TMC: সরকারি জমি বেচে মন্দির গড়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে! মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো হল চিঠি

Selling Government Land: শাসক দলের ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে সরকারি জমি দখল করে প্রোমোটারদের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ কয়েকজন তৃণমূল নেতার (TMC Leader) -এর বিরুদ্ধে।

TMC: সরকারি জমি বেচে মন্দির গড়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে! মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো হল চিঠি
সরকারি জমি বিক্রি করে চলছে মন্দির গড়ার কাজ। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 29, 2021 | 11:42 AM

নদিয়া: শাসক দলের ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে সরকারি জমি দখল করে প্রোমোটারদের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ কয়েকজন তৃণমূল নেতার (TMC Leader) বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ তুললেন দলেরই এক পুরনো কর্মী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) কাছে এ নিয়ে অভিযোগপত্রও পাঠিয়েছেন তিনি।

অভিযোগ রাজনৈতিক ক্ষমতাকে হাতিয়ার করে টাকার বিনিময়ে প্রোমোটারদের হাতে তুলে দিয়েছেন এলাকার কয়েকজন তৃণমূল নেতা। সেখানে সরকারি জমি বিক্রি করে মন্দির তৈরির অভিযোগ উঠল এই নেতাদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান-সহ জেলা পরিষদের সভাধিপতির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয় মুখ্যমন্ত্রী দফতরে। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে বৈধ নিয়মেই মন্দির তৈরির দাবি তুলেছেন জেলা সভাধিপতি। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া টাউনশিপ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

অভিযোগ, ফুলিয়া টাউনশিপ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি সরকারি জমির উপর ছোট একটি মন্দির ছিল। এর আগেও ওই সরকারি জায়গাটি বেদখল করার চেষ্টা চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। আর এখন তৃণমূল জেলা সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু, ফুলিয়া টাউনশিপ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রমুখ বেআইনিভাবে ওই জায়গা দখল করে প্রোমোটারদের হাতে তুলে দিয়ে বেআইনিভাবে জায়গা দখল করে মন্দির নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই এলাকার বাসিন্দা স্বপন সান্যাল এবং বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী।

স্বপনবাবু জানিয়েছেন, সরকারি একটি সম্পত্তিকে নাটমন্দির তৈরির নামে দখল করার চেষ্টা চলছে। এর আগেও নবান্নে চিঠি দিয়েছেন তিনি। কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতেও যান এ নিয়ে। কিন্তু দেখা পাননি। তাই এবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন তৃণমূল নেতা। স্বপন সান্যালের দাবি, ১৯৯৮ সালে তিনিই শান্তিপুর থেকে প্রথম তৃণমূলের প্রধান হন। এখন নিজের দলের কয়েকজন নেতার দিকে আঙুল তুলে তাঁর মন্তব্য, এভাবে কয়েকজন দলটাকে শেষ করে দিচ্ছে।

যদিও তাঁদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের জেলা সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু এবং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উৎপল বসাক। তাঁদের দাবি, সম্পূর্ণ বৈধ কাগজপত্র নিয়ে ওই মন্দির নির্মাণ হচ্ছে। সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু আরও বলেন, আমি নিজের উদ্যোগে ওই সরকারি জায়গাটি বাঁচিয়ে রেখেছি। প্রশাসনকে বলেছি যদি কোনো দুর্নীতি থাকে তাহলে কড়া পদক্ষেপ নিতে। মূলত বিরোধী দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেই চক্রান্ত চালানো হচ্ছে। অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন, বলে দাবি করেন তিনি।

এ নিয়ে আবার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, “তৃণমূলের ওপর স্তর থেকে নিচের স্তর পর্যন্ত প্রতিটি নেতা দুর্নীতির পাহাড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। জেলা সভাধিপতি স্বয়ং জেলার একাধিক জমি নিয়ে দুর্নীতি করেছেন। পাট্টা দেওয়ার বিনিময়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাই সঠিক তদন্ত করে অতি দ্রুত ওই পদ থেকে সরানো উচিত রিক্তা কুণ্ডুকে।

আরও পড়ুন: Child Death: জ্বর আর শ্বাসকষ্ট, ২৪ ঘণ্টায় পরপর ৬ শিশুর মৃত্যু হাসপাতালে