কাটোয়া: মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন স্বামী, পরিবার নিয়ে থাকবে। এরইমধ্যে মেয়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়। এমনকী প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে স্বামীর উপর হামলার ঘটনাও ঘটান বলে অভিযোগ। গ্রেফতার করে পুলিশ। মেয়ের এমন পরিণতি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন বাবা, মা। সেই চিন্তার ভারেই নিজেদের শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা নেন বলে দাবি পরিবারের। কেতুগ্রাম থানা এলাকার ঘটনা।
কেতুগ্রাম থানার আরনা গ্রামের ক্যানাল পাড়া। সেখানেই সোমবার সকালে দম্পতি সমীর শেখ (৫৯), চেনাই বিবি (৫৩)-এর দেহ উদ্ধার হয়। গ্রামবাসীরা মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে কেতুগ্রাম থানার পুলিশকে খবর দেয়। নিহত সমীর শেখের এক আত্মীয় সিরাজুল শেখ বলেন, “ওর মেয়ে একটা ছেলেকে ভালবাসে। এদিকে বরও আছে। স্বামী কাজে গিয়েছিল, সেই সময় মেয়েটা প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীর উপর হামলা চালায়। মেয়েটা জেলে যায়। তাতেই মা বাবা খুব চিন্তায় ছিল। তা থেকেই স্বামী-স্ত্রী এমন ঘটনা ঘটাল।”
অন্যদিকে নিহতের ভাই নমীর শেখের দাবি, “মেয়েকে নিয়ে চিন্তায় পাগল পাগল করত দাদা। আমাকেও বলত কী হবে, কোথায় যাব? আমার মরণ ছাড়া উপায় নেই। কাউকে তো মুখ দেখাতে পারব না। এরপরই আজ গলায় দড়ি দিল। আসলে লোকে ভয় দেখাত মামলা হবে, নানা ঝামেলায় ফেঁসে যাবে। সেই ভয়ে অস্থির হয়ে উঠেছিল।” কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।