পূর্ব মেদিনীপুর: লোকসভা ভোটের আগেই ফের শুরু দলবদল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দল বদলের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। আবার নির্বাচন আসতেই শুরু এক দল থেকে অন্য দলে ঝাঁপাঝাপি। এবার পূর্ব মেদিনীপুরে কাঁথির কুসুমপুরে গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বদের দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ এর প্রতিবাদে ১০টি সংখ্যালঘু পরিবার যোগদান করল বিজেপিতে।
নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন কাঁথি ৩ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা রাজশেখর মণ্ডল। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি ভগবান চন্দ্র মণ্ডল সহ বিজেপি নেতৃত্বরা। যদিও এই যোগদান কার্যত আমল নিতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
জানা গিয়েছে, কলকাতায় বিজেপির গীতা পাঠের পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বড়সড়ো ভাঙনের মুখে পড়লো রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কাঁথি ৩ নং ব্লকের কুসুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নহডিহা বুথে দশটি সংখ্যালঘু পরিবার বিজেপিতে যোগদান করেন। এছাড়াও স্থানীয় তৃণমূলের বুধ সভাপতি মানিক রানা, প্রাক্তন সদস্য মৃণাল কান্তি মণ্ডল সহ বহু কর্মীর বিজেপিতে যোগদান করেন। যোগদানকারী সদস্যদের দাবি স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি,বুথ সভাপতি দুর্নীতি, স্বজনপোষণ ও কাটমানির কারণে বিজেপিতে যোগদান করেছেন তাঁরা।
কাঁথি ৩ ব্লকের বিজেপি নেতা ও কাঁথি ৩ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা রাজশেখর মণ্ডল বলেন, “সংখ্যালঘু সার্বিক উন্নতি না করে তৃণমূল সরকার যেভাবে সংখ্যালঘুদের ভোটব্যাঙ্ক ব্যবহার করছে। তা সংখ্যালঘু মানুষ বুঝতে পেরেছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে মুখ ফিরিয়ে বিজেপির মুখি হচ্ছি।”
যদিও, শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের কাঁথি ৩ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি গৌরিশঙ্কর মিশ্র বলেন, “এই সমস্ত অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে কোনও কর্মী সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করেননি। শুধুমাত্র প্রচারে আলোয় আসার জন্য এই সকল নাটক করছে।”