কলকাতা: বাংলায় ‘সন্ত্রাস মুক্ত’ নির্বাচনের দাবি পৌঁছল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। রাজ্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট চেয়ে জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের হল দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। আবেদনকারীর আর্জি, রাজ্য বিধানসভা ভোটে বিরোধীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুক আদালত। ভুয়ো ভোটারদের তালিকা থেকে সরানোর দাবির পাশাপাশি সম্প্রতি যে সমস্ত বিজেপি কর্মীর খুনের অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়েও ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। পুনিত কউর ধান্দা নামে জনৈক এক ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। আধা সেনা দিয়ে বাংলায় বিধানসভা ভোট করানোর দাবিও তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: আইনজীবীকে অপহরণ করে ১৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের দাবি
একুশের ভোটের আগে উত্তপ্ত হচ্ছে রাজ্য রাজনীতির আবহ। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, জেলায় জেলায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ, দলীয় কোন্দল, দলবদলের হিড়িক উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যবাসীর। ভোট আসতে এখনও প্রায় বেশ কিছুটা সময় বাকি। তার আগেই যদি পরিস্থিতি এতটা উদ্বেগের হয়, তাহলে ভোটের সময় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়তেই পারে।
আরও পড়ুন: নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রোর ট্রায়াল রান শুরু
সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও খানিকটা ঘোরাল করে তুলেছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করেছে বিরোধী শিবির। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও বাংলার পুলিস প্রশাসন নিয়ে রোজই সরব হচ্ছেন। এরইমধ্যে বাংলায় অবাধ, শান্তিপূর্ণ ভোটের আবেদন পৌঁছল সুপ্রিম কোর্টে।
যদিও এই মামলার ভবিষ্যৎ কী তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আইনজীবী মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার পুরো দায়িত্বই কমিশনের। নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব চলে যায় নির্বাচন কমিশনের হাতে। কোড অফ কন্ডাক্ট বা আদর্শ আচরণ বিধি চালু হলে তখন যে কোনও অভিযোগ খতিয়ে দেখার অধিকার থাকে শুধুমাত্র কমিশনের। কিন্তু এখনও তো ভোটের দিনক্ষণই ঘোষণা হয়নি। এক্ষেত্রে কার কাছে হলফনামা চাইবে আদালত!
আরও পড়ুন: সিংঘু সীমানায় কৃষকদের পাশে পাঁচ তৃণমূল সাংসদ, ফোনে কথা বললেন মমতা
কমিশন অভিযোগ নিয়ে যেতে পারে সুপ্রিম কোর্টে, কিষাণ সিং তোমর-এর জাজমেন্টে সেই উল্লেখ আছে। সেক্ষেত্রে এখনই এই মামলা নিয়ে আদৌ এগোনো সম্ভব কি না তা প্রশ্নসাপেক্ষ। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে মীরা পাণ্ডেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। যদিও তা একেবারেই ভোট শুরুর মুখে। ফলে একুশের ভোটের আগে এই মামলায় আপাতত শীর্ষ আদালতের বিশেষ কিছু করার নেই বলেই মত আইনজীবী মহলের।