কালনা: খাবার আটকে যাওয়ায় ন’মাসের শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তবে চিকিৎসকরা সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করে তাঁকে। পরিবারের দাবি বাড়িতে নিয়ে আসার পরও শ্বাস-প্রশ্বাস চলছিল দুধের শিশুটির। পরে ফের হাসপাতালে নিয়ে যেতে-যেতে প্রাণ হারায় সে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত উত্তেজনা ছড়ায় কালনা হাসপাতালে।
শনিবার সন্ধ্যেবেলার ঘটনা। শিশুটির মৃত্যকে কেন্দ্র করে পরিবারের লোকজন হাসপাতাল ঘেরাও করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পৌঁছয় কালনা থানার পুলিশ। পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে কালনার গোয়ারা মল্লিক পাড়া এলাকার ৯ মাসের মিষ্টি হালদার নামে এক শিশু কন্যার শ্বাসনালীতে খাবার আটকে যায়। তড়িঘড়ি তার পরিবারের সদস্যরা তাঁকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেই সময় ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে দেখে মৃত বলে ঘোষণা করে। দাবি পরিবারের।
পরিবারের অভিযোগ, শিশুটিকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর তখনো মিষ্টি শ্বাস নিচ্ছিল। এরপর ফের কালনা হাসপাতালে নিয়ে এলে ততক্ষণে সে মারা যায়। মৃত শিশুর পরিবারের লোকেদের দাবি, ঠিক মত শিশুটিকে না দেখেই চিকিৎসকরা কেন শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করল? মৃত শিশু কন্যার পরিবারের লোকেরা একত্রে মিলে হাসপাতালে জড়ো হলে কালনা হাসপাতালে ছড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা। এই বিষয়ে মৃতের পরিবারের এক সদস্য জানান, “হাসপাতালে বলি যে বাচ্চাটার বুকে খাবার আটকেছে। ডাক্তার তখন নার্সকে ডাকল। তারপর ডাক্তার পরীক্ষা করে দেখল আর বলল ও বেঁচে নেই। পরে বাড়ি গিয়ে দেখি নিশ্বাস নিচ্ছে। তাহলে যখন বেঁচে ছিল কেন বলল যে মারা গিয়েছে?”
এ বিষয়ে কালনা মহকুমা হাসপাতালে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার গৌতম বিশ্বাস তিনি জানান, একটি শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।