TMC: লাঠি নিয়ে ধাওয়া পুলিশের, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তপ্ত মেমারি

Manatosh Podder | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jun 23, 2024 | 9:38 PM

Memari: এই সমবায় সমিতিতে বকেয়া লোন, সমবায় ভোট, হার্ভেস্টর ট্রাক্টর-সহ একাধিক বিষয়ে হিসাবের দাবিকে কেন্দ্র করে মিটিং চলছিল রবিবার। সেখানেই মেমারির বিধায়ক মধুসূধন ভট্টাচার্য ও মেমারি-১ ব্লক সভাপতির নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীদের মধ্যে ঝামেলা বাধে। দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয় বলে অভিযোগ।

TMC: লাঠি নিয়ে ধাওয়া পুলিশের, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তপ্ত মেমারি
ধাওয়া পুলিশের।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

পূর্ব বর্ধমান: দলীয় কোন্দলে তপ্ত মেমারি। সমবায় সমিতির হিসাব চাওয়া নিয়ে গোলমাল। আর তার জেরেই শাসকদলের দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও হাতাহাতির অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় তৃণমূল বিধায়কেরও নাম জড়িয়েছে। যদিও পাল্টা বিধায়ক জানান, তাঁদের সঙ্গেই খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মেমারির আমাদপুর ইউনিয়ন কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচারাল ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড।

এই সমবায় সমিতিতে বকেয়া লোন, সমবায় ভোট, হার্ভেস্টর ট্রাক্টর-সহ একাধিক বিষয়ে হিসাবের দাবিকে কেন্দ্র করে মিটিং চলছিল রবিবার। সেখানেই মেমারির বিধায়ক মধুসূধন ভট্টাচার্য ও মেমারি-১ ব্লক সভাপতির নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীদের মধ্যে ঝামেলা বাধে। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয় বলে অভিযোগ।

হাসমতুল্লা মোল্লা নামে ব্লক সভাপতির এক অনুগামী বলেন, “১১৬ নম্বর বুথের সদস্যদের সঙ্গে ঝামেলা। শুধু জিজ্ঞাসা করেছি, কী হয়েছে? তাতেই মধুসূদন ভট্টাচার্যের লোকজন আমাদের মারতে শুরু করল। আমরা নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী বলে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে।”

সমবায়ের সদস্য মনমোহন দাসও বলেন, “আমরা ১১ দফা দাবি নিয়ে একটা ডেপুটেশন দিয়েছিলাম। মূলত একটা লোন ও চাষের জিনিস সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ডেপুটেশন ছিল। আজ রিপোর্ট নিয়ে মিটিং ছিল। সেখানে তিন দফা দাবি নিয়ে আলোচনার পরই বের করে দেয়। আমাদপুর বোর্ডের চেয়ারম্যান, সেক্রেটারিও ছিলেন। ছিলেন বিধায়ক তথা ভাইস চেয়ারম্যানও। আমাদের প্রশাসন দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। বিধায়ক পরিকল্পনা করেই অনুগামীদের দিয়ে এসব করেছেন বলে ধারণা আমাদের।”

যদিও বিধায়ক তা মানতে নারাজ। বরং মধুসূদন ভট্টাচার্য বলেন, “যে ঘটনা ঘটুক, সেটা অনভিপ্রেত। কার দোষে কী হয়েছে পুলিশ দেখছে। তারা ব্যবস্থা নেবে। এই কোঅপারেটিভ সমিতির সঙ্গে আমি ছাত্রাবস্থা থেকে জড়িয়ে। এখানকার সাধারণ সদস্যও আমি। আমিও সেখানে ছিলাম। হঠাৎই উত্তেজনা ছড়ায়। কিছু এদিক ওদিক কথা হয়। আমরা বলি, কাজ করতে গিয়ে কোনও অসুবিধা থাকলে তা দেখার জন্য প্রশাসন আছে। সিআই, অডিটর আছেন। তাঁরা যে পরামর্শ দেবেন সে মতো সমিতি চলবে। আমরা বলি যথাযথ জায়গায় পাঠান। তারা উত্তর চাইলে দেব। ওরা রাজি হয়নি। বরং আজেবাজে কথা বলতে থাকে।”

Next Article