জলপাইগুড়ি: মনোনয়ন দাখিল করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানালেন জলপাইগুড়ির বুদ্ধিজীবী ও নাগরিকেরা। গত ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে গিয়ে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হতে হয় জলপাইগুড়ি পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল প্রার্থী মলয় বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। শুধু মলয় বন্দ্যোপাধ্য়ায় নয়, মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে গেলে বেশ কয়েকজন নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন পত্রও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। আবার এক নির্দল প্রার্থীকে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ কল করে লাগাতার চাপ দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে।
শাসক দলের বিরুদ্ধে এইসব অভিযোগ ওঠায় ক্ষুব্ধ জলপাইগুড়ির অধিকাংশ মানুষ। তাঁদেরই একটি অংশ শুক্রবার রাতে জলপাইগুড়ি দিন বাজার এলাকায় একটি প্রতিবাদ সভা করে বিষয়টির নিন্দা করেন তাঁরা।
স্থানীয় ব্যাবসায়ী সজ্জন কুমার বলেন, ‘একজন মানুষ ভোটে দাঁড়াতেই পারে। কিন্তু তাঁকে পুলিশ বা প্রশাসন বাধা দেবে কেন। এমন ঘটনা আমরা আগে দেখিনি। এটা ঠিক নয়।’
ঘটনায় অধ্যাপক রুপন সরকার বলেন, ‘এই ঘটনা নজিরবিহীন। এরপর আমরা এই শহরের বাসিন্দারা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি প্রতিবাদ সভা করার। আজ সেই সভায় প্রশাসনের ভূমিকার নিন্দা করা হয়।’
তৃনমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর অবিভক্ত জলপাইগুড়ি জেলার প্রথম যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি হন মলয় বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জন্মলগ্ন থেকে আজ অবধি তিনি তৃণমূলের একজন প্রথম সারির নেতা বলেই পরিচিত ছিলেন। পুরভোটে তৃণমূলের প্রথম তালিকায় তাঁর নাম ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় তালিকায় তার নাম বাদ পড়ে যায়।
গত ৭ তারিখ জলপাইগুড়ি মহকুমাশাসকের দফতরে মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন জলপাইগুড়ি পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল প্রার্থী মলয় বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এরপর তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন।
গত ৮ তারিখ হাইকোর্টের রায় পেয়ে তিনি ফের মনোনয়ন দাখিল করতে গেলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন। এরপর বেলা ৩ টে বেজে যাওয়ার পর তাঁকে যেতে দেয় পুলিশ।
কিন্তু ৩ টের পর মনোনয়ন পত্র জমা দেওবার সময় পেরিয়ে যাওয়ায় তিনি তার মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে না পেরে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন। পুলিশ ও প্রশাসন হাইকোর্টের রায় অমান্য করে আদালত অবমাননা করেছে এই মর্মে আদালতে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে সেই মামলা শুনানির পর বিচারপতি রায় দেন আগামী সোমবার রিটার্নিং অফিসার তথা জলপাইগুড়ি সদর মহকুমাশাসক সুদীপ পালকে কলকাতা হাইকোর্টে উপস্থিত হতে হবে।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
জলপাইগুড়ি: মনোনয়ন দাখিল করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানালেন জলপাইগুড়ির বুদ্ধিজীবী ও নাগরিকেরা। গত ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে গিয়ে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হতে হয় জলপাইগুড়ি পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল প্রার্থী মলয় বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। শুধু মলয় বন্দ্যোপাধ্য়ায় নয়, মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে গেলে বেশ কয়েকজন নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন পত্রও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। আবার এক নির্দল প্রার্থীকে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ কল করে লাগাতার চাপ দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে।
শাসক দলের বিরুদ্ধে এইসব অভিযোগ ওঠায় ক্ষুব্ধ জলপাইগুড়ির অধিকাংশ মানুষ। তাঁদেরই একটি অংশ শুক্রবার রাতে জলপাইগুড়ি দিন বাজার এলাকায় একটি প্রতিবাদ সভা করে বিষয়টির নিন্দা করেন তাঁরা।
স্থানীয় ব্যাবসায়ী সজ্জন কুমার বলেন, ‘একজন মানুষ ভোটে দাঁড়াতেই পারে। কিন্তু তাঁকে পুলিশ বা প্রশাসন বাধা দেবে কেন। এমন ঘটনা আমরা আগে দেখিনি। এটা ঠিক নয়।’
ঘটনায় অধ্যাপক রুপন সরকার বলেন, ‘এই ঘটনা নজিরবিহীন। এরপর আমরা এই শহরের বাসিন্দারা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি প্রতিবাদ সভা করার। আজ সেই সভায় প্রশাসনের ভূমিকার নিন্দা করা হয়।’
তৃনমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর অবিভক্ত জলপাইগুড়ি জেলার প্রথম যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি হন মলয় বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জন্মলগ্ন থেকে আজ অবধি তিনি তৃণমূলের একজন প্রথম সারির নেতা বলেই পরিচিত ছিলেন। পুরভোটে তৃণমূলের প্রথম তালিকায় তাঁর নাম ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় তালিকায় তার নাম বাদ পড়ে যায়।
গত ৭ তারিখ জলপাইগুড়ি মহকুমাশাসকের দফতরে মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন জলপাইগুড়ি পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল প্রার্থী মলয় বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এরপর তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন।
গত ৮ তারিখ হাইকোর্টের রায় পেয়ে তিনি ফের মনোনয়ন দাখিল করতে গেলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন। এরপর বেলা ৩ টে বেজে যাওয়ার পর তাঁকে যেতে দেয় পুলিশ।
কিন্তু ৩ টের পর মনোনয়ন পত্র জমা দেওবার সময় পেরিয়ে যাওয়ায় তিনি তার মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে না পেরে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন। পুলিশ ও প্রশাসন হাইকোর্টের রায় অমান্য করে আদালত অবমাননা করেছে এই মর্মে আদালতে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে সেই মামলা শুনানির পর বিচারপতি রায় দেন আগামী সোমবার রিটার্নিং অফিসার তথা জলপাইগুড়ি সদর মহকুমাশাসক সুদীপ পালকে কলকাতা হাইকোর্টে উপস্থিত হতে হবে।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা