বর্ধমান: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য তৈরি হয়েছিল নতুন ভবন। তারপর থেকে একবছর ধরে হস্তান্তর করেনি ঠিকাদান সংস্থা। তাই পূর্ব বর্ধমানের পুরনো জরাজীর্ণ ভবনেই চলছে কেন্দ্রটি। এখন পুরনো ভবনের ভিতরেই চলছে শিশুদের ক্লাস। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বর্ষায় ছাদ ছুঁইয়ে জল পড়ছে। রান্নার জায়গায় আবর্জনা ভর্তি। কচিকাঁচাদের বসার পর্যন্ত জায়গা পর্যন্ত নেই। তার মধ্যেই খাওয়া-দাওয়া, পড়াশোনা চালাতে হচ্ছে।
আউশগ্রামের দিগনগর ২ পঞ্চায়েত এলাকার লক্ষ্মীগঞ্জ গ্রামের ঘোষপাড়ায় ৪৪ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি চলছে বহু পুরানো আমলের একটি ভবনে। এমনিতেই সামান্য বৃষ্টি হলে দু’টি ঘরের ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ে। এখন বর্ষাকাল জল আরও বেশী। রান্নার জায়গা কোনও রকমে তালপাতা দিয়ে ঘেরা ।
জানা গিয়েছে, এখানে মোট ৬৫ জন শিশু পড়াশোনা করে।তাদের খাবার দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দা আনন্দ মাহাতো, বলেন, “প্রায় দুবছর ধরেই এই বেহাল অবস্থা। বৃষ্টি হলে ঘরে বারান্দায় জল পড়ে। ঘরের মধ্যে সাপ ঢুকে পড়ে। তাই বাচ্চাদের কেন্দ্রে পাঠাতে ভয় লাগে। অনেকেই বাচ্চাদের পাঠায় না।”
ওই এলাকা থেকে কিছুটা দুরে ৪৪ নম্বর কেন্দ্রের জন্য নতুন একটি ভবন তৈরি হয়ে গিয়েছে। নির্মাণকাজ শেষ হয়ে গেলেও সেখানে এখন তালা ঝুলছে। কেন্দ্রের কর্মী লীলা ঘোষ, সহায়িকা সরস্বতী ঘোষরা জানান, ‘সমস্যার কথা দফতরের কাছে জানানো হয়েছে। যে ঠিকাদার ভবনটি নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি তার বিলের টাকা পাননি বলে ভবনের চাবি হস্তান্তর করেননি।’ অপরদিকে, আউশগ্রাম ১ বিডিও অরিন্দম মুখোপাধ্যায় আশ্বাস দেন, ‘আশা করা যাচ্ছে তাড়াতাড়ি এই সমস্যা মিটে যাবে।’ অরিন্দমবাবু বলেন, ‘নতুন ভবন তৈরি হয়ে রয়েছে। কেন্দ্রটি স্থানান্তর হয় তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’