বর্ধমান: আগামী ২১ জুলাই ধর্মতলায় ফের শহিদ সমাবেশ করবে তৃণমূল কংগ্রেস। জন্মলগ্ন থেকেই এই অনুষ্ঠান করে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ঘাসফুল শিবির। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরও ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠান করে তৃণমূল। কিন্তু করোনাভাইরাস অতিমারির কারণে গত ২ বছর সেই সমাবেশ হয়েছিল ভার্চুয়ালি। ২ বছর পর এ বার ধর্মতলায় ফের হবে সমাবেশ। সেই সমাবেশ জুড়ে জেলায় জেলায় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলের নেতা, কর্মীরা। শহিদ সমাবেশ ঘিরে তাঁদের মধ্যে উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। সমাবেশকে স্মরণীয় করে রাখতে বিভিন্ন জেলা থেকে তৃণমূল কর্মীরা পায়ে হেঁটেই যাবেন ধর্মতলায়। পায়ে হেঁটে ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরের ১৩ জন তৃণমূল কর্মী। ১৩ জন শহিদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতেই পায়ে হেঁটে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পথ তাঁরা পাড়ি দেবেন বলে জানিয়েছেন।
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই। যুব কংগ্রেসের বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মিছিলেই গুলিচালনার অভিযোগ উঠেছিল বামফ্রন্ট সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল ১৩ জনের। তার পর থেকেই ২১শে জুলাই শহিদ দিবস পালন করা হয়। সে দিনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই পায়ে হেঁটে ধর্মতলা যাবেন পাণ্ডবেশ্বরের ১৩ জন তৃণমূল কর্মী।
শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর বিধায়ক কার্যালয় থেকে পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেছেন ১৩ জন তৃণমূল কর্মী। প্রায় ২৫১ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ধর্মতলা পৌঁছবেন তাঁরা। পাঁচ দিনের মধ্যে গোটা পথ পেরনোর লক্ষ্যমাত্রা রেখেছেন বলে জানিয়েছেন প্রসূন ব্যানার্জি নামের এক তৃণমূল কর্মী। তিনি বলেছেন, “১৬ জুলাই পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক কার্যালয় থেকে আমরা যাত্রা শুরু করেছি। ১৩ জন শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই আমাদের এই উদ্যোগ।”
রবিবার রাত আটটা নাগাদ বর্ধমান শহর অতিক্রম করলেন এই তৃণমূল কর্মীরা। ধর্মতলার উদ্দেশে পথ চলতে চলতেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ সরব হয়েছেন তাঁরা। মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া বাজার এলাকা থেকেই বেশ কয়েক জন তৃণমূল কর্মী একই ভাবে পায়ে হেঁটে শহিদ সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছেন।