পূর্ব বর্ধমান : শাসকদলের ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি ঘিরে গোষ্ঠীসংঘর্ষের অভিযোগ। যুযুধান দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের গলসির। মারামারিতে মাথা ফাটে রিয়াজ মোল্লা নামে এক তৃণমূল সমর্থকের। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে দু’পক্ষের আরও ৩ জন আহত হয়েছেন।
মাঝে আর চার দিন। তারপরই তৃণমূলের ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন। তারই জন্য রাজ্যজুড়ে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত শাসকদল। পূর্ব বর্ধমানের গলসিতেও চলছে প্রস্তুতি। গলসি ১ নম্বর ব্লকের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের খলসেগড় গ্রামে আগামিকাল মিছিল হবে। মিছিল হওয়ার কথা এলাকার রামগোপালপুরে । যেখানে ব্লকের সকল শাখা সংগঠনকে একত্রে মিছিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই জন্য কর্মীদের বাড়ি বাড়ি প্রচারে বেরিয়েছিলেন এলাকার দুই গোষ্ঠীর তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ, খলসেগড় বাজারের কাছে এক গোষ্ঠীর লোকের সঙ্গে অপর গোষ্ঠীর কথা কাটাকাটি শুরু হয়। সেই নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। যা গড়ায় সংঘর্ষে। ভাঙচুর করা হয় তিনটি বাইক, একটি টোটো-সহ বেশ কয়েকটি চেয়ার টেবিল।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গলসি থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান ডিএসপি হেড কোয়ার্টার অতনু ঘোষাল। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনার জেরে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা জাকির হোসেন ও পার্থ সারথি মণ্ডলের গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
ঘটনার বর্ণনা করে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, “২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতির জন্য আগামিকাল একটা মিছিল রয়েছে। ওই মিছিলের জন্য আমাদের কর্মী সমর্থকরা আজ পাড়ায় প্রচার করছিলেন। প্রচার শেষে দলীয় কার্যালয়ে এসে বসেন। সেই সময় ১০-১৫ জন দুষ্কৃতী এসে দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। ভাঙচুর করে।”
গোষ্ঠীসংঘর্ষের অভিযোগ খারিজ করে তিনি বলেন, “যারা ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি মিছিলে যারা হামলা চালায় তারা তৃণমূল কর্মী-সমর্থক হতে পারে না। ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি মিছিলে যারা হামলা চালায়, তারা দুষ্কৃতী ছাড়া অন্য কিছু হতে পারে না। গোষ্ঠীসংঘর্ষের কোনও বিষয় নয়।”