কলকাতা: চার জেলার চার পুরনিগমে ( West Bengal Municipal Elections 2022) শনিবার ভোটগ্রহণ। দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি পুরনিগম (Siliguri Municipal Election), হুগলি জেলার চন্দননগর পুরনিগম (Chandannagar Municipal Election), উত্তর ২৪ পরগনার বিধাননগর পুরনিগম (Bidhannagar Municipal Election) ও পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল পুরনিগমে (Asansol Municipal Election) ভোট। সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ১৪ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আগামী সোমবার ভোটের ফল ঘোষণা। প্রথমে ২২ জানুয়ারি এই চার পুরনিগমে ভোট হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু কোভিড কাঁটায় তা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শনিবারের ভোটে চার পুরনিগমের জন্য ৯ হাজার বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এর মধ্যে সাড়ে আট হাজার থাকছে বুথের দায়িত্বে। বাকি ৫০০ বাহিনী থাকছে কুইক রেসপন্স টিম, নাকা চেকিং ইত্যাদির জন্য। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে চার পুরনিগমের নির্বাচনের জন্য সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে, রয়েছে লাঠিধারীও। ১০০ শতাংশ বুথেই রয়েছে সিসিটিভি।
ভোট শুরু হতেই বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত অভিযোগ আসতে শুরু করে। বেলা গড়াতেই বাড়তে থাকে বিরোধীদের অভিযোগের তালিকা। শিলিগুড়ি, আসানসোল এবং বিধাননগর থেকে কখনও ভুয়ো ভোটার, কখনও বিরোধীদের উপর শাসকদলের হামলা, আবার কখনও ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠছে। বেলা ৩ টে অবধি আসানসোলে ভোট পড়েছে ৭১.৯৮ শতাংশ। বিধাননগরে ৭১.৩২ শতাংশ, চন্দননগরে ৭১.০৬ শতাংশ এবং শিলিগুড়িতে ৭৩.০৫ শতাংশ।
পশ্চিম বর্ধমান: শনিবার আসানসোল-সহ চার পুরনিগমের নির্বাচন (Municipal Elections 2022)। এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন সময়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর উঠে এসেছে। কখনও বুথের বাইরে গুলি চালিয়ে, কখনও ভুয়ো ভোটার দিয়ে দেদার ছাপ্পার অভিযোগ উঠেছে। এ বার আসানসোলের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বোগড়া রিফিউজি কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১১ নম্বর বুথ দখল করে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
বিস্তারিত পড়ুন: Asansol Municipal Election: ‘ভোট না হলেই চলত!’, দেদার ‘ছাপ্পায়’ জেরবার, ‘হতাশ’ বিজেপি প্রার্থী!
Chandannagar Municipal Election : চন্দননগরে ভোট শেষ হতেই সবুজ আবির আর মিষ্টি মুখে মাতল তৃণমূল শিবির। চন্দননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মুন্না আগরওয়াল ভোট শেষ হতেই দলীয় কর্মীদের নিয়ে সবুজ আবির মাখলেন। মিষ্টি মুখ করালেন কর্মীদের।
চার পুরনিগমে বেলা ৫টে অবধি ভোটের হার-
আসানসোল পুরনিগম- ৭১.৯৮ শতাংশ
বিধাননগর পুরনিগম- ৭১.৩২ শতাংশ
চন্দননগর পুরনিগম- ৭১.০৬ শতাংশ
শিলিগুড়ি পুরনিগম- ৭৩.০৫ শতাংশ
Bidhannagar Municipal Election : আজ সকাল থেকেই ভুয়ো ভোটার, ছাপ্পা ভোট, মারধর নিয়ে ধুন্ধুমার কান্ড লেগেই ছিল বিধাননগর পুরনিগম নির্বাচনে। অভিযোগের তীর ছিল শাসক শিবির অর্থাৎ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর ভোটের নামে এই প্রহসনের বিরুদ্ধে আজ সন্ধে ৬ টায় এসডিও অফিসের সামনে ভারতীয় জনতা পার্টি বিক্ষোভ দেখাবে।
Asansol Municipal Election : আসানসোলে শেষবেলাতেও অব্যহত নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা। ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ডিএভি স্কুলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। দুইজন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। ৫ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Bidhannagar Municipal Election : বিধাননগর পুরনিগমের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা চক্রবর্তীর স্বামীর মাথিয়ে ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের ১ এবং ২ নম্বর বুথে প্রিসাইডিং অফিসাররের উপস্থিতিতে তৃণমূলের পোলিং এজেন্ট বহিরাগতদের নিয়ে এসে দেদার ছাপ্পা ভোট চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। ছাপ্পা ভোটের খবর পেয়ে বুথে যান বিজেপি প্রার্থী ও তাঁর স্বামী। ছাপ্পা ভোটের প্রতিবাদ করতেই বিজেপি প্রার্থীকে মারধর করা হয়। তাঁর গলা টিপে ধরা হয় বলেও অভিযোগ। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে প্রার্থীর স্বামীও আক্রমণের শিকার হন। তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছিল বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি প্রার্থী।
Bidhannagar Municipal Election : বিধাননগর পুরনিগমের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে মৃত ব্যক্তিদের নাম ভোট পড়ার অভিযোগ। বিধাননগের ৩৩ নং ওয়ার্ডের ১৭৪ নম্বর বুথে প্রয়াত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের নামে ভোট পড়েছে। এছাড়াও আরও একটি এক মৃত ব্যক্তির নামে ভোট পড়েছে বলে অভিযোগ।
সকাল থেকেই উত্তপ্ত আসানসোল (Asansol)। বিজেপি নেতা- নেত্রীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুর এলাকা জুড়ে। আর বেলা বাড়তেই বিজেপি প্রার্থীকে (BJP Candidate) অপহরণ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আসানসোলের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মধুসূদন দে-কে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানান প্রার্থীর স্ত্রী। শুধু প্রার্থীই নয়, তাঁর ছেলেকেও অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের দুজনের কোনও খোঁজ ছিল না। পুলিশের দ্বারস্থও হন ওই প্রার্থীর স্ত্রী। পরে ফিরে আসেন মধুসূদনবাবু। তাঁর দাবি, তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল শাসক দলের লোকজন। একটি বন্ধ ফ্ল্যাটে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিস্তারিত পড়ুন : Asansol Municipal Election: বিজেপি প্রার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হল বন্ধ ফ্ল্যাটে!
Asansol Municipal Election : ফের আসানসোলে চলল গুলি। এইবার উত্তর আসানসোলের ২৭ নং ওয়ার্ডে ধাদকা এমসি লাহিড়ী স্কুলের কাছে গুলি চলার অভিযোগ উঠল। শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে ভোটারদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ছুটে আসে পুলিশও। দুষ্কৃতীদের খুঁজতে পুলিশ তল্লাশি চালায়। রাস্তায় দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। দুষ্কৃতীরা মোটরবাইকে এসেছিল। বিজেপির একটি সাজানো বুথে ভাঙচুর করে। বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির অভিযোগের নিশানা তৃণমূলের দিকেই।
চার পুরনিগমে বেলা ৩টে অবধি ভোটের হার-
আসানসোল পুরনিগম- ৬২.২৯ শতাংশ
বিধাননগর পুরনিগম- ৫৮.৬৪ শতাংশ
চন্দননগর পুরনিগম- ৫৭.৬৩ শতাংশ
শিলিগুড়ি পুরনিগম- ৬১.২৯ শতাংশ
Bidhannagar Municipal Election : বিধাননগর পুরনিগমের বাগুইপাড়ায় দুই প্রার্থীর মধ্যে বচসা বাধল। বিধাননগরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী কাকলি বাগুইয়ের সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী জয়শ্রী বাগুইয়ের বচসা বাধে। বচসা রীতিমতো হাতাহাতিতে পৌঁছায়।
Bidhannagar Municipal Corporation : পুর নির্বাচন ঘিরে সকাল থেকেই উত্তপ্ত বিধাননগর। ৩১ নম্বরের পর এইবার ৩২ নম্বরে ভুয়ো ভোটার পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভোটারকে নিজের নাম বলছেন প্রদীপ কিন্তু ভোটার স্লিপে নাম রয়েছে নির্মল কুমার বৈষ্ণব। তার কাছে কোনও পরিচয়পত্র নেই এবং ভোটার কার্ডও ছিল না। পুলিশ প্রথমে গড়িমসি করে। শেষে চাপে পড়ে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
রাজ্যের চার পুরনিগমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে শনিবার সকাল থেকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর। বিশেষত আসানসোলে (Asansol Municipal Election) শাসক দলের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ সামনে এনেছেন বিরোধীরা। একদিকে পুলিশের তরফে নোটিস দেওয়া হয়েছে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। অন্যদিকে রাস্তায় বেরতেই বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের (Agnimitra Paul) গাড়ি আটকাল পুলিশ। এ দিন সকাল থেকেই অগ্নিমিত্রার আসানসোলের বাড়ির সামনে ছিল কড়া পুলিশি প্রহরা। পরে তিনি বাড়ি থেকে বেরতে গেলে তাঁকে বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ।
পড়ুন বিস্তারিত: Asansol Municipal Election: কমিশন বলছে ‘যেতে পারেন’, রাস্তায় বেরতেই অগ্নিমিত্রাকে আটকাল পুলিশ
Chandannagar Municipal Election : চন্দননগর পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বুথজ্যামের অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির তরফে এই অভিযোগ করা হয়েছে। সেই কারণে ভোটার লিস্ট নিয়ে চলে যাওয়া হয়েছে। এর জেরে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪০ নম্বর বুথে। দেড় ঘণ্টার উপরে এই বুথে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে।
শনিবার সকাল থেকেই বিচ্ছিন্নভাবে অশান্তির ঘটনা ঘটছিল পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ায়। বিরোধীদের দাবি শাসকদলের দুষ্কৃতীরা ক্রমাগত বুথ দখলের চেষ্টা করতে থাকে। সিপিআই(এম) এর দাবি এদিন তৃণমূল দুষ্কৃতীরা শ্রীপুর হাইস্কুলের ১১২ ও ১১৪ নম্বর বুথ দখলের চেষ্টা করলে এলাকার সিপিএম কর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। প্রতিরোধের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের হামলাকারীরা গুলি চালাতে-চালাতে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিং এর ছেলে ও তার দলবল এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ বাম কর্মীদের।
বিস্তারিত পড়ুন: Municipal Election 2022: বুথের বাইরে লাগাতার গুলি! শাসকদলের দাবি, ‘গুলি নয়, ওটা বিয়েবাড়ির বাজি’
Asansol Municipal Election : আসানসোলের পুরনিগমের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তেজনা ছড়ায়। রানিগঞ্জের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের রামবাগান সুরমাপাড়ায় সিপিএম প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সকাল থেকেই সিপিএম এর তরফে অভিযোগ আনা হয়েছে, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৯ নম্বর বুথে বহিরাগতদের এনে বুথ দখল করে ভোট করাচ্ছে শাসক শিবির। সিপিএম প্রার্থী সঞ্জয় প্রামাণিক বুথে এসে প্রতিবাদ জানালে শাসক দলের গুন্ডা বাহিনী তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী
উত্তর ২৪ পরগনা: নিজ গড়েই বড় ধাক্কা খেলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। বিজেপির তরফে প্রার্থীপদ পেয়েও দলত্যাগ করলেন অর্জুনের ভাইপো সৌরভ সিং, ভগ্নিপতি সুনীল সিং ও তাঁর ছেলে আদিত্য সিং। তিনজনেই বিজেপির তরফে এ বার পুরভোটে প্রার্থীপদ পেয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপিতে থেকে কাজ করতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ তাঁদের।
বিস্তারিত পড়ুন: Municipal Elections 2022: নিজ গড়েই বড় ধাক্কা অর্জুনের, টিকিট পেয়েও পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে সাংসদ-ভাইপো, ভগ্নিপতি!
ভোট দিলেন বিজেপি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। বিধাননগরে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ভগবতী বালিকা বিদ্যালয়ে ভোট দিলেন তিনি। এই ওয়ার্ডই আবার সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরা নেতা সব্যসাচী দত্তের ওয়ার্ড। ভোট দিয়ে বেরিয়ে সব্যসাচীর সঙ্গে কোলাকুলি করতে দেখা গেল ‘বিদ্রোহী’ জয়প্রকাশকে। বুথ থেকে বেরিয়ে জয়প্রকাশ বলেন, “শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। আমি অন্তত কিছু দেখিনি।”
বিজেপি প্রার্থী ও প্রার্থীর ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ উঠল। আসানসোলের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। অপহরণের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রার্থীর স্ত্রীর অভিযোগ, একটি কালো রঙের গাড়ি তুলে নিয়ে যায়। শনিবার আসানসোলে পুরভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করে এখানে। কোথাও মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, কোথাও আবার বুথে গুলি চালানোর অভিযোগ ঘিরে বারবার শিরোনামে উঠে আসে আসানসোল। এবার আসানসোল দক্ষিণের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ উঠল।
চার পুরনিগমে বেলা ১টা অবধি ভোটের হার-
আসানসোল পুরনিগম- ৪৬.৬ শতাংশ
বিধাননগর পুরনিগম- ৪৫.৫ শতাংশ
চন্দননগর পুরনিগম- ৪১.৭৪ শতাংশ
শিলিগুড়ি পুরনিগম- ৪৫.০১ শতাংশ
সাংসদ জয়ন্ত রায়ের বিরুদ্ধে নিউ জলপাইগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করল তৃণমূল। জলপাইগুড়ির সাংসদ শিলিগুড়ি পুরভোটে বিভিন্ন বুথে কেন ঘুরছেন, তা নিয়েই অভিযোগ শাসকদলের।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে কংগ্রেস। আসানসোল ও বিধাননগরে ভোটে একাধিক কংগ্রেস প্রার্থী আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। ধাক্কা দিয়ে তাঁদের বের করে দেওয়া হচ্ছে, বিধাননগরে প্রচুর বহিরাগত এনে ভোট করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। তাই শনিবার কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তারা।
অগ্নিমিত্রা পালের অনলাইনে নাম উঠেছে ভোটার তালিকায়। এলআইসি ক্যান্টিন ভোট কেন্দ্রে ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট দিতে এসে জানতে পারলেন সেখানে তাঁর নামই নেই। ভোট না দিয়ে ফিরে গেলেন তিনি। জানান অনলাইনে ভোটার তালিকায় নাম ও ভোট কেন্দ্রের নাম থাকলেও এখানে নাকি ভোটার লিস্টে তাঁর কোনও নামই নেই। আর এই গাফিলতির দায় চাপিয়েছেন স্টেট ইলেকশন কমিশনের উপর।
জ্যাংড়া আদর্শ বিদ্যালয়ে বিজেপি, সিপিএম কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি। উত্তেজনার জেরে ডিসি, এসিপি’র নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। বিরোধীদের অভিযোগ, ১১, ১৫, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট রয়েছে জ্যাংরা স্কুলে। ১১টি বুথের ভোট যে স্কুলে সেখানে বহিরাগতরা জড়ো হয় বলে অভিযোগ বিরোধীদের। সেই অভিযোগ ঘিরেই দু’পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির সূত্রপাত। পুলিশকর্তাকে সামনে পেয়ে নিজেদের অভিযোগ জানাতে থাকেন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সুস্মিতা সেন।
আসানসোলের জামুড়িয়ায় ১২ নম্বর ওয়ার্ডে শ্রীপুর হাই স্কুলের বুথে গুলি চালানোর অভিযোগ। স্থানীয় সিপিএম নেতা তথা ১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম নেতা তাপস কবির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই বুথে ভোট লুঠ করতে এসেছিল। সেই সময় প্রতিরোধ হলে শূন্যে গুলি চালাতে চালাতে বেরিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। জামুড়িয়ায় সকাল থেকেই বিচ্ছিন্নভাবে অশান্তির ঘটনা ঘটছিল। এবার জামুড়িয়ার শ্রীপুরে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। সিপিএমের দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা শ্রীপুর হাইস্কুলের ১১২ ও ১১৪ নম্বর বুথ দখলের চেষ্টা করলে এলাকার সিপিএম কর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের দাবি, ওই বুথে কোনও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি। বরং ঘাসফুল শিবিরের দাবি, সিপিএমের লোকজনই বুথে হামলা করে।
নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে, এমনই অভিযোগ তুলে দুর্গাপুরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করল সিপিএম। আসানসোল পুরনিগম-সহ রাজ্যের চারটি পুরসভায় নির্বাচনের নামে ‘প্রহসনের’ প্রতিবাদে দুর্গাপুরের ফরিদপুরে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সিপিএমের। আধ ঘণ্টা অবরোধের পরে পুলিশ এসে অবরোধ মুক্ত করে জাতীয় সড়ক।
কলকাতা: শনিবারের পুরভোটে চার পুরকেন্দ্রে বিভিন্ন সময়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে এসেছে। কমিশনের (State Election Commission) সর্বাধিক সতর্ক নজর রয়েছে বিধাননগরে। সেখানে যাতে কোনওরকম কোনও বিক্ষোভের ঘটনা না ঘটে সেদিকেই বিশেষ নজর দিয়েছে কমিশন। এই পরিস্থিতিতে কোনওরকম অশান্তি রুখতে বিধাননগর পুলিশ আধিকারিকদের ফোন করে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণের নির্দেশ দেয় কমিশন। সমস্ত আইপিএস অফিসারদের ফোন করে বলা হয়, কোনওরকম কোনও অশান্তির চিহ্ন দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পদক্ষেপ করবে।
বিস্তারিত পড়ুন: Municipal Elections 2022: ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিগ্রহণের নির্দেশ কমিশনের, ভোটশেষে ‘গুডবয় ইমেজ’ ধরে রাখতে সচেষ্ট?
