চন্দ্রকোনা: নির্জন আশ্রমের ভিতরে যুবতীর সঙ্গে থানার এক NVF কর্মীর ‘অপকর্মের’ ছবি ধরা পড়তেই ব্যাপক উত্তেজনা পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapore) জেলার চন্দ্রকোনার ধরমপুরে। রাজ্য সড়ক অবরোধ করে তুমুল বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তাদের ঘিরে ধরেও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। সূত্রের খবর, ধরমপুর এলাকায় চন্দ্রকোনা টাউন এলাকায় রাজ্য সড়কের ধারে নির্জন জায়গায় রয়েছে একটি আশ্রম। অভিযোগ চন্দ্রকোনা থানার এক NVF কর্মীকে ওই আশ্রমেই এক যুবতীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এক ব্যাক্তি এসে হাতেনাতে তাঁদের ধরে ফেললে দৌড়ে পালিয়ে যায় ওই NVF কর্মী। সিসিটিভিতেও ধরা পড়ে সেই ছবি।
এদিকে ঘটনার কথা চাউর হতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। এলাকার মানুষদের অভিযোগ ওই আশ্রমের পাশেই রয়েছে একটি মন্দির। সেখানে কী করে একজন পুলিশ কর্মী হয়ে এমন কীর্তি করল ওই যুবক। এদিকে রাজ্য সড়কের ধারে পুলিশের পেট্রোলিং থাকে। কিন্তু, এলাকার মানুষের অভিযোগ ঘটনা নিয়ে চন্দ্রকোনা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে নাকি পুলিশ তাঁদের উলটে হুমকি দেয়। এরপরই সন্ধ্যা থেকে দফায় দফায় ওই এলাকায় চলছে সড়ক অবরোধ। যার জেরে যানজটে নাকাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে পুলিশ অবরোধ তুলতে এলে তাঁদেরকে ঘিরে ধরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা।
সূত্রের খবর, স্থানীয়রা ও যুবতীর পরিবারের তরফে NVF কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশে আইনে রাস্তায় হাঁটতে চায়নি। অভিযোগ নেওয়া তো দূর ‘সালিশি সভা’ ডেকে ‘মিটামাট’ করিয়ে নেওয়ারও কথা বলে বলেও স্থানীয়দের একাংশের দাবি। এদিকে, এ ঘটনার পর থেকেই লোক লজ্জার ভয়ে ঘরে সিঁটিয়ে আছেন যুবতীর পরিবারের সদস্যরা। এমনকী, যে এ ঘটনায় গোটা এলাকায় ঢিঢি পড়ে গিয়েছে তাতে মেয়ের বিয়ে কীভাবে দেবে তা ভেবেই দিশাহারা হয়ে যাচ্ছেন যুবতীর মা। ঘটনা প্রসঙ্গে যুবতীর মা বলেন, ”আমার মেয়েকে ফোন করে ডেকে ছিল। আমার মেয়ে প্রথমে আশ্রমে গিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকলেও হাত ধরে জোর করে ঘরে ঢুকিয়ে দেয়। এখন আমার মেয়ের আর বিয়ে হবে?” ইতিমধ্যেই ওই যুবতীকে NVF কর্মীর বিয়ের দাবিও তুলেছেন স্থানীয়রা। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশ গোটা ঘটনারই মীমাংসার আশ্বাস দিলে রাত পৌনে এগারোটা নাগাদ এলাকা থেকে অবরোধ উঠে যায় বলে জানা যাচ্ছে।