Unknown Fever: জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাড়ছে শিশু ভর্তির সংখ্যা, বিশেষ ব্যবস্থা নিতে চলেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Sep 28, 2021 | 6:36 PM

Unknown Fever: বর্ধমান হাসপাতালের দু'সপ্তাহ আগেও পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল।

Unknown Fever: জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাড়ছে শিশু ভর্তির সংখ্যা, বিশেষ ব্যবস্থা নিতে চলেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ
প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। ফাইল ছবি।

Follow Us

বর্ধমান: উত্তরবঙ্গের মতো দক্ষিণবঙ্গেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অজানা জ্বরের প্রকোপ। বর্ধমান হাসপাতালে অসুস্থ রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। তবে তা নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে জ্বরের চিকিৎসার জন্য একটি ওয়ার্ড নির্দিষ্ট করা হয়েছে। গতকাল থেকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া আরও একটি ওয়ার্ড চালু হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে।

তবে দু’সপ্তাহ আগেও পরিস্থিতি এমনটা ছিল না। বর্ধমান হাসপাতালের দু’সপ্তাহ আগেও পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। জ্বর নিয়ে আসা শিশুর সংখ্যা ছিল হাতে গোনা৷ দৈনিক ১০ জনেরও কম শিশু হাসপাতালে আসছিল এবং ভর্তি হচ্ছিল ৩ থেকে ৪ শতাংশ। কিন্তু, গত দু সপ্তাহ পর পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে। এখন জ্বর নিয়ে আসা শিশুর সংখ্যা প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন। হাসপাতালের শিশু বিভাগে সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে আসা শিশুদের মধ্যে অনেকেরই জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে। সোমবার পর্যন্ত হাসপাতালে ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে ৩৭ জন এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৯৫ জন ভর্তি রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ভর্তি থাকা শিশুর সংখা ১৪০ হয়েছে। তবে কিছুটা শান্ত যে ভর্তি থাকা শিশুদের কারোও কোভিড নেই বলেই হাসপাতাল জানাচ্ছে। এছাড়াও নেই কোনও মৃত্যুর রেকর্ড৷

এই বিষয়ে হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কৌস্তুভ নায়েক বলেন, “এই সময় আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত প্রভাবের কারণে শিশুদের সমস্যা হয়। এবারে এই হার অনেকটাই বেশি। গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৫-২০ শতাংশ শিশু বেশি ভর্তি হচ্ছে। ডাক্তার, নার্স ও গার্ডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে ওয়ার্ডে। ইতিমধ্যেই একটি ওয়ার্ড নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সেখানে ৬৪ বেড রয়েছে। সোমবার থেকে ২০ বেডের অক্সিজেন পরিষেবাযুক্ত ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। আরও একটি ওয়ার্ড তৈরি রাখা হচ্ছে, ভর্তির সংখা বৃদ্ধি পেলে সেই ওয়ার্ডটি ব্যবহার করা হবে। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসা বাচ্চাদের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

এদিকে, আজ জলপাইগুড়িতে এক সদ্যোজাতর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর মিলেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা দাস নামে ধূপগুড়ির এক মহিলা দিন ছ’য়েক আগে এক শিশু কন্যার জন্ম দিয়েছিলেন। জন্মের পরই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ‘সিক এন্ড নিওনেন্টাল কেয়ার ইউনিটে’ (SNCU) ভর্তি করে। সোমবার সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

মালদায় নজর রাখলে দেখা যাবে কয়েকদিন আগেও সেখানে অজানা জ্বরে মৃ্ত্যু হয়েছে এক চার মাসের শিশুর। সব মিলিয়ে সেই জেলায় মৃত্যু হল ৮ জনের। যাদের প্রত্যেকের একই লক্ষ্মণ বলে খবর। জানা যাচ্ছে, করোনা নয় অজানা ভাইরাসের আক্রমণেই এই শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন মালদহ জেলা স্বাস্থ্য দফতর। মৃতদের স্যাম্পেল সংগ্রহ করা হয়েছে এবং পাঠানো হচ্ছে নাইসেডে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে জেলায় এই অজানা জ্বরে প্রথম শিশুমৃত্যুর খবর আসে। প্রথম দিনে মোট তিনজন শিশুর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: Plastic Usage: ৭৫ মাইক্রনের নিচে প্লাস্টিক ব্যবহারে জারি নিষেধাজ্ঞা, নির্দেশ অমান্য হলেই জরিমানা

Next Article