Medinipur: ঠিকানাই ভুল! তাই ৬ বছর বাড়ি ফেরা হয়নি নলিনীর, আসেনি কোনও জবাব

Medinipur: জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত সচিব সাহিদ পারভেজ গত নভেম্বর মাসে মেদিনীপুর মহিলা সংশোধনাগারে গিয়ে নলিনী চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁর প্রকৃত ঠিকানা উদ্ধার করতেও সক্ষম হন।

Medinipur: ঠিকানাই ভুল! তাই ৬ বছর বাড়ি ফেরা হয়নি নলিনীর, আসেনি কোনও জবাব
জেল থেকে বেরলেন নলিনীImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 07, 2024 | 10:04 AM

মেদিনীপুর: জামিন মঞ্জুর হয়ে গিয়েছিল ২০১৮ সালে। কিন্তু জেল থেকে বেরতে পারেননি! মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার পরিবার কোথায়, বুঝতেই পারছিল না কেউ। প্রায় ৬ বছর কেটে গিয়েছে তারপর। কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করেও কিছু করে উঠতে পারছিল না। অবশেষে মিলল ঠিকানা, মিলল পরিবার। মুক্তি পেলেন নলিনী চৌধুরী। মেদিনীপুর মহিলা সংশোধনাগার থেকে জামিনে মুক্ত হলেন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা ওই মহিলা।

২০১৭ সালে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলা ভুল করে ঢুকে পড়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডা এয়ারবেস বা কলাইকুন্ডা বিমানঘাঁটি (কলাইকুন্ডা এয়ার ফোর্স স্টেশনে)-তে। হাই অ্যালার্ট জোন হওয়ায় ওই এলাকায় সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ। ফলে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ মানসিক ভারসাম্যহীন নলিনী চৌধুরীকে গ্রেফতার করে। একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয় তাঁর বিরুদ্ধে।

মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ২০১৮ সালেই তাঁর জামিন হয়ে যায়। কিন্তু, পুলিশি তদন্তে তাঁর নাম ও ঠিকানা ভুল রেকর্ড করা হয়। ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা হলেও, তাঁর ঠিকানা উত্তরপ্রদেশ বলে রেকর্ড হয়। নাম নিয়েও সামান্য বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। তাই জামিনের কাগজপত্র ভুল ঠিকানায় পৌঁছতে থাকে। ফলে সেখান থেকে কোনও জবাব আসে না দিনের পর দিন। ফলে ২০১৮ সালে জামিনে মুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও, বছরের পর বছর জেলেই কাটতে থাকে নলিনীর।

জাতীয় আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ বা নালসা (NALSA)-র তরফে সম্প্রতি সারাদেশের ১০৪ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই তালিকায় নাম ছিল পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর মহিলা সংশোধনাগারে বন্দি নলিনী চৌধুরীর নামও। অন্যদিকে, জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত সচিব সাহিদ পারভেজ গত নভেম্বর মাসে মেদিনীপুর মহিলা সংশোধনাগারে গিয়ে নলিনী চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁর প্রকৃত ঠিকানা উদ্ধার করতেও সক্ষম হন।

ডিএলএসএ (DLSA)-র সচিবকে ওই মহিলা যে ঠিকানা জানান, তা থেকে ঝাড়খণ্ডের পালামৌ জেলার একটি ঠিকানা উদ্ধার হয়। এরপরই, পালামৌ জেলার চয়নপুর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ নলিনী দেবীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন।

গত এক মাস ধরে সমস্ত বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর, নলিনী দেবীর স্বামী লালজি চৌধুরী, ভাই, মেয়ে, জামাই সহ পরিবারের সদস্যরা মেদিনীপুর শহরে পৌঁছন। তাঁরা সমস্ত কাগজপত্র আদালতে জমা দেন। শুক্রবার জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ৭ বছর পর মেদিনীপুর মহিলা সংশোধনাগার থেকে জামিনে মুক্ত হলেন নলিনী দেবী। হারিয়ে যাওয়া নলিনীকে কাছে পেয়ে খুশি পরিবারের সদস্যরা।