Burdwan: একদিকে ধান, অন্যদিকে আলু, দুইয়ে পচছে মাঠেই! বুক ফাঁটা কান্না চাষিদের

Manatosh Podder | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 08, 2023 | 12:38 PM

Burdwan: আবার অনেকে ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে গেলেও তা সংরক্ষণ করে উঠতে পারেনি। ফলে সেই ধানে দাগ লেগে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আজ সকাল থেকে বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু জমির জমা জল থেকে ধান বাঁচানোর কোন উপায় নেই বলে জানাচ্ছেন চাষিরা।

Burdwan: একদিকে ধান, অন্যদিকে আলু, দুইয়ে পচছে মাঠেই! বুক ফাঁটা কান্না চাষিদের
আলুচাষ
Image Credit source: The Hindu

Follow Us

বর্ধমান:  মিগজাউমের জের। মাঠের পাকা ধান জলের নীচে। মাঠের ধান মাঠেই পড়ে পচছে। একদিকে ধানের ক্ষতি, অন্যদিকে আলু চাষেরও ক্ষতি। সবমিলিয়ে দিশেহারা কৃষকরা। সরকারের কাছে দ্রুত ক্ষতিপূরণের দাবি। নিম্নচাপের জেরে গত দু’দিনের ক্রমাগত বর্ষণে প্রভুত ক্ষতির মুখে জেলার চাষিরা। এইসময় চাষিরা একদিকে জমি থেকে পাকা ধান কেটে ঘরে তোলে আবার অন্যদিকে আলু চাষের জন্য আলুর বীজ বসানো হয়। সেইমতো ধান কাটার কাজও চলছিল। কিন্তু নিম্নচাপের ফলে সেই ধান চাষিরা কেটে ঘরে তুলতে পারেনি।

আবার অনেকে ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে গেলেও তা সংরক্ষণ করে উঠতে পারেনি। ফলে সেই ধানে দাগ লেগে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আজ সকাল থেকে বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু জমির জমা জল থেকে ধান বাঁচানোর কোন উপায় নেই বলে জানাচ্ছেন চাষিরা। কারণ মাঠে জল জমে থাকায় সেই ধান জমি থেকে তোলা সম্ভব নয়। পাশাপাশি বহু কৃষক আলুর বীজ বসিয়েছেন। সেই সমস্ত জমিতে এই অকাল বর্ষণে জল জমেছে।

সেই জমির আলুবীজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। অনেক চাষি চাষের জন্য জমি তৈরিও করে ফেলেছেন। তাতে একপ্রস্ত খরচও হয়েছে। কিন্তু তাতে চাষ করা যাবে না। জল জমে যাওয়ায় সেই জমি পুনরায় আবার তৈরি করতে হবে। যদিও বৃষ্টি কমে গেলে এই জমিতে আলু চাষ করতে  বা জমি পুনরায় তৈরি করতে আরও পনের দিন সময় লাগবে বলে জানাচ্ছে কৃষকরা। সেক্ষেত্রে আলু চাষ বেশ খানিকটা পিছিয়ে যাবে। আর তাতে ফলন অনেকটাই কম হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।

এদের মধ্যে আবার অনেকেই ভাগচাষি। তাঁরা আরও বেশি দুশ্চিন্তায়। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার বাজার থেকে ঋণ করে চাষ করেছেন সরকার ক্ষতিপূরণ দিলে জমির মালিকেরা পাবেন। কিন্তু ভাগচাষিদের সেই সুজোগ নেই। এমতাবস্থায় চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।

সকলেই চাইছেন সরকার দ্রুত কোনও পদক্ষেপ নিক। সরকারি সাহাজ্য পেলেও তা তা আসে অনেক দেরিতে। কৃষকদের আবেদন সরকার দ্রুত কোনও ব্যবস্থা নিক, সাহায্যের হাত বাড়াক চাষিদের উদ্দেশ্যে। তাহলে হয়তো চাষিরা খানিকটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবে।

Next Article