আসানসোল এলাকায় ভোটের (Asansol Municipal Election) সকাল থেকেই উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। বিরোধী প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। এরই মধ্যে আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে (Jitendra Tiwari) নোটিস ধরিয়েছে পুলিশ। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বুথে বুথে ঘুরছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই নোটিস পাওয়ার পরই জিতেন্দ্র তিওয়ারি দাবি করেন, সব নিয়ম শুধু বিরোধীদের জন্যই। পাশাপাশি, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জিতেন্দ্র বলেন, ‘মানুষ সব দেখছে, ফল ভুগতে হবে’। এ দিন সকালে তাঁর স্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী চৈতালি তিওয়ারি বিক্ষোভের মুখে পড়েন। সেই ঘটনারও নিন্দা করেছেন জিতেন্দ্র।
পড়ুন বিস্তারিত: Asansol Municipal Election: ‘মানুষ সব দেখছে, ফল ভুগতে হবে’, হুঁশিয়ারি জিতেন্দ্র-র
শিলিগুড়িতে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করলেন সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য। সিপিআইএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হলেও তিনি ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার। তিনি শনিবার দুপুর ১২ টায় শিলিগুড়ি নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয় ২৬/২০১ নাম্বার বুথে ভোট দেন।
কলকাতা হাইকোর্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, পুরভোটে গোলমাল হলে তার দায় নিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের পরে সতর্ক কমিশন। রাজ্য পুলিশের একাধিক উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে চার পুরসভার ভোট নিয়ে খোঁজ খবর নেন নির্বাচন কমিশনার। তবে বাড়তি পুলিশ পাঠানো হয় বিধাননগরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সব্যসাচী দত্তের ওয়ার্ডে পাঠানো হয় বাড়তি বাহিনী।
বিধাননগর: শনিবার সকালে বিএফ কমিউনিটি সেন্টারের ওই বুথে শৌচালয়ের মধ্যে লুকিয়েছিল কয়েকজন যুবক। তাদেরই কয়েকজন আবার ভোটার সেজে লাইনে দাঁড়িয়েছিল বলে অভিযোগ। শৌচালয় অনেকক্ষণ বন্ধ থাকায় সন্দেহ হতেই দরজায় ধাক্কা দেন বুথে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার। তখনই শৌচালয়ের ভেতরে দুই যুবককে পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে একজন তখনই পালিয়ে যায়। আরেকজন তখনই ধরা পড়ে। TV9 বাংলার ক্যামেরাতেও ধরা পড়ে সেই ছবি।
বিস্তারিত পড়ুন: Bidhannagar Municipal Election: শৌচালয়ের মধ্যে লুকিয়েছিল ‘ভুয়ো ভোটার’, ধরা পড়তেই দে-দৌড়! বিধাননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তেজনা
সকাল ১১টা অবধি চার পুরনিগমে ভোট পড়েছে ২৯.২৫ শতাংশ। আসানসোলে ভোট পড়েছে ৩০.৪২ শতাংশ, বিধাননগরে ২৯.৮১ শতাংশ, চন্দননগরে ২৫.৬৯ শতাংশ এবং শিলিগুড়িতে ভোট পড়েছে ২৮.০৭ শতাংশ।
ভোটের আগে থেকেই উত্তপ্ত আসানসোল (Asansol Municipal Election)। শুক্রবার সন্ধেয় পুরনিগম এলাকার একাধিক জায়গায় বহিরাগত রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন বিজেপির (BJP) নেতা- নেত্রীরা। আর এবার সেই বিজেপির বিরুদ্ধেই পাল্টা তোপ দাগলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক (Malay Ghatak)। তাঁর দাবি, নিয়ম ভাঙছেন বিরোধীরাই। বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul) আসানসোলের ভোটার না হওয়া সত্ত্বেও কেন এই এলাকায় ভোটের সময় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শনিবার ভোট দিয়ে বেরিয়ে মলয় ঘটক দাবি করেন, বিজেপি নেতা বা নেত্রীরাই আইন ভাঙছেন। জিতেন্দ্র তিওয়ারি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ও মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
পড়ুন বিস্তারিত: Asansol Municipal Election: অগ্নিমিত্রা তো ভোটারই নন! বিজেপির বিরুদ্ধেই অভিযোগ মন্ত্রীর
সিপিএমের পোলিং এজেন্টকে মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ। আসানসোলের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী বন্দনা রুইদাসের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় জামুড়িয়া মুসলিম পাড়া কমিউনিটি হলের ৭৮ নম্বর বুথে পোলিং এজেন্ট ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক পেলব কবি-র মেয়ে পৌলমী কবি। অভিযোগ, বুথের ভিতর ঢুকে প্রিসাইডিং অফিসার ও পুলিশের সামনেই তৃণমূল প্রার্থী বন্দনা রুইদাস নিজে সিপিএম পোলিং এজেন্ট পৌলমী কবির উপর চড়াও হন। মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।
জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নোটিস ধরাল পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ তিনি সশস্ত্র সেন্ট্রাল ফোর্স নিয়ে বুথে বুথে ঘুরছেন। যা আইন অনুমোদন দেয় না। পুলিশের এই নোটিস পাওয়ার পরই তিনি তাঁর সশস্ত্র বাহিনীকে সরিয়ে দেন। জিতেন্দ্রকে আসানসোলে ধাদকা এনসি লাহিড়ি স্কুলে ১০০ মিটার দূর থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। পুলিশকে আসানসোলের প্রাক্তন এই মেয়রের কটাক্ষ, ‘বেলা ২টোর পর বুথ লুঠ করা হবে। পুলিশ তারই ব্যবস্থা করছে। রাস্তা ফাঁকা করছে।’
বিধাননগর: পুরভোটে সরগরম বিধাননগর (Bidhannagar Municipal Election)। সকাল থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিক্ষোভের ছবি ধরা পড়েছে। এ বার, বিধাননগরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে কার্যত হাতাহাতি শুরু হয়। অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থী মিনু দাস চক্রবর্তী ছাপ্পা ভোট করাচ্ছিলেন।
বিস্তারিত পড়ুন: Bidhannagar Municipal Election: বিধাননগরে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে ২ প্রার্থীর হাতাহাতি, রিপোর্ট তলব কমিশনের
বিধাননগরেও একাধিক ওয়ার্ড থেকে বিরোধীদের প্রার্থী প্রত্যাহারের পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে। ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে কন্ট্রোল রুমে ফোন করেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী সুস্মিতা ফৌজদার। দল সিদ্ধান্ত নিলে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নেবেন বলেও জানান। তাঁর অভিযোগ, অবাধে ছাপ্পা ভোট চলছে।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ দখল, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ। ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন আসানসোল পুরনিগমের ৭৯ নম্বরের বিজেপি প্রার্থী। হীরাপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। নেতৃত্বে অগ্নিমিত্রা পাল।
নির্দল প্রার্থীই চাপ বাড়াচ্ছে শিলিগুড়ির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী গৌতম দেবের। টাকা ও চাল বিলির অভিযোগে শুক্রবার রাতে নির্দল প্রার্থী বিজন সরকারকে পুলিশ হেনস্থা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তাতে তিনি দমেননি। শনিবার সকাল থেকে শাসকদলের চোখে চোখ রেখে লড়াই চালাচ্ছেন তিনি। নির্দল প্রার্থীর বক্তব্য, এলাকার ছেলে তিনি। তাঁকে মানুষ ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। ব্যালটেই তার জবাব পেয়ে যাবে সকলেই।
চন্দননগর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বিটি কলেজে উত্তেজনা। তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে বচসা। বিজেপি ও সিপিআইএম প্রার্থীর অভিযোগ তৃণমূল প্রার্থী বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসে ভোটারদের প্রভাবিত করছে। টোটো করে ভোটারদের নিয়ে এসে বুথের মধ্যে প্রবেশ করানো হচ্ছে। এই নিয়ে শুরু হয় উত্তেজনা। যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঘাসফুল প্রার্থী।
জোর করে পুলিশ দিয়ে সিপিএম প্রার্থীর বাড়িতে সিসিটিভি বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনা চন্দননগরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। অভিযোগ, চন্দননগরের নিচুপট্টি এলাকায় বাম প্রার্থী রেখা তিওয়ারি বাড়ির সিসিটিভি শনিবার সকালে বন্ধ করতে বলেন এলাকারই তৃণমূল কর্মীরা। না হলে বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে যায়। এরপরই তেমনটা ঘটে। রেখাদেবীর ভাইয়ের ব্যবসার সুরক্ষার জন্যই এই সিসিটিভি বসানো হয়েছিল বলে দাবি তিওয়ারি পরিবারের।
ভোট পরিদর্শনে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তাঁর স্ত্রী বিজেপি প্রার্থী চৈতালি তিওয়ারি। তৃণমূলের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। পুলিশের সঙ্গেও বচসা জিতেন্দ্র ও তাঁর স্ত্রীয়ের। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি কদমস্কুলের বুথে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে এলাকার। জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি এবার ওই এলাকার বিজেপি প্রার্থী। সকালে তিনি হাজি কদমস্কুলের বুথ পরিদর্শনে যান। কিন্তু স্কুল-বুথে ঢোকার আগেই ভোটারদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তবে চৈতালির অভিযোগ, তৃণমূলের লোক বিক্ষোভ দেখিয়েছে। চৈতালির সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী জিতেন্দ্র তিওয়ারিও। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, জিতেন্দ্র ওই এলাকায় বহিরাগত, সেক্ষেত্রে তিনি কেন বুথে ঢোকার চেষ্টা করছেন? তাঁকে বাধা দেয় পুলিশও। জিতেন্দ্র তিওয়ারির পাল্টা বক্তব্য, তিনি নির্বাচনী এজেন্ট। সেক্ষেত্রে তিনি বুথ পরিদর্শনে আসতেই পারেন। পুলিশও জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে বুথে ঢুকতে বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সস্ত্রীক জিতেন্দ্র। চৈতালি তিওয়ারিকেও হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের সামনে হাউ হাউ করে কাঁদলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী বিজেপি প্রার্থী চৈতালি তিওয়ারি।
বিধাননগর পুরনিগমের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী এবং বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ। তৃণমূল প্রার্থী মিনু দাস চক্রবর্তী ও বিজেপি প্রার্থী প্রমিতা সাহার মধ্যে হাতাহাতি হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট চাইল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রিটার্নিং অফিসারকে জানাতে নির্দেশ।
https://t.co/nOEEwDEkkq | বিধাননগরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে কার্যত হাতাহাতি, রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন
সব খবর বিস্তারিত: https://t.co/WHPSwAgmzg#BidhannagarMunicipalElection | #WBMunicipalElection2022 pic.twitter.com/OTAzJ0pmiT
— TV9 Bangla (@Tv9_Bangla) February 12, 2022
শিলিগুড়ির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তেজনা তৈরি হয়। এখানকার তৃণমূল প্রার্থী গৌতম দেব। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বহিরাগত নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এলাকায়। ৩৩/৩ নবগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যে বুথ, সেখানে দাঁড়িয়ে বিজেপি প্রার্থী অভিযোগ তোলেন, দলবল নিয়ে গৌতম দেব ভোটকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছেন। একই অভিযোগ করেছেন সিপিএম প্রার্থীও। যদিও বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধেও পাল্টা অভিযোগ, বহিরাগত এনে বুথে ভিড় বাড়ানোর।
বিধাননগরের সিএফ ব্লকে উত্তেজনা। সন্দেহ হয়েছিল এক জনকে নিয়ে। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। ঠিকঠাক উত্তর না দিতে পারায় পর্দাফাঁস। ধরা পড়েন ভুয়ো ভোটার। আর তা দেখেই লাইন থেকে বেরিয়ে গেলেন জনা তিরিশেক লোক। বুথের বাইরে পাঁচিলের গা ঘেঁষে সরু গলি দিয়ে দে দৌড়! আজব ঘটনা বিধাননগরের সিএফ ব্লকে। সাংবাদিক দেখে দৌঁড়ে পালাতে শুরু করলেন ‘বহিরাগত’রা। TV9 বাংলার ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই ছবি। ক্যামেরা দেখে চলল মুখ লোকানোর আপ্রাণ চেষ্টা। কেউ বললেন, ‘চা খেতে এসেছে আমি’, কেউ বা বললেন, ‘আমার ভোট দেওয়া হয়ে গিয়েছে।’ অথচ হাতের আঙুলের কালি দেখাতে বললে, তিনি বিষয়টা এড়িয়ে যান। সিএফ কমিউনিটি হলের মধ্যে জমায়েত করা ৩০ জন দৌঁড়ে পালালেন। অদ্ভূত ঘটনা বিধাননগরের সিএফ ব্লকে। বিরোধীদের বহিরাগত তত্ত্ব এক্ষেত্রে আরও বেশি করে জোরাল হল।
