কাটোয়া: অভিযান চলছিল আগে থেকেই। সেই অনুযায়ী পুলিশও ছিল সক্রিয়। আর তারপরই হাতেনাতে ধরা পড়ল সমস্ত কিছু। প্রচুর পরিমাণ মরফিন ও বিপুল পরিমাণ টাকা তল্লাশি চালিয়ে যৌথ ভাবে উদ্ধার করল এসটিএফ ও কাটোয়া থানার পুলিশ।
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার রজুয়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হল সেগুলি। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত্রিবেলা এই অভিযান চালানো হয়। সেখানেই রজুয়া গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ গোলাম মুর্শেদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় এই সামগ্রীগুলি। এরপর মহম্মদ গোলাম মুর্শেদ ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানতে পেরেছে, মুর্শেদের বাড়িতে মরফিন মাদক দিয়ে নিষিদ্ধ হেরোইন তৈরি করা হত। পরে জেলার পাশাপাশি রাজ্যগুলিতেও পাচার বা বিক্রি করা হত। ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃতদের এসটিএফ ও কাটোয়া থানার পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে অভিযুক্তদের। পরে কী কারণে তারা এই মরফিন মজুত করে নিয়ে আসত, তা দিয়ে কী করা হত, কী কারণে মরফিন মজুত করা হয়েছিল, ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গোটা ঘটনায় গ্রামবাসী কিছুটা অবাক হয়েছেন। কারণ এলাকায় মুর্শেদ সচেতন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার বাড়িতে যে মাদক কারবার হচ্ছে তা বিশ্বাসই করতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘মুর্শেদ আগে নেভিতে চাকরি করতেন। পরে বাড়ি আসার পর পাকা বাড়ি করেন। আমরা জানতাম আরও একটা ভাই বিমানবন্দরে চাকরি করেন। বাবাও বিশিষ্ট ভদ্রলোক। ওর সঙ্গে ওর জামাইও ছিলেন। ওদের বাড়িগুলি কোটি টাকার উপর দাম। কিন্তু আমরা বুঝতেই পারছি না কীভাবে এই ঘটনা ঘটল।’