Suicide: দ্বিতীয় সেমেস্টারে দ্বিতীয় হতেই বদলে যায় হাবভাব, তা বলে এমন করবে কেউ ভাবেনি
Suicide: পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়াশোনার জন্য মেঘনাথ সাহা পল্লিতে একটি মেসে ভাড়া থাকতেন শুভেচ্ছা। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতেও দিদির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে আর ফোন তুলছিলেন না।

বর্ধমান: ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। পরীক্ষায় বরাবর ভাল ফল করেছেন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে ভর্তি হয়েছিলেন। দ্বিতীয় সেমেস্টারে দ্বিতীয় হয়ে যাওয়ার পরই কেমন মনমরা হয়ে যান। শুক্রবার মেস থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল ওই ছাত্রীর। মৃতের নাম শুভেচ্ছা ঘোষ(২৩)। বর্ধমানের মেঘনাথ সাহা পল্লির একটি মেস থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। শুভেচ্ছার বাড়ির বীরভূমের সাঁইথিয়ার মনসাতলায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়াশোনার জন্য মেঘনাথ সাহা পল্লিতে একটি মেসে ভাড়া থাকতেন শুভেচ্ছা। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতেও দিদির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে আর ফোন তুলছিলেন না। পরে পরিবারের তরফ থেকে মেসে ফোন করলে, মেসের লোক গিয়ে ঘরে গিয়ে তাঁকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন। পরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। পরিবারের দাবি, ছোটবেলা থেকে পড়াশোনায় ভাল শুভেচ্ছা দ্বিতীয় সেমেস্টারে প্রথম না হতে পারায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেই কারণেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অনুমান পরিবারের।
শুভেচ্ছার বাবা অশোক ঘোষ বলেন, “প্রতিদিন সকাল ৮টার দিকে আমার স্ত্রীকে ফোন করত মেয়ে। আজ সকালে ৯টা বেজে গেলেও ফোন করেনি। তখন আমার স্ত্রী আমার অন্য মেয়েকে বলে একবার ফোন করে খোঁজ নিতে। তারপরই সব জানতে পারি।” মৃত যুবতীর বাবা বলেন, অন্য কোনও কারণ নয়। দ্বিতীয় সেমেস্টারে দ্বিতীয় হয়ে যাওয়াতেই মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল মেয়ের। সেই অবসাদেই আত্মহত্যা করেছেন শুভেচ্ছা।
শুভেচ্ছার সহপাঠীরা জানিয়েছেন, “শুভেচ্ছা সবসময় প্রথম হওয়ার চেষ্টা করত। কিন্তু, প্রথম সেমেস্টারে প্রথম না হতে পারার পর পড়াশোনা আরও বাড়িয়ে দেয়। দ্বিতীয় সেমেস্টারে দ্বিতীয় হয় সে। প্রথম হতে না পারার পর থেকেই আনমনা হয়ে থাকত।”
ওই মেসের মালিক স্বপন দাস বলেন, “প্রায় ২ বছর আমাদের এখানে মেসে রয়েছে। গতকাল রাতেও নিজের দিদির সঙ্গে ফোন কথা বলেছিল শুভেচ্ছা। আজ সকালে তাকে ফোনে না পেয়ে আমার বোনকে ফোন করে তার বাড়ির লোক। তখন আমাদের বাড়ির লোক ওর রুমে গিয়ে দেখে দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা খোলেনি। তখন পাশের মেসের ২ জন ছেলে এসে দরজা ভাঙে। দেখে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে শুভেচ্ছা। আমি পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।”
বর্ধমান থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা ঋজু করে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বর্ধমান মেডিক্যালে। আর কয়েকদিন পরই তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা। তার আগে মানসিক অবসাদেই ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

