ভাতার: কাজে বেরিয়ে হারিয়েছিল ফোন। থানায় করেছিলেন ডায়েরি। নম্বর নিষ্ক্রিয় করার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাস্টমার কেয়ারেও যোগাযোগ করেন। কিন্তু কে জানত বিপদ শুধু ফোন হারানো অবধি সীমাবদ্ধ নয়! অপেক্ষা করছিল আরও বড় বিপদ। রাতারাতি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে গেল ১০ লক্ষ টাকা। ভাতার থানার দ্বারস্থ ভাতারের রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা শেখ মুজিবর রহমান। কী থেকে কী হয়ে গেল কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। আপাতত পুলিশ কিছু একটা সুরাহা করুক, তাই চাইছেন মুজিবরবাবু।
মুজিবর একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তিনি জানাচ্ছেন, সেই কাজের সূত্রেই গত ২৩ অক্টোবর তিনি বাঁকুড়ার মেজিয়ায় গিয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানেই আচমকা তাঁর মোবাইল হারিয়ে যায়। মেজিয়া থানায় একটি ডায়েরিও করেন। কিন্তু, কে জানত সামনেই তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে আরও বড় বিপদ।
মুজিবর জানাচ্ছেন, শুক্রবার তিনি এটিএম থেকে টাকা তুলতে যান। কিন্তু, টাকা তুলতে গিয়ে চোখ একেবারে কপালে উঠে যায়। দেখা যায় ভাতার, কালনা ও বর্ধমানে থাকা ব্যাঙ্কের তিনটি অ্যাকাউন্ট থেকে ধাপে ধাপে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে। তিনি এও জানাচ্ছেন, তাঁর নম্বরের সঙ্গে এই তিনটি অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করা ছিল। তাই ফোন হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে টাকা গায়েবের অবশ্যই সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। তাঁর দাবি, হারিয়ে যাওয়া ফোনের নম্বর থেকে ইউপিআই লেনদেনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। আর সে কারণেই ভাতার থানার দ্বারস্থ তিনি।