কাটোয়া: মঙ্গলকোটের তৃণমূল (TMC) অঞ্চল সভাপতি খুনে দুই প্রধান অভিযুক্তের জামিনের বিরোধিতায় জোর সওয়াল করলেন সিআইডি (CID)-র আইনজীবী। তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্ত সাবুল সেখ ও সামু সেখ জামিন পেয়ে গেলেই খুনের সাক্ষীদের ভয় দেখাতে পারে। এই যুক্তিতে নথি-সহ কাটোয়া (Katowa) মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জেলা বিচারকের সামনে পেশ করেন সিআইডির আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা।
এদিন প্রায় চল্লিশ মিনিট সওয়াল জবাবের পর অবশ্য সিআইডি-র যুক্তিতেই মান্যতা দেয় আদালত। অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সুকুমার সূত্রধর দুই অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। তৃণমূল কংগ্রেসের লাখুরিয়া অঞ্চল সভাপতি অসীম দাসের খুনে অভিযুক্ত সাবুল সেখ ওই অঞ্চলের প্রাক্তন সহ সভাপতি পদে ছিলেন। তাই সিআইডি-র আইনজীবীর যুক্তি, খুনে অভিযুক্তরা যেহেতু এলাকার তৃণমূল নেতা এবং প্রভাবশালী, তাই সাক্ষীদের উপর প্রভাব খাটাতে পারেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুলাই সন্ধ্যারাতে সিউর গ্রামের বাসস্ট্যান্ডের কাছে তৃণমূল নেতা অসীম দাস দুষ্কৃতীর গুলিতে খুন হন। এই খুনে শুরু হয় জোর রাজনৈতিক চাপানউতোর। তার পর গত ১৫ জুলাই সাবুল সেখ ও সামু সেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা যায়, তাঁরাও তৃণমূলেরই নেতা। এই খুনের ঘটনায় মোট সাত জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে সিআইডির তরফে। তার পর এদিন সেই মামলার আবেদনের শুনানি। সূত্রের খবর, এই খুনের ঘটনায় বেশ কিছু ফোন কল রেকর্ড সিআইডি-র গোয়েন্দার হাতে এসেছে। খুনের আগে অভিযুক্তরা ফোনে গোটা পরিকল্পনা করেছেন বলে অভিযোগ। সেই কল রেকর্ড অভিযুক্তদের কিনা তা যাচাই করার জন্য ভয়েস স্যাম্পল নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলকোটে বিশেষ সরকারি আইনজীবী আজ শুনানির জন্য গিয়েছেন। এর পর এই খুনের মামলায় ২ অন্যতম অভিযুক্ত অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করে আদালতে। CID তরফে পাল্টা জামিন নাকচের দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: TMC: সরকারি জমি বেচে মন্দির গড়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে! মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো হল চিঠি
প্রসঙ্গত, মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতা খুনে নজরুল সেখ নামে মঙ্গলকোটের চাকদা গ্রামের বাসিন্দাকে গত সোমবার বিকালে বর্ধমান শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি অসীম দাস খুনের ঘটনায় রিপন শেখ নামেও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে গ্রেফতার করা হয় নবাবহাট থেকে। মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া অঞ্চল সভাপতি তৃণমূল নেতা অসীম দাসের খুনের অভিযোগে এ পর্যন্ত মোট সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়। অসীম দাসের খুনের পরিকল্পনার লিঙ্কম্যান হিসেবে নজরুল সেখ কাজ করেছিল বলে সিআইডি জানতে পারে।
আরও পড়ুন: Bishnupur Tender Case: পুলিশের জালে এবার শ্যামের ছায়াসঙ্গী প্রাক্তন তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল নন্দী