বিধাননগরের দশদ্রোণে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা। দশদ্রোণ অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে ইভিএমের সামনে দাঁড়িয়ে ভোটারদের এক নম্বর বোতাম টিপে তৃণমূল প্রার্থী নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিতে বলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে বুথ ছেড়ে বেরিয়ে যান সিপিএমের পোলিং এজেন্টরা। এ নিয়ে সিপিএম প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা বর্মনের সঙ্গে বাদানুবাদ হয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। টিভি নাইন এ বিষয়ে খবর করতে গেলে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হুঁশিয়ারির মুখে পড়তে হয় টিভি নাইনকে। পুলিশের উপস্থিতিতে বুথ চত্বর থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয় টিভি নাইনকে। নীরব দর্শক পুলিশ।
সকাল ৯টা পর্যন্ত চার পুরনিগমে ভোট পড়েছে-
শিলিগুড়ি ১২.৭১%, চন্দননগর ১১.৮১%, বিধাননগর ১৩.৬৪%, আসানসোল ১৩.৫৭%
আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি কদম রসুল স্কুলের বুথে উত্তেজনা। বুথে গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। জিতেন্দ্র তিওয়ারির এলাকার মানুষ ও পুলিশের বচসা। অন্যদিকে আসানসোলের ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের বুথক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন এসে বুথ ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।
শিলিগুড়ি পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এক মহিলা তৃণমূল কর্মী বৃদ্ধাকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। ওই তৃণমূল কর্মী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট করান বলে অভিযোগ উঠেছে। সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য নির্বাচন কমিশনে ফোনে অভিযোগ জানান৷ ক্যামেরার সামনে হতেই পুরো বিষয়টি ভুল হয়েছে বলে জানান মহিলা তৃণমূল কর্মী।
চন্দননগর পুরনিগমের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে চন্দননগর বাগবাজার। সেখানে ভোট মানে উৎসব। গোটা রাস্তা সাজিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন, ব্যানারে। বাগবাজার চৌমাথায় নানা রঙের পতাকা। মানুষ যাতে মনে আনন্দে নিয়ে রঙিন আমেজে ভোট দিতে যায়, সেটা ভেবেই এই ভাবনা বলে জানাচ্ছে প্রতিটা রাজনৈতিক দল।
আসানসোল পুরনিগমের রানিগঞ্জের ত্রিবেণীদেবী ভালোটিয়া কলেজে ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৬ নম্বর বুথে ইভিএম খারাপ। এখনও পর্যন্ত শুরু হয়নি ভোটগ্রহণ। অন্যদিকে এই ওয়ার্ডেরই ৭৮,৭৯,৮৩,৮৪ ও ৮৫ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টদের মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী সুমতি মুখোপাধ্যায়ের। এলাকায় বহিরাগতদের জমায়েতের অভিযোগ তুলেছেন।
পুলিশের গাড়িতে তৃণমূল প্রার্থীর নামের স্টিকার লাগানো রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আসানসোল পুর নির্বাচনের দিন শনিবার সকালে ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে এই ছবি দেখা গিয়েছে। চেলিডাঙ্গা হাই স্কুলে একটি পুলিশের গাড়িতে এক তৃণমূল প্রার্থীর স্টিকার লাগানো থাকতে দেখা যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সকাল থেকেই ভোট-পরিদর্শনে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের (Siliguri Municipal Election) সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য (Ashok Bhattacharya)। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী তিনি। শনিবার নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়িয়েই শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র বলেন, “সব জায়গাতেই আমাদের পোলিং এজেন্ট গিয়েছে। সব দলেরই গিয়েছে। কোনও জায়গাতেই গোলমালের কোনও খবর নেই। সবাই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিচ্ছে। কোথাও কোনও ভোটদাতাদের বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার খবর আমার কাছে এখনও নেই। আশা করছি সারাদিনটা এরকম শান্তিপূর্ণই থাকবে। শিলিগুড়ির যে ঐতিহ্য তা সবাই রক্ষা করে নিজের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দেবেন।”
সবিস্তারে পড়ুন: ‘ভোট শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে’, সকাল থেকেই ওয়ার্ডে ঘুরছেন সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য
বিধাননগর পুরনিগমের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সাধনা ঢালির বাড়িতে হামলার অভিযোগ। শুক্রবার রাতে দু’বার হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। বাড়ির কাচ ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ।
সবিস্তারে পড়ুন: রাতে বিধাননগরের বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলা, ভোটের দিন ‘ঘরবন্দি’
বুথের ভিতরে ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ১ নম্বর বোতামে ভোট দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দশদ্রোণ অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই অভিযোগে সরব হন এক সাধারণ ভোটার। প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কিছু বলতে চাননি। দশদ্রোণ অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫১-৫৫ পাঁচটি বুথ রয়েছে। বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে অনভিপ্রেত জমায়েতও। নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের ব্যানার লাগানো টোটো পৌঁছে যাচ্ছে একেবারে ভোটকেন্দ্রের গোড়ায়।বুথ চত্বরে ভোটার ছাড়াও অনেকে রয়েছে যাঁদের পরিচয় স্পষ্ট নয়।
রানিগঞ্জের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৮ নম্বর বুথে তৃণমূল এজেন্ট আসার আগেই মকপোল হওয়ার অভিযোগ। প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেক্টর অফিসে। ওই বুথের তৃণমূলের পোলিং এজেন্টের অভিযোগ রানিগঞ্জ গার্লস কলেজের তিনটি বুথের মধ্যে একমাত্র এই বুথেই সমস্যা হয়েছে। পোলিং এজেন্ট ভোট গ্রহণ শুরু করতে বাধা দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় প্রিসাইডিং অফিসার । তিনি ইভিএমের কাউন্টিং দেখেন ও তৃণমূল এজেন্টকেও দেখান। এরপরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। প্রায় ২০ মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল ।
গোলমাল পাকানোর অভিযোগে আসানসোল পুরভোটের দুই বিজেপি প্রার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। আসানসোলের কল্যাণপুরের একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে বহিরাগতদের রাখা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ওই দুই প্রার্থী বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা হলেন, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের শুভাশিস দাস ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিশ্বজিত্ মণ্ডল।
বিস্তারিত পড়ুন: পুরভোটের আগেই দুই বিজেপি প্রার্থী আটক আসানসোলে, গ্রেফতার এক প্রার্থীর ছেলেও
বিধাননগর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস জানা। তাঁরই অভিযোগ, বিএফ কমিউনিটি সেন্টারে ভোটের লাইনে একজনকে সন্দেহ হয়। কথা বলতেই বক্তব্যে অসঙ্গতি মেলে। বাবার নাম বলতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ। এরপরই হঠাৎ লাইন ছেড়ে চলে যান ওই ব্যক্তি। দেবাশিস জানার অভিযোগ, ভুয়ো ভোটার রয়েছে।
ভোট শুরু হতেই ইভিএম বিকলের অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। শিলিগুড়িতে ১২ নাম্বার ওয়ার্ডে ইভিএম বিকলের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
গোলমাল পাকানোর অভিযোগে আসানসোলের দুই বিজেপি প্রার্থীকে আটক করল পুলিশ। কল্যাণপুরের একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে বহিরাগতদের রাখার অভিযোগ তুলে ওই দুই প্রার্থী বিক্ষোভ দেখান। ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ মণ্ডল এবং ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ দাসকে শুক্রবার রাতেই আটক করা হয়।
আজ বিধাননগরের ৪১টি ওয়ার্ডে ভোট। ২০১৫’র ভোটে অশান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে বিধাননগরেরর ভোটে নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি শনিবার। ভোটে সাড়ে চার হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন হচ্ছে। এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিংকে বিশেষ দায়িত্বে রাখা হচ্ছে বিধাননগরে। ভোটের নিরাপত্তায় এই প্রথম ইএফআর (EFR), এসটিএফ (STF) কে ব্যবহার করা হচ্ছে। বহিরাগত ঠেকাতে জায়গায় জায়গায় শুক্রবার থেকেই চলছে নাকা তল্লাশি।
১০৬টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ আসানসোল পুরনিগমে। প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ ভোটার রয়েছেন। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ভোটের জন্য। ১৮ জন সার্কেল ইন্সপেক্টর থাকবেন। তাঁদের নীচে থাকছেন ৬৭৫ জন সশস্ত্র এএসআই এবং ৩ হাজার ১৪২ জন সশস্ত্র পুলিশ কনস্টেবল। অর্থাৎ সশস্ত্র পুলিশ প্রায় ৪ হাজারের কাছাকাছি।
চন্দননগরের ৩২টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ হবে শনিবার। একটিতে ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে। চন্দননগর কমিশনারেট শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে শুক্রবার থেকেই প্রস্তুতি সেরে রেখেছে। প্রায় ৭০০ পুলিশ কর্মী থাকছেন ভোটের জন্য। ১১৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে আজ।
শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৭টি ওয়ার্ডে শনিবার ভোটগ্রহণ হবে। কম বেশি ২০০ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ আজ। চার লক্ষের বেশি ভোটার। থাকছে ২৩০০ পুলিশ কর্মী। বুথগুলিতে থাকছে সিসিটিভি। একাধিক কনট্রোল রুমে রয়েছে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই নাকাচেকিং শুরু হয়েছে। সেক্টর মোবাইল কুইক রেসপন্স টিমের যে পুলিশ কর্মীরা কাজ করবেন, তারাও ইতিমধ্যে কাজে নেমে গিয়েছেন।
কলকাতা: চার জেলার চার পুরনিগমে ( West Bengal Municipal Elections 2022) শনিবার ভোটগ্রহণ। দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি পুরনিগম (Siliguri Municipal Election), হুগলি জেলার চন্দননগর পুরনিগম (Chandannagar Municipal Election), উত্তর ২৪ পরগনার বিধাননগর পুরনিগম (Bidhannagar Municipal Election) ও পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল পুরনিগমে (Asansol Municipal Election) ভোট। সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ১৪ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আগামী সোমবার ভোটের ফল ঘোষণা। প্রথমে ২২ জানুয়ারি এই চার পুরনিগমে ভোট হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু কোভিড কাঁটায় তা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শনিবারের ভোটে চার পুরনিগমের জন্য ৯ হাজার বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এর মধ্যে সাড়ে আট হাজার থাকছে বুথের দায়িত্বে। বাকি ৫০০ বাহিনী থাকছে কুইক রেসপন্স টিম, নাকা চেকিং ইত্যাদির জন্য। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে চার পুরনিগমের নির্বাচনের জন্য সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে, রয়েছে লাঠিধারীও। ১০০ শতাংশ বুথেই রয়েছে সিসিটিভি।
ভোট শুরু হতেই বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত অভিযোগ আসতে শুরু করে। বেলা গড়াতেই বাড়তে থাকে বিরোধীদের অভিযোগের তালিকা। শিলিগুড়ি, আসানসোল এবং বিধাননগর থেকে কখনও ভুয়ো ভোটার, কখনও বিরোধীদের উপর শাসকদলের হামলা, আবার কখনও ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠছে। বেলা ৩ টে অবধি আসানসোলে ভোট পড়েছে ৭১.৯৮ শতাংশ। বিধাননগরে ৭১.৩২ শতাংশ, চন্দননগরে ৭১.০৬ শতাংশ এবং শিলিগুড়িতে ৭৩.০৫ শতাংশ।
পশ্চিম বর্ধমান: শনিবার আসানসোল-সহ চার পুরনিগমের নির্বাচন (Municipal Elections 2022)। এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন সময়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর উঠে এসেছে। কখনও বুথের বাইরে গুলি চালিয়ে, কখনও ভুয়ো ভোটার দিয়ে দেদার ছাপ্পার অভিযোগ উঠেছে। এ বার আসানসোলের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বোগড়া রিফিউজি কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১১ নম্বর বুথ দখল করে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
বিস্তারিত পড়ুন: Asansol Municipal Election: ‘ভোট না হলেই চলত!’, দেদার ‘ছাপ্পায়’ জেরবার, ‘হতাশ’ বিজেপি প্রার্থী!
