Bardhaman: নেই নিয়োগ, অবসর নেবেন শিক্ষিকা, বন্ধ হওয়ার মুখে বাংলার ২ শিক্ষাঙ্গন

Manatosh Podder | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Mar 27, 2025 | 3:38 PM

Bardhaman: শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের এই দুরবস্থা নিয়ে সরাসরি  শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা জিতেন ডকাল বলেন,"বামফ্রন্ট আমলে তৈরি হওয়া এই স্কুলগুলিতে তিনজন করে শিক্ষক শিক্ষিকা ছিল। কিন্তু বর্তমানে এই সরকার রাজনৈতিক কারণে এখানে শিক্ষক নিয়োগ করছে না। পড়াশোনা লাটে উঠে গেছে। সরকারের সদিচ্ছার অভাব আছে।"

Bardhaman: নেই নিয়োগ, অবসর নেবেন শিক্ষিকা, বন্ধ হওয়ার মুখে বাংলার ২ শিক্ষাঙ্গন
বন্ধ আরও একটি শিক্ষাঙ্গন
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

বর্ধমান: শিক্ষক শিক্ষিকার অভাবে প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের দুটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র (SSK)। এই অবস্থায় স্কুলছুট পড়ুয়াদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় ভুগছে ব্লক প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসনের শিক্ষা দফতরের কর্মীরা।জামালপুরের ‘কেরিলী ইট খোলাপাড়া শিশু শিক্ষা কেন্দ্র’ ও জামালপুরের ‘কানঘোষা শিশু শিক্ষা কেন্দ্র’। কয়েক মাস পরেই দুই কেন্দ্রের দুই শিক্ষিকা অবসর গ্রহণ করবেন। নতুন করে শিক্ষক শিক্ষিকা আসার কোনও সম্ভাবনা নেই, তাই এই দুটি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে থাকা ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে  চিন্তিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। এতে স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, সপ্তাহে চারদিন স্কুল মাত্র খোলা থাকে। স্কুল খোলার পরেই মিড ডে মিলের খাবার খাওয়ানোর পর ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, পড়াশুনা একেবারেই লাটে উঠে গিয়েছে। তাতে করে স্কুল ছুট পড়ুয়াদের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। তার উপর শিক্ষক শিক্ষিকা না থাকলে ওই টুকুও হবে না। অতি দ্রুত সরকার ব্যবস্থা নিক চাইছেন স্থানীয়রা।

‘কানঘোষা শিশু শিক্ষা’ কেন্দ্রের শিক্ষিকা বেলা সাঁতরা জানান, “আমি এই স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করছি। আগে দু’জন শিক্ষক শিক্ষিকা ছিলেন। এখন একজন মাত্র শিক্ষক।  স্কুলের মোট ৩০ জন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে পড়াশোনা চালানোর পাশাপাশি স্কুলের ঝাঁট দেওয়া, স্কুল খোলা সহ সবই করতে হয় আমায়।” স্থানীয় বাসিন্দা বেদনা মাজি বলেন, “কখনও চারদিন হয়। কখনও দুদিন। পড়াশোনা ভালভাবে হয় না। বাচ্চারা স্বাভাবিকভাবে যেতে হয় না।”

শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের এই দুরবস্থা নিয়ে সরাসরি  শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা জিতেন ডকাল বলেন,”বামফ্রন্ট আমলে তৈরি হওয়া এই স্কুলগুলিতে তিনজন করে শিক্ষক শিক্ষিকা ছিল। কিন্তু বর্তমানে এই সরকার রাজনৈতিক কারণে এখানে শিক্ষক নিয়োগ করছে না। পড়াশোনা লাটে উঠে গেছে। সরকারের সদিচ্ছার অভাব আছে।” জামালপুরের বিধায়ক অলোক মাঝি বলেন, “বিভিন্ন আইনি জটিলতায় কারণে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ আছে। জটিলতা কেটে গেলে এই সমস্যা মিটে যাবে।”

Next Article