্কের অফিসার, ডিএসপি ব়্যাঙ্কের অফিসার দড়ি ধরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। যেন বেতনটা ভাইপোর বাড়ি থেকে আসে।”