বর্ধমান: সাত সকালেই বছর পাঁচেকের বাচ্চাটা কাঁদতে কাঁদতে বাবা-মায়ের কথা এসে বলেছিল পাশের বাড়ির কাকিমার কাছে। বিশ্বাস করতে পারেননি কেউ। হাত ধরে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় বাচ্চাটা। ঘরের ভিতর সেই শিশুরই বাবা-মা আর ছোট্ট দিদির পরিণতি দেখে স্থবির হয়ে গেলেন প্রতিবেশীরা। বিছানায় পড়ে রয়েছে বছর দশেকের মেয়ের দেহ। বাবা-মা ঘরের কড়িকাঠে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন! ভোট বাংলার আবহকে রীতিমত নাড়িয়ে দেয় বর্ধমানের (Purbo Bardhaman) লাকুড্ডির এই ঘটনা।
বছর তেতাল্লিশের বিকাশ কুমার আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। বর্ধমানের পুলিশ লাইনের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা সাউকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে বনিবনা না হওয়ায় প্রিয়াঙ্কা বাপেরবাড়ি এলাকাতেই থাকতেন। বাপের বাড়ির তরফে একটি সবজির দোকান করে দেওয়া হয় তাঁদের। তা থেকে যা আয় হত, তাতেই দিন চলত তাদের।
গ্রামবাসীরা বলছেন, বিকাশ সে অর্থে কোনও কাজই করতেন না। প্রিয়াঙ্কাই দোকান চালাতেন। বিকাশ সারাদিন বাড়িতেই বসে থাকতেন, অলস প্রকৃতির ছিলেন। তা নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। মঙ্গলবারও অশান্তি হয়। চিৎকার শুনতে পেয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু রোজকার ঘটনা ভেবে বিশেষ আমল দেননি তাঁরা। পরে বুধবার সকালে তাদের পাঁচ বছরের ছেলে কাঁদতে কাঁদতে প্রতিবেশীদের কাছে যান। তারপরই এই দৃশ্য প্রকাশ্যে আসে।
আরও পড়ুন: মমতার সভার আগেই ‘পাড়ার ভাল ছেলে’কে গুলি করে খুন! প্রতিবাদে গর্জে উঠল শহর
অনুমান করা হচ্ছে, পারিবারিক অশান্তির জেরেই মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করে আত্মহত্যা করেছে দম্পতি। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।