AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Burdwan: অধ্যাপকের বাড়ি থেকে স্ত্রী ও মেয়ের পচাগলা দেহ উদ্ধার!

Burdwan Body Recovered: শিখার স্বামী স্বপন ভট্টাচার্য আরামবাগের একটি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। বছর খানেক আগে অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় তাঁর। তারপর থেকেই মা–মেয়ে ওই বাড়িতে  থাকতেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দেড় বছর আগে তৃষার বিয়ে হয়। তারপর ডিভোর্স হয়ে যায়। তারপর থেকে তিনি মায়ের কাছেই থাকতেন।

Burdwan: অধ্যাপকের বাড়ি থেকে স্ত্রী ও মেয়ের পচাগলা দেহ উদ্ধার!
দেহ উদ্ধারImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 04, 2025 | 10:48 AM
Share

বর্ধমান:  দুদিন ধরে এলাকার প্রচণ্ড গন্ধ বেরোচ্ছিল। বুধবার আর সেই গন্ধ সহ্য করতে না পেরে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন এলাকাবাসীরা। নিজেরাই গন্ধের উৎস সন্ধানে লেগে পড়েন। বুঝতে পারে, পাড়ার মধ্যেই একটি বাড়ি থেকে গন্ধ বেরোচ্ছে। সেই ঘরে খোঁজ করতেই ভয়ঙ্করকাণ্ড। মা–মেয়ের পচাগলা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বুধবার রাতে বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুরমাঠে। এক প্রাক্তন কলেজ অধ্যাপকের বাড়ি থেকে স্ত্রী ও মেয়ের পচাগলা দেহ উদ্ধার হল। বুধবার রাতে এই ঘটনা সামনে আসে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতরা হলেন শিখা ভট্টাচার্য (৫৬) ও তাঁর মেয়ে তৃষা ভট্টাচার্য (৩০)।

শিখার স্বামী স্বপন ভট্টাচার্য আরামবাগের একটি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। বছর খানেক আগে অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় তাঁর। তারপর থেকেই মা–মেয়ে ওই বাড়িতে  থাকতেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দেড় বছর আগে তৃষার বিয়ে হয়। তারপর ডিভোর্স হয়ে যায়। তারপর থেকে তিনি মায়ের কাছেই থাকতেন।

প্রতিবেশীরা জানান, গত ৬–৭ দিন ধরে শিখা ও তৃষাকে দেখা যাচ্ছিল না। বুধবার রাতে এক প্রতিবেশী নিমন্ত্রণ করতে গিয়ে বাড়ির ভেতর থেকে তীব্র দুর্গন্ধ পান। এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দুজনের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পুলিশ মর্গে।

প্রাথমিক অনুমান, বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন মা ও মেয়ে। এক আত্মীয় জানিয়েছেন, কিছুদিন আগেও তাঁরা ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের সঙ্গে আত্মীয়স্বজনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।