Chandannagar Municipal Election : চন্দননগরে ভোট শেষ হতেই সবুজ আবির আর মিষ্টি মুখে মাতল তৃণমূল শিবির। চন্দননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মুন্না আগরওয়াল ভোট শেষ হতেই দলীয় কর্মীদের নিয়ে সবুজ আবির মাখলেন। মিষ্টি মুখ করালেন কর্মীদের।
চার পুরনিগমে বেলা ৫টে অবধি ভোটের হার-
আসানসোল পুরনিগম- ৭১.৯৮ শতাংশ
বিধাননগর পুরনিগম- ৭১.৩২ শতাংশ
চন্দননগর পুরনিগম- ৭১.০৬ শতাংশ
শিলিগুড়ি পুরনিগম- ৭৩.০৫ শতাংশ
Bidhannagar Municipal Election : আজ সকাল থেকেই ভুয়ো ভোটার, ছাপ্পা ভোট, মারধর নিয়ে ধুন্ধুমার কান্ড লেগেই ছিল বিধাননগর পুরনিগম নির্বাচনে। অভিযোগের তীর ছিল শাসক শিবির অর্থাৎ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর ভোটের নামে এই প্রহসনের বিরুদ্ধে আজ সন্ধে ৬ টায় এসডিও অফিসের সামনে ভারতীয় জনতা পার্টি বিক্ষোভ দেখাবে।
Asansol Municipal Election : আসানসোলে শেষবেলাতেও অব্যহত নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা। ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ডিএভি স্কুলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। দুইজন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। ৫ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Bidhannagar Municipal Election : বিধাননগর পুরনিগমের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা চক্রবর্তীর স্বামীর মাথিয়ে ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের ১ এবং ২ নম্বর বুথে প্রিসাইডিং অফিসাররের উপস্থিতিতে তৃণমূলের পোলিং এজেন্ট বহিরাগতদের নিয়ে এসে দেদার ছাপ্পা ভোট চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। ছাপ্পা ভোটের খবর পেয়ে বুথে যান বিজেপি প্রার্থী ও তাঁর স্বামী। ছাপ্পা ভোটের প্রতিবাদ করতেই বিজেপি প্রার্থীকে মারধর করা হয়। তাঁর গলা টিপে ধরা হয় বলেও অভিযোগ। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে প্রার্থীর স্বামীও আক্রমণের শিকার হন। তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছিল বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি প্রার্থী।
Bidhannagar Municipal Election : বিধাননগর পুরনিগমের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে মৃত ব্যক্তিদের নাম ভোট পড়ার অভিযোগ। বিধাননগের ৩৩ নং ওয়ার্ডের ১৭৪ নম্বর বুথে প্রয়াত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের নামে ভোট পড়েছে। এছাড়াও আরও একটি এক মৃত ব্যক্তির নামে ভোট পড়েছে বলে অভিযোগ।
সকাল থেকেই উত্তপ্ত আসানসোল (Asansol)। বিজেপি নেতা- নেত্রীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুর এলাকা জুড়ে। আর বেলা বাড়তেই বিজেপি প্রার্থীকে (BJP Candidate) অপহরণ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আসানসোলের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মধুসূদন দে-কে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানান প্রার্থীর স্ত্রী। শুধু প্রার্থীই নয়, তাঁর ছেলেকেও অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের দুজনের কোনও খোঁজ ছিল না। পুলিশের দ্বারস্থও হন ওই প্রার্থীর স্ত্রী। পরে ফিরে আসেন মধুসূদনবাবু। তাঁর দাবি, তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল শাসক দলের লোকজন। একটি বন্ধ ফ্ল্যাটে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিস্তারিত পড়ুন : Asansol Municipal Election: বিজেপি প্রার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হল বন্ধ ফ্ল্যাটে!
Asansol Municipal Election : ফের আসানসোলে চলল গুলি। এইবার উত্তর আসানসোলের ২৭ নং ওয়ার্ডে ধাদকা এমসি লাহিড়ী স্কুলের কাছে গুলি চলার অভিযোগ উঠল। শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে ভোটারদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ছুটে আসে পুলিশও। দুষ্কৃতীদের খুঁজতে পুলিশ তল্লাশি চালায়। রাস্তায় দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। দুষ্কৃতীরা মোটরবাইকে এসেছিল। বিজেপির একটি সাজানো বুথে ভাঙচুর করে। বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির অভিযোগের নিশানা তৃণমূলের দিকেই।
চার পুরনিগমে বেলা ৩টে অবধি ভোটের হার-
আসানসোল পুরনিগম- ৬২.২৯ শতাংশ
বিধাননগর পুরনিগম- ৫৮.৬৪ শতাংশ
চন্দননগর পুরনিগম- ৫৭.৬৩ শতাংশ
শিলিগুড়ি পুরনিগম- ৬১.২৯ শতাংশ
Bidhannagar Municipal Election : বিধাননগর পুরনিগমের বাগুইপাড়ায় দুই প্রার্থীর মধ্যে বচসা বাধল। বিধাননগরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী কাকলি বাগুইয়ের সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী জয়শ্রী বাগুইয়ের বচসা বাধে। বচসা রীতিমতো হাতাহাতিতে পৌঁছায়।
Bidhannagar Municipal Corporation : পুর নির্বাচন ঘিরে সকাল থেকেই উত্তপ্ত বিধাননগর। ৩১ নম্বরের পর এইবার ৩২ নম্বরে ভুয়ো ভোটার পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভোটারকে নিজের নাম বলছেন প্রদীপ কিন্তু ভোটার স্লিপে নাম রয়েছে নির্মল কুমার বৈষ্ণব। তার কাছে কোনও পরিচয়পত্র নেই এবং ভোটার কার্ডও ছিল না। পুলিশ প্রথমে গড়িমসি করে। শেষে চাপে পড়ে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
রাজ্যের চার পুরনিগমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে শনিবার সকাল থেকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর। বিশেষত আসানসোলে (Asansol Municipal Election) শাসক দলের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ সামনে এনেছেন বিরোধীরা। একদিকে পুলিশের তরফে নোটিস দেওয়া হয়েছে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। অন্যদিকে রাস্তায় বেরতেই বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের (Agnimitra Paul) গাড়ি আটকাল পুলিশ। এ দিন সকাল থেকেই অগ্নিমিত্রার আসানসোলের বাড়ির সামনে ছিল কড়া পুলিশি প্রহরা। পরে তিনি বাড়ি থেকে বেরতে গেলে তাঁকে বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ।
পড়ুন বিস্তারিত: Asansol Municipal Election: কমিশন বলছে ‘যেতে পারেন’, রাস্তায় বেরতেই অগ্নিমিত্রাকে আটকাল পুলিশ
Chandannagar Municipal Election : চন্দননগর পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বুথজ্যামের অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির তরফে এই অভিযোগ করা হয়েছে। সেই কারণে ভোটার লিস্ট নিয়ে চলে যাওয়া হয়েছে। এর জেরে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪০ নম্বর বুথে। দেড় ঘণ্টার উপরে এই বুথে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে।
শনিবার সকাল থেকেই বিচ্ছিন্নভাবে অশান্তির ঘটনা ঘটছিল পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ায়। বিরোধীদের দাবি শাসকদলের দুষ্কৃতীরা ক্রমাগত বুথ দখলের চেষ্টা করতে থাকে। সিপিআই(এম) এর দাবি এদিন তৃণমূল দুষ্কৃতীরা শ্রীপুর হাইস্কুলের ১১২ ও ১১৪ নম্বর বুথ দখলের চেষ্টা করলে এলাকার সিপিএম কর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। প্রতিরোধের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের হামলাকারীরা গুলি চালাতে-চালাতে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিং এর ছেলে ও তার দলবল এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ বাম কর্মীদের।
বিস্তারিত পড়ুন: Municipal Election 2022: বুথের বাইরে লাগাতার গুলি! শাসকদলের দাবি, ‘গুলি নয়, ওটা বিয়েবাড়ির বাজি’
Asansol Municipal Election : আসানসোলের পুরনিগমের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তেজনা ছড়ায়। রানিগঞ্জের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের রামবাগান সুরমাপাড়ায় সিপিএম প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সকাল থেকেই সিপিএম এর তরফে অভিযোগ আনা হয়েছে, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৯ নম্বর বুথে বহিরাগতদের এনে বুথ দখল করে ভোট করাচ্ছে শাসক শিবির। সিপিএম প্রার্থী সঞ্জয় প্রামাণিক বুথে এসে প্রতিবাদ জানালে শাসক দলের গুন্ডা বাহিনী তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী
উত্তর ২৪ পরগনা: নিজ গড়েই বড় ধাক্কা খেলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। বিজেপির তরফে প্রার্থীপদ পেয়েও দলত্যাগ করলেন অর্জুনের ভাইপো সৌরভ সিং, ভগ্নিপতি সুনীল সিং ও তাঁর ছেলে আদিত্য সিং। তিনজনেই বিজেপির তরফে এ বার পুরভোটে প্রার্থীপদ পেয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপিতে থেকে কাজ করতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ তাঁদের।
বিস্তারিত পড়ুন: Municipal Elections 2022: নিজ গড়েই বড় ধাক্কা অর্জুনের, টিকিট পেয়েও পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে সাংসদ-ভাইপো, ভগ্নিপতি!
ভোট দিলেন বিজেপি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। বিধাননগরে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ভগবতী বালিকা বিদ্যালয়ে ভোট দিলেন তিনি। এই ওয়ার্ডই আবার সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরা নেতা সব্যসাচী দত্তের ওয়ার্ড। ভোট দিয়ে বেরিয়ে সব্যসাচীর সঙ্গে কোলাকুলি করতে দেখা গেল ‘বিদ্রোহী’ জয়প্রকাশকে। বুথ থেকে বেরিয়ে জয়প্রকাশ বলেন, “শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। আমি অন্তত কিছু দেখিনি।”
বিজেপি প্রার্থী ও প্রার্থীর ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ উঠল। আসানসোলের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। অপহরণের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রার্থীর স্ত্রীর অভিযোগ, একটি কালো রঙের গাড়ি তুলে নিয়ে যায়। শনিবার আসানসোলে পুরভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করে এখানে। কোথাও মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, কোথাও আবার বুথে গুলি চালানোর অভিযোগ ঘিরে বারবার শিরোনামে উঠে আসে আসানসোল। এবার আসানসোল দক্ষিণের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ উঠল।
চার পুরনিগমে বেলা ১টা অবধি ভোটের হার-
আসানসোল পুরনিগম- ৪৬.৬ শতাংশ
বিধাননগর পুরনিগম- ৪৫.৫ শতাংশ
চন্দননগর পুরনিগম- ৪১.৭৪ শতাংশ
শিলিগুড়ি পুরনিগম- ৪৫.০১ শতাংশ
সাংসদ জয়ন্ত রায়ের বিরুদ্ধে নিউ জলপাইগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করল তৃণমূল। জলপাইগুড়ির সাংসদ শিলিগুড়ি পুরভোটে বিভিন্ন বুথে কেন ঘুরছেন, তা নিয়েই অভিযোগ শাসকদলের।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে কংগ্রেস। আসানসোল ও বিধাননগরে ভোটে একাধিক কংগ্রেস প্রার্থী আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। ধাক্কা দিয়ে তাঁদের বের করে দেওয়া হচ্ছে, বিধাননগরে প্রচুর বহিরাগত এনে ভোট করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। তাই শনিবার কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তারা।
অগ্নিমিত্রা পালের অনলাইনে নাম উঠেছে ভোটার তালিকায়। এলআইসি ক্যান্টিন ভোট কেন্দ্রে ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট দিতে এসে জানতে পারলেন সেখানে তাঁর নামই নেই। ভোট না দিয়ে ফিরে গেলেন তিনি। জানান অনলাইনে ভোটার তালিকায় নাম ও ভোট কেন্দ্রের নাম থাকলেও এখানে নাকি ভোটার লিস্টে তাঁর কোনও নামই নেই। আর এই গাফিলতির দায় চাপিয়েছেন স্টেট ইলেকশন কমিশনের উপর।
জ্যাংড়া আদর্শ বিদ্যালয়ে বিজেপি, সিপিএম কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি। উত্তেজনার জেরে ডিসি, এসিপি’র নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। বিরোধীদের অভিযোগ, ১১, ১৫, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট রয়েছে জ্যাংরা স্কুলে। ১১টি বুথের ভোট যে স্কুলে সেখানে বহিরাগতরা জড়ো হয় বলে অভিযোগ বিরোধীদের। সেই অভিযোগ ঘিরেই দু’পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির সূত্রপাত। পুলিশকর্তাকে সামনে পেয়ে নিজেদের অভিযোগ জানাতে থাকেন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সুস্মিতা সেন।
আসানসোলের জামুড়িয়ায় ১২ নম্বর ওয়ার্ডে শ্রীপুর হাই স্কুলের বুথে গুলি চালানোর অভিযোগ। স্থানীয় সিপিএম নেতা তথা ১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম নেতা তাপস কবির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই বুথে ভোট লুঠ করতে এসেছিল। সেই সময় প্রতিরোধ হলে শূন্যে গুলি চালাতে চালাতে বেরিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। জামুড়িয়ায় সকাল থেকেই বিচ্ছিন্নভাবে অশান্তির ঘটনা ঘটছিল। এবার জামুড়িয়ার শ্রীপুরে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। সিপিএমের দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা শ্রীপুর হাইস্কুলের ১১২ ও ১১৪ নম্বর বুথ দখলের চেষ্টা করলে এলাকার সিপিএম কর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের দাবি, ওই বুথে কোনও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি। বরং ঘাসফুল শিবিরের দাবি, সিপিএমের লোকজনই বুথে হামলা করে।
নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে, এমনই অভিযোগ তুলে দুর্গাপুরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করল সিপিএম। আসানসোল পুরনিগম-সহ রাজ্যের চারটি পুরসভায় নির্বাচনের নামে ‘প্রহসনের’ প্রতিবাদে দুর্গাপুরের ফরিদপুরে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সিপিএমের। আধ ঘণ্টা অবরোধের পরে পুলিশ এসে অবরোধ মুক্ত করে জাতীয় সড়ক।
কলকাতা: শনিবারের পুরভোটে চার পুরকেন্দ্রে বিভিন্ন সময়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে এসেছে। কমিশনের (State Election Commission) সর্বাধিক সতর্ক নজর রয়েছে বিধাননগরে। সেখানে যাতে কোনওরকম কোনও বিক্ষোভের ঘটনা না ঘটে সেদিকেই বিশেষ নজর দিয়েছে কমিশন। এই পরিস্থিতিতে কোনওরকম অশান্তি রুখতে বিধাননগর পুলিশ আধিকারিকদের ফোন করে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণের নির্দেশ দেয় কমিশন। সমস্ত আইপিএস অফিসারদের ফোন করে বলা হয়, কোনওরকম কোনও অশান্তির চিহ্ন দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পদক্ষেপ করবে।
বিস্তারিত পড়ুন: Municipal Elections 2022: ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিগ্রহণের নির্দেশ কমিশনের, ভোটশেষে ‘গুডবয় ইমেজ’ ধরে রাখতে সচেষ্ট?
