Heroin Smuggling: কাটোয়া মাদক কাণ্ডে মণিপুর যোগ, কলকাতা থেকে গ্রেফতার ২

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 17, 2022 | 4:17 PM

Heroin Smuggling: শনিবার রাতে দুই মণিপুরীকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। এই নিয়ে কাটোয়া কাণ্ডে গ্রেফতারের সংখ্যা হয় ছয়। ধৃত ছয় জনকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।

Heroin Smuggling: কাটোয়া মাদক কাণ্ডে মণিপুর যোগ, কলকাতা থেকে গ্রেফতার ২
কাটোয়া হেরোইন কাণ্ডে মণিপুর যোগ

Follow Us

কাটোয়া: কাটোয়া হেরোইনকাণ্ডে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হল আরও দু’জনকে। জানা গিয়েছে, ধৃতরা দু’জনই মণিপুরী মাদক কারবারি। ধৃতরা হলেন, মণিপুরের বাসিন্দা সাজিদ হাসান এবং সমরজিৎ সিং। দমদম নারায়ণপুর এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে এই ঘটনায় ধৃত গোলাম মুর্শেদের ভাইয়ের নারায়ণপুর এলাকার ফ্লাট থেকে কাঁচামাল সরবরাহ করতেন তাঁরা। প্রাথমিক তদন্তে তেমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। শনিবার রাতে দুই মণিপুরীকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। এই নিয়ে কাটোয়া কাণ্ডে গ্রেফতারের সংখ্যা হয় ছয়। ধৃত ছয় জনকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।

দীর্ঘদিন ধরেই অভিযান চলছিল। শনিবার তার পর্দাফাঁস হয়। প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী বাড়িই কার্যত হেরোইন তৈরির কারখানা। রাজুযা গ্রাম থেকে কাটোয়া পুলিশ এসটিএফ অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা কর্মী গোলাম মুর্শেদ ও তাঁর এক সহযোগী মিঠুন শেখকে গ্রেফতার করে।

শনিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে নদিয়ার কালীগঞ্জ থানার বাসিন্দা মণিরুল শেখ,আঙ্গুর আলিকে। মূলত তারাই হেরোইন তৈরি করত বলে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে গোলাম মুর্শেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের কাছে আরও তথ্য উঠে আসে। সেই ভিত্তিতে শনিবার রাতেই দমদম এলাকার নারায়ণপুরের গোলাম মুর্শেদের ভাই মোজাফ্ফর হোসেনের ফ্ল্যাট থেকে আরও দুই মণিপুরী সাজিদ হাসিম ও সমরজিৎ সিংকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এই দু’জনে হেরোইন তৈরির কাঁচামাল সরবরাহ করত বলে জেরায় জানিয়েছে। মোজাফ্ফর হোসেনের খোঁজ চালানো হচ্ছে। এই ঘটনায় আর কারা যুক্ত রয়েছে, তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে এসটিএফ ও তদন্তকারীরা জানার চেষ্টা করছেন, ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হেরোইন কোথায় এবং কার কাছে বিক্রি করা হত।

যদিও গোলাম মুর্শেদের পরিবারের দাবি ফাঁসানো হয়েছে,পরিকল্পনা করে। এর পিছনে হাত রয়েছে মিঠুন শেখের। এই বাড়ি তৈরি করার সময় তার সঙ্গে পরিচয় হয়। তাঁদের বক্তব্য, তিনি এই বাড়িতে প্রায়ই আসতেন। দিন কয়েক আগে এসে লুকিয়ে বাড়ির রান্না ঘরে মরফিন রেখে যান।পরে পুলিশ ও এসটিএফ গিয়ে তা উদ্ধার করে।

Next Article