Cooch Behar: প্রাইমারির চাকরি যেতেই বেঁকে বসেছিল হবু বর! অবশেষে ৩ দিনের ধর্নাতেই জয়, বাজল বিয়ের সানাই

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Jun 16, 2022 | 11:04 PM

Cooch Behar: দুজনের হাতেই ছিল সরকারি চাকরি। তাই বিয়ের কথা শুরু হতেই অধ্যাপকের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া, খাওয়া-দাওয়া প্রায়শই চলত। ধীরে ধীরে দুই মন একও করে ফেলেছিলেন তাঁরা।

Cooch Behar: প্রাইমারির চাকরি যেতেই বেঁকে বসেছিল হবু বর! অবশেষে ৩ দিনের ধর্নাতেই জয়, বাজল বিয়ের সানাই
ছবি -ধর্না থেকে বাজল বিয়ের সানাই

Follow Us

কোচবিহার : প্রাথমিক শিক্ষক নিয়ে দুর্নীতির (Primary TET Corruption) অভিযোগে কয়েকদিন আগেই বড় রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। গোটা রাজ্য়ে ১৬৯ জনকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি। এর মধ্যে কোচবিহারের যে ৩২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা কাজ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে ছিলেন মাথাভাঙার এক যুবতী। চাকরি পাওয়ার পরেই নিশিগঞ্জের এক অতিথি অধ্যাপকের সঙ্গে বিয়ের কথা চলছিল যুবতীর। কিন্তু চাকরি যেতেই বেঁকে বসেছেন তিনি। তারপরেই বিয়ের দাবিতে ওই অধ্যাপকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন মাথা ভাঙার যুবতী। যা নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয় গোটা রাজ্যে। অবশেষে ৩ দিনের ধর্না শেষে প্রেমিককে ফিরে পেলেন নিশিগঞ্জের বরখাস্ত শিক্ষিকা। দুই পরিবারের মধ্যে হল পাকা কথা। সাড়া হল আশীর্বাদ পর্ব। তাই শেষ পর্যন্ত চাকরি হারিয়েও খুশি ওই যুবতী।

প্রসঙ্গত, দুজনের হাতেই ছিল সরকারি চাকরি। তাই বিয়ের কথা শুরু হতেই অধ্যাপকের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া, খাওয়া-দাওয়া প্রায়শই চলত। ধীরে ধীরে দুই মন একও করে ফেলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, যুবতী চাকরি হারাতেই বেঁকে বসেছিল হবু বর। অগত্যা বিয়ের দাবিতে কলেজের অতিথি অধ্যাপকের বাড়িতে মঙ্গলবার ধর্নায় বসেন সদ্য চাকরি হারানো ওই যুবতী। হবু বরের বাড়িতে ধর্না দিতেই  বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে পালিয়ে যান ওই অতিথি অধ্যাপক। যুবতীর  দাবি ছিল, ওই অতিথি অধ্যাপকের  সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। বিয়ের আলোচনা থেকেই প্রেম পর্ব শুরু। 

এদিকে এ বিষয়ে প্রথমে অতিথি অধ্যাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি প্রেমের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন। তিনি জানান ঘটকের মাধ্যমে এক সপ্তাহ আগে বিয়ের প্রস্তাব আসে। দু-একবার যুবতীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। তবে নাছোড়বান্দা প্রেমিকা। চাকরি গেলেও প্রেমিক হারাতে চান না। তাঁর এই জেদের জোরেই তিনি ৩ দিন ধরে ধর্না চালিয়ে যান। অবশেষে তিন দিন পর হবু বরের সঙ্গে শ্বশুর বাড়ির লোকেদের আলোচনায় বরফ গলে। দফায় দফায় দুই বাড়ির সদস্যরা মিলিত ভাবে আলোচনায় বসেন। সেই আলোচনার পরেই বৃহস্পতিবার বিয়েতে রাজী হন অতিথি অধ্যাপক। বৃহস্পতিবারই আইনজীবীর সামনে রেজিস্ট্রি পেপারে সাক্ষরও করেন পাত্র-পাত্রী। পাশাপাশি নিয়ম অনুযায়ী ছেলের আশীবার্দ পর্বও সম্পূর্ণ হয়। দুই বাড়ির সদস্যরা জানিয়েছেন, দ্রুত ভালো দিন দেখে সামাজিক বিয়েও সেড়ে ফেলা হবে।

Next Article