আসানসোল এলাকায় ভোটের (Asansol Municipal Election) সকাল থেকেই উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। বিরোধী প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। এরই মধ্যে আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে (Jitendra Tiwari) নোটিস ধরিয়েছে পুলিশ। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বুথে বুথে ঘুরছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই নোটিস পাওয়ার পরই জিতেন্দ্র তিওয়ারি দাবি করেন, সব নিয়ম শুধু বিরোধীদের জন্যই। পাশাপাশি, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জিতেন্দ্র বলেন, ‘মানুষ সব দেখছে, ফল ভুগতে হবে’। এ দিন সকালে তাঁর স্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী চৈতালি তিওয়ারি বিক্ষোভের মুখে পড়েন। সেই ঘটনারও নিন্দা করেছেন জিতেন্দ্র।
পড়ুন বিস্তারিত: Asansol Municipal Election: ‘মানুষ সব দেখছে, ফল ভুগতে হবে’, হুঁশিয়ারি জিতেন্দ্র-র
শিলিগুড়িতে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করলেন সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য। সিপিআইএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হলেও তিনি ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার। তিনি শনিবার দুপুর ১২ টায় শিলিগুড়ি নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয় ২৬/২০১ নাম্বার বুথে ভোট দেন।
কলকাতা হাইকোর্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, পুরভোটে গোলমাল হলে তার দায় নিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের পরে সতর্ক কমিশন। রাজ্য পুলিশের একাধিক উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে চার পুরসভার ভোট নিয়ে খোঁজ খবর নেন নির্বাচন কমিশনার। তবে বাড়তি পুলিশ পাঠানো হয় বিধাননগরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সব্যসাচী দত্তের ওয়ার্ডে পাঠানো হয় বাড়তি বাহিনী।
বিধাননগর: শনিবার সকালে বিএফ কমিউনিটি সেন্টারের ওই বুথে শৌচালয়ের মধ্যে লুকিয়েছিল কয়েকজন যুবক। তাদেরই কয়েকজন আবার ভোটার সেজে লাইনে দাঁড়িয়েছিল বলে অভিযোগ। শৌচালয় অনেকক্ষণ বন্ধ থাকায় সন্দেহ হতেই দরজায় ধাক্কা দেন বুথে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার। তখনই শৌচালয়ের ভেতরে দুই যুবককে পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে একজন তখনই পালিয়ে যায়। আরেকজন তখনই ধরা পড়ে। TV9 বাংলার ক্যামেরাতেও ধরা পড়ে সেই ছবি।
বিস্তারিত পড়ুন: Bidhannagar Municipal Election: শৌচালয়ের মধ্যে লুকিয়েছিল ‘ভুয়ো ভোটার’, ধরা পড়তেই দে-দৌড়! বিধাননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তেজনা
সকাল ১১টা অবধি চার পুরনিগমে ভোট পড়েছে ২৯.২৫ শতাংশ। আসানসোলে ভোট পড়েছে ৩০.৪২ শতাংশ, বিধাননগরে ২৯.৮১ শতাংশ, চন্দননগরে ২৫.৬৯ শতাংশ এবং শিলিগুড়িতে ভোট পড়েছে ২৮.০৭ শতাংশ।
ভোটের আগে থেকেই উত্তপ্ত আসানসোল (Asansol Municipal Election)। শুক্রবার সন্ধেয় পুরনিগম এলাকার একাধিক জায়গায় বহিরাগত রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন বিজেপির (BJP) নেতা- নেত্রীরা। আর এবার সেই বিজেপির বিরুদ্ধেই পাল্টা তোপ দাগলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক (Malay Ghatak)। তাঁর দাবি, নিয়ম ভাঙছেন বিরোধীরাই। বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul) আসানসোলের ভোটার না হওয়া সত্ত্বেও কেন এই এলাকায় ভোটের সময় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শনিবার ভোট দিয়ে বেরিয়ে মলয় ঘটক দাবি করেন, বিজেপি নেতা বা নেত্রীরাই আইন ভাঙছেন। জিতেন্দ্র তিওয়ারি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ও মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
পড়ুন বিস্তারিত: Asansol Municipal Election: অগ্নিমিত্রা তো ভোটারই নন! বিজেপির বিরুদ্ধেই অভিযোগ মন্ত্রীর
সিপিএমের পোলিং এজেন্টকে মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ। আসানসোলের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী বন্দনা রুইদাসের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় জামুড়িয়া মুসলিম পাড়া কমিউনিটি হলের ৭৮ নম্বর বুথে পোলিং এজেন্ট ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক পেলব কবি-র মেয়ে পৌলমী কবি। অভিযোগ, বুথের ভিতর ঢুকে প্রিসাইডিং অফিসার ও পুলিশের সামনেই তৃণমূল প্রার্থী বন্দনা রুইদাস নিজে সিপিএম পোলিং এজেন্ট পৌলমী কবির উপর চড়াও হন। মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।
জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নোটিস ধরাল পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ তিনি সশস্ত্র সেন্ট্রাল ফোর্স নিয়ে বুথে বুথে ঘুরছেন। যা আইন অনুমোদন দেয় না। পুলিশের এই নোটিস পাওয়ার পরই তিনি তাঁর সশস্ত্র বাহিনীকে সরিয়ে দেন। জিতেন্দ্রকে আসানসোলে ধাদকা এনসি লাহিড়ি স্কুলে ১০০ মিটার দূর থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। পুলিশকে আসানসোলের প্রাক্তন এই মেয়রের কটাক্ষ, ‘বেলা ২টোর পর বুথ লুঠ করা হবে। পুলিশ তারই ব্যবস্থা করছে। রাস্তা ফাঁকা করছে।’
বিধাননগর: পুরভোটে সরগরম বিধাননগর (Bidhannagar Municipal Election)। সকাল থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিক্ষোভের ছবি ধরা পড়েছে। এ বার, বিধাননগরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে কার্যত হাতাহাতি শুরু হয়। অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থী মিনু দাস চক্রবর্তী ছাপ্পা ভোট করাচ্ছিলেন।
বিস্তারিত পড়ুন: Bidhannagar Municipal Election: বিধাননগরে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে ২ প্রার্থীর হাতাহাতি, রিপোর্ট তলব কমিশনের
বিধাননগরেও একাধিক ওয়ার্ড থেকে বিরোধীদের প্রার্থী প্রত্যাহারের পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে। ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে কন্ট্রোল রুমে ফোন করেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী সুস্মিতা ফৌজদার। দল সিদ্ধান্ত নিলে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নেবেন বলেও জানান। তাঁর অভিযোগ, অবাধে ছাপ্পা ভোট চলছে।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ দখল, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ। ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন আসানসোল পুরনিগমের ৭৯ নম্বরের বিজেপি প্রার্থী। হীরাপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। নেতৃত্বে অগ্নিমিত্রা পাল।
নির্দল প্রার্থীই চাপ বাড়াচ্ছে শিলিগুড়ির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী গৌতম দেবের। টাকা ও চাল বিলির অভিযোগে শুক্রবার রাতে নির্দল প্রার্থী বিজন সরকারকে পুলিশ হেনস্থা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তাতে তিনি দমেননি। শনিবার সকাল থেকে শাসকদলের চোখে চোখ রেখে লড়াই চালাচ্ছেন তিনি। নির্দল প্রার্থীর বক্তব্য, এলাকার ছেলে তিনি। তাঁকে মানুষ ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। ব্যালটেই তার জবাব পেয়ে যাবে সকলেই।
চন্দননগর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বিটি কলেজে উত্তেজনা। তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে বচসা। বিজেপি ও সিপিআইএম প্রার্থীর অভিযোগ তৃণমূল প্রার্থী বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসে ভোটারদের প্রভাবিত করছে। টোটো করে ভোটারদের নিয়ে এসে বুথের মধ্যে প্রবেশ করানো হচ্ছে। এই নিয়ে শুরু হয় উত্তেজনা। যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঘাসফুল প্রার্থী।
জোর করে পুলিশ দিয়ে সিপিএম প্রার্থীর বাড়িতে সিসিটিভি বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনা চন্দননগরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। অভিযোগ, চন্দননগরের নিচুপট্টি এলাকায় বাম প্রার্থী রেখা তিওয়ারি বাড়ির সিসিটিভি শনিবার সকালে বন্ধ করতে বলেন এলাকারই তৃণমূল কর্মীরা। না হলে বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে যায়। এরপরই তেমনটা ঘটে। রেখাদেবীর ভাইয়ের ব্যবসার সুরক্ষার জন্যই এই সিসিটিভি বসানো হয়েছিল বলে দাবি তিওয়ারি পরিবারের।
ভোট পরিদর্শনে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তাঁর স্ত্রী বিজেপি প্রার্থী চৈতালি তিওয়ারি। তৃণমূলের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। পুলিশের সঙ্গেও বচসা জিতেন্দ্র ও তাঁর স্ত্রীয়ের। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি কদমস্কুলের বুথে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে এলাকার। জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি এবার ওই এলাকার বিজেপি প্রার্থী। সকালে তিনি হাজি কদমস্কুলের বুথ পরিদর্শনে যান। কিন্তু স্কুল-বুথে ঢোকার আগেই ভোটারদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তবে চৈতালির অভিযোগ, তৃণমূলের লোক বিক্ষোভ দেখিয়েছে। চৈতালির সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী জিতেন্দ্র তিওয়ারিও। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, জিতেন্দ্র ওই এলাকায় বহিরাগত, সেক্ষেত্রে তিনি কেন বুথে ঢোকার চেষ্টা করছেন? তাঁকে বাধা দেয় পুলিশও। জিতেন্দ্র তিওয়ারির পাল্টা বক্তব্য, তিনি নির্বাচনী এজেন্ট। সেক্ষেত্রে তিনি বুথ পরিদর্শনে আসতেই পারেন। পুলিশও জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে বুথে ঢুকতে বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সস্ত্রীক জিতেন্দ্র। চৈতালি তিওয়ারিকেও হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের সামনে হাউ হাউ করে কাঁদলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী বিজেপি প্রার্থী চৈতালি তিওয়ারি।
বিধাননগর পুরনিগমের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী এবং বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ। তৃণমূল প্রার্থী মিনু দাস চক্রবর্তী ও বিজেপি প্রার্থী প্রমিতা সাহার মধ্যে হাতাহাতি হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট চাইল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রিটার্নিং অফিসারকে জানাতে নির্দেশ।
https://t.co/nOEEwDEkkq | বিধাননগরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে কার্যত হাতাহাতি, রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন
সব খবর বিস্তারিত: https://t.co/WHPSwAgmzg#BidhannagarMunicipalElection | #WBMunicipalElection2022 pic.twitter.com/OTAzJ0pmiT
— TV9 Bangla (@Tv9_Bangla) February 12, 2022
শিলিগুড়ির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তেজনা তৈরি হয়। এখানকার তৃণমূল প্রার্থী গৌতম দেব। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বহিরাগত নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এলাকায়। ৩৩/৩ নবগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যে বুথ, সেখানে দাঁড়িয়ে বিজেপি প্রার্থী অভিযোগ তোলেন, দলবল নিয়ে গৌতম দেব ভোটকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছেন। একই অভিযোগ করেছেন সিপিএম প্রার্থীও। যদিও বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধেও পাল্টা অভিযোগ, বহিরাগত এনে বুথে ভিড় বাড়ানোর।
