Burdwan: আশ্রমের গাছ কেটে পাচারের অভিযোগ, ক্ষোভে ফুঁসছেন বাসিন্দারা
Burdwan: স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনের আলোতেই আশ্রম চত্বর থেকে কাঠ মাফিয়ারা গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আশ্রম প্রাঙ্গণ এবং সংলগ্ন রাস্তাজুড়ে পড়ে আছে কাটা গাছের গুঁড়ি ও ডালপালা। অথচ, এত বড় অপকর্ম চললেও প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ করা উচিত হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে সেখানেই।

বর্ধমান: চান্না আশ্রমে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে। ঐতিহ্য ধ্বংসের আশঙ্কায় স্থানীয় বাসিন্দারা। পূর্ব বর্ধমানের গলসি ২ নম্বর ব্লকের খানো পঞ্চায়েতের চান্না গ্রামে অবস্থিত চান্না ঐতিহাসিক আশ্রম। সেখানেই নির্বিচারে গাছ কেটে পাচারের অভিযোগ উঠল। স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবময় অধ্যায়ের সাক্ষী চান্না আশ্রম। বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠিত সেই চান্না আশ্রম চরম অবহেলার শিকার। অবাধে আশ্রমের গাছ কেটে পাচার করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনের আলোতেই আশ্রম চত্বর থেকে কাঠ মাফিয়ারা গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আশ্রম প্রাঙ্গণ এবং সংলগ্ন রাস্তাজুড়ে পড়ে আছে কাটা গাছের গুঁড়ি ও ডালপালা। অথচ, এত বড় অপকর্ম চললেও প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ করা উচিত হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে সেখানেই।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, “চান্না আশ্রম শুধু একটি আশ্রম নয়, আমাদের ইতিহাস, আত্মপরিচয়ের প্রতীক। এই জায়গায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, রাসবিহারী বসু, বটুকেশ্বর দত্তের মতো বিপ্লবীরা বৈঠক করেছেন। বিপ্লবী আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হত চান্না আশ্রম থেকে।” সেই আশ্রম গাছ কেটে পাচারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “এতদিন কখনও এই আশ্রমে গাছ বিক্রি হয়নি। হঠাৎ এখন কেন গাছ কাটা হচ্ছে? আমাদের কিছু জানানো হয়নি। এই ঘটনায় বোর্ড সভাপতি অমল বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উঠে আসছে।”
অন্যদিকে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে চান্না আশ্রম উন্নয়ন বোর্ডের সভাপতি অমল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। নষ্ট হয়ে যাওয়া গাছগুলি কমিটির সিদ্ধান্ত ও পঞ্চায়েতের অনুমতিতে রেজুলেশনের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। সেই অর্থ আশ্রম উন্নয়নে ব্যয় হবে। বনদফতরের অনুমতির বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না।”
তবে বনদফতরের আধিকারিক সঞ্চিতা শর্মা স্পষ্ট জানান, “চান্না আশ্রমে গাছ কাটার কোনও অনুমতি বনদফতর দেয়নি। বিষয়টি তদন্তাধীন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
চান্না আশ্রমের ইতিহাস ও পরিবেশ রক্ষার দাবিতে সরব হচ্ছেন সচেতন নাগরিকরা। প্রশাসনের নির্লিপ্ত ভূমিকা এবং বনদফতরের অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটার ঘটনায় উদ্বেগে স্থানীয় বাসিন্দারা।