বিধাননগরের সিএফ ব্লকে উত্তেজনা। সন্দেহ হয়েছিল এক জনকে নিয়ে। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। ঠিকঠাক উত্তর না দিতে পারায় পর্দাফাঁস। ধরা পড়েন ভুয়ো ভোটার। আর তা দেখেই লাইন থেকে বেরিয়ে গেলেন জনা তিরিশেক লোক। বুথের বাইরে পাঁচিলের গা ঘেঁষে সরু গলি দিয়ে দে দৌড়! আজব ঘটনা বিধাননগরের সিএফ ব্লকে। সাংবাদিক দেখে দৌঁড়ে পালাতে শুরু করলেন ‘বহিরাগত’রা। TV9 বাংলার ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই ছবি। ক্যামেরা দেখে চলল মুখ লোকানোর আপ্রাণ চেষ্টা। কেউ বললেন, ‘চা খেতে এসেছে আমি’, কেউ বা বললেন, ‘আমার ভোট দেওয়া হয়ে গিয়েছে।’ অথচ হাতের আঙুলের কালি দেখাতে বললে, তিনি বিষয়টা এড়িয়ে যান। সিএফ কমিউনিটি হলের মধ্যে জমায়েত করা ৩০ জন দৌঁড়ে পালালেন। অদ্ভূত ঘটনা বিধাননগরের সিএফ ব্লকে। বিরোধীদের বহিরাগত তত্ত্ব এক্ষেত্রে আরও বেশি করে জোরাল হল।
বিধাননগরের দশদ্রোণে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা। দশদ্রোণ অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে ইভিএমের সামনে দাঁড়িয়ে ভোটারদের এক নম্বর বোতাম টিপে তৃণমূল প্রার্থী নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিতে বলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে বুথ ছেড়ে বেরিয়ে যান সিপিএমের পোলিং এজেন্টরা। এ নিয়ে সিপিএম প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা বর্মনের সঙ্গে বাদানুবাদ হয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। টিভি নাইন এ বিষয়ে খবর করতে গেলে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হুঁশিয়ারির মুখে পড়তে হয় টিভি নাইনকে। পুলিশের উপস্থিতিতে বুথ চত্বর থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয় টিভি নাইনকে। নীরব দর্শক পুলিশ।
সকাল ৯টা পর্যন্ত চার পুরনিগমে ভোট পড়েছে-
শিলিগুড়ি ১২.৭১%, চন্দননগর ১১.৮১%, বিধাননগর ১৩.৬৪%, আসানসোল ১৩.৫৭%
আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি কদম রসুল স্কুলের বুথে উত্তেজনা। বুথে গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। জিতেন্দ্র তিওয়ারির এলাকার মানুষ ও পুলিশের বচসা। অন্যদিকে আসানসোলের ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের বুথক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন এসে বুথ ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।
শিলিগুড়ি পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এক মহিলা তৃণমূল কর্মী বৃদ্ধাকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। ওই তৃণমূল কর্মী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট করান বলে অভিযোগ উঠেছে। সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য নির্বাচন কমিশনে ফোনে অভিযোগ জানান৷ ক্যামেরার সামনে হতেই পুরো বিষয়টি ভুল হয়েছে বলে জানান মহিলা তৃণমূল কর্মী।
চন্দননগর পুরনিগমের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে চন্দননগর বাগবাজার। সেখানে ভোট মানে উৎসব। গোটা রাস্তা সাজিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন, ব্যানারে। বাগবাজার চৌমাথায় নানা রঙের পতাকা। মানুষ যাতে মনে আনন্দে নিয়ে রঙিন আমেজে ভোট দিতে যায়, সেটা ভেবেই এই ভাবনা বলে জানাচ্ছে প্রতিটা রাজনৈতিক দল।
আসানসোল পুরনিগমের রানিগঞ্জের ত্রিবেণীদেবী ভালোটিয়া কলেজে ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৬ নম্বর বুথে ইভিএম খারাপ। এখনও পর্যন্ত শুরু হয়নি ভোটগ্রহণ। অন্যদিকে এই ওয়ার্ডেরই ৭৮,৭৯,৮৩,৮৪ ও ৮৫ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টদের মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী সুমতি মুখোপাধ্যায়ের। এলাকায় বহিরাগতদের জমায়েতের অভিযোগ তুলেছেন।
পুলিশের গাড়িতে তৃণমূল প্রার্থীর নামের স্টিকার লাগানো রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আসানসোল পুর নির্বাচনের দিন শনিবার সকালে ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে এই ছবি দেখা গিয়েছে। চেলিডাঙ্গা হাই স্কুলে একটি পুলিশের গাড়িতে এক তৃণমূল প্রার্থীর স্টিকার লাগানো থাকতে দেখা যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সকাল থেকেই ভোট-পরিদর্শনে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের (Siliguri Municipal Election) সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য (Ashok Bhattacharya)। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী তিনি। শনিবার নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়িয়েই শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র বলেন, “সব জায়গাতেই আমাদের পোলিং এজেন্ট গিয়েছে। সব দলেরই গিয়েছে। কোনও জায়গাতেই গোলমালের কোনও খবর নেই। সবাই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিচ্ছে। কোথাও কোনও ভোটদাতাদের বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার খবর আমার কাছে এখনও নেই। আশা করছি সারাদিনটা এরকম শান্তিপূর্ণই থাকবে। শিলিগুড়ির যে ঐতিহ্য তা সবাই রক্ষা করে নিজের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দেবেন।”
সবিস্তারে পড়ুন: ‘ভোট শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে’, সকাল থেকেই ওয়ার্ডে ঘুরছেন সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য
বিধাননগর পুরনিগমের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সাধনা ঢালির বাড়িতে হামলার অভিযোগ। শুক্রবার রাতে দু’বার হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। বাড়ির কাচ ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ।
সবিস্তারে পড়ুন: রাতে বিধাননগরের বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলা, ভোটের দিন ‘ঘরবন্দি’
বুথের ভিতরে ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ১ নম্বর বোতামে ভোট দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দশদ্রোণ অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই অভিযোগে সরব হন এক সাধারণ ভোটার। প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কিছু বলতে চাননি। দশদ্রোণ অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫১-৫৫ পাঁচটি বুথ রয়েছে। বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে অনভিপ্রেত জমায়েতও। নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের ব্যানার লাগানো টোটো পৌঁছে যাচ্ছে একেবারে ভোটকেন্দ্রের গোড়ায়।বুথ চত্বরে ভোটার ছাড়াও অনেকে রয়েছে যাঁদের পরিচয় স্পষ্ট নয়।
রানিগঞ্জের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৮ নম্বর বুথে তৃণমূল এজেন্ট আসার আগেই মকপোল হওয়ার অভিযোগ। প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেক্টর অফিসে। ওই বুথের তৃণমূলের পোলিং এজেন্টের অভিযোগ রানিগঞ্জ গার্লস কলেজের তিনটি বুথের মধ্যে একমাত্র এই বুথেই সমস্যা হয়েছে। পোলিং এজেন্ট ভোট গ্রহণ শুরু করতে বাধা দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় প্রিসাইডিং অফিসার । তিনি ইভিএমের কাউন্টিং দেখেন ও তৃণমূল এজেন্টকেও দেখান। এরপরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। প্রায় ২০ মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল ।
গোলমাল পাকানোর অভিযোগে আসানসোল পুরভোটের দুই বিজেপি প্রার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। আসানসোলের কল্যাণপুরের একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে বহিরাগতদের রাখা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ওই দুই প্রার্থী বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা হলেন, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের শুভাশিস দাস ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিশ্বজিত্ মণ্ডল।
বিস্তারিত পড়ুন: পুরভোটের আগেই দুই বিজেপি প্রার্থী আটক আসানসোলে, গ্রেফতার এক প্রার্থীর ছেলেও
বিধাননগর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস জানা। তাঁরই অভিযোগ, বিএফ কমিউনিটি সেন্টারে ভোটের লাইনে একজনকে সন্দেহ হয়। কথা বলতেই বক্তব্যে অসঙ্গতি মেলে। বাবার নাম বলতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ। এরপরই হঠাৎ লাইন ছেড়ে চলে যান ওই ব্যক্তি। দেবাশিস জানার অভিযোগ, ভুয়ো ভোটার রয়েছে।
ভোট শুরু হতেই ইভিএম বিকলের অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। শিলিগুড়িতে ১২ নাম্বার ওয়ার্ডে ইভিএম বিকলের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
গোলমাল পাকানোর অভিযোগে আসানসোলের দুই বিজেপি প্রার্থীকে আটক করল পুলিশ। কল্যাণপুরের একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে বহিরাগতদের রাখার অভিযোগ তুলে ওই দুই প্রার্থী বিক্ষোভ দেখান। ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ মণ্ডল এবং ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ দাসকে শুক্রবার রাতেই আটক করা হয়।
আজ বিধাননগরের ৪১টি ওয়ার্ডে ভোট। ২০১৫’র ভোটে অশান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে বিধাননগরেরর ভোটে নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি শনিবার। ভোটে সাড়ে চার হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন হচ্ছে। এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিংকে বিশেষ দায়িত্বে রাখা হচ্ছে বিধাননগরে। ভোটের নিরাপত্তায় এই প্রথম ইএফআর (EFR), এসটিএফ (STF) কে ব্যবহার করা হচ্ছে। বহিরাগত ঠেকাতে জায়গায় জায়গায় শুক্রবার থেকেই চলছে নাকা তল্লাশি।
১০৬টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ আসানসোল পুরনিগমে। প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ ভোটার রয়েছেন। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ভোটের জন্য। ১৮ জন সার্কেল ইন্সপেক্টর থাকবেন। তাঁদের নীচে থাকছেন ৬৭৫ জন সশস্ত্র এএসআই এবং ৩ হাজার ১৪২ জন সশস্ত্র পুলিশ কনস্টেবল। অর্থাৎ সশস্ত্র পুলিশ প্রায় ৪ হাজারের কাছাকাছি।
চন্দননগরের ৩২টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ হবে শনিবার। একটিতে ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে। চন্দননগর কমিশনারেট শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে শুক্রবার থেকেই প্রস্তুতি সেরে রেখেছে। প্রায় ৭০০ পুলিশ কর্মী থাকছেন ভোটের জন্য। ১১৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে আজ।
শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৭টি ওয়ার্ডে শনিবার ভোটগ্রহণ হবে। কম বেশি ২০০ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ আজ। চার লক্ষের বেশি ভোটার। থাকছে ২৩০০ পুলিশ কর্মী। বুথগুলিতে থাকছে সিসিটিভি। একাধিক কনট্রোল রুমে রয়েছে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই নাকাচেকিং শুরু হয়েছে। সেক্টর মোবাইল কুইক রেসপন্স টিমের যে পুলিশ কর্মীরা কাজ করবেন, তারাও ইতিমধ্যে কাজে নেমে গিয়েছেন।