Handloom Of Bengal: তাঁত শিল্পে প্রাণ প্রতিষ্ঠা, বীরেন বসাকের মুকুটে নতুন পালক

Handloom Of Bengal: “বাংলার নকশার নিজস্বতা স্বীকৃতি পাচ্ছে, এতে আমরা খুশি। ঐতিহ্যের সঙ্গে সমসাময়িকতার মিশ্রণে নতুন রঙ, নতুন নকশা তৈরিতে শিল্পীদের আরও সহযোগিতা করব এবং তাঁদের উৎসাহ দেব”

Handloom Of Bengal: তাঁত শিল্পে প্রাণ প্রতিষ্ঠা, বীরেন বসাকের মুকুটে নতুন পালক
পদ্মশ্রী বীরেন বসাক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 29, 2021 | 11:39 PM

নদিয়া: চাকা ঘুরছে। অচল থেকে সচলের পথে অর্থনীতি। ধুঁকতে থাকা তাঁত শিল্পে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে জীবন ও জীবিকার পথে আলোর সন্ধান দিলেন, নিজে হলেন ‘সূর্যবলয়’। জাতীয় পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছেন আগেই। রয়েছে শন্ত কবীরের মতো জাতীয় পুরস্কারের সম্মানও।  এবার পদ্মশ্রী ‘তাঁত সম্রাট’ বীরেন বসাকের মুকুটে নতুন পালক। বস্ত্র মন্ত্রালয়ের তরফে সম্প্রতি মার্কেটিং অব হ্যান্ডলুম প্রোডাক্টসের (২০১৯) জাতীয় পুরস্কারের যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে, সেখানে জ্বল জ্বল করছে ফুলিয়ার বিখ্যাত তাঁতি বীরেন বসাকের নাম। গোটা দেশে মাত্র ২ জনকে এই সম্মানে সম্মানিত করেছে বস্ত্র মন্ত্রক। প্রথমজন আলাউদ্দিন আনসারি এবং দ্বিতীয় ব্যক্তিই বীরেন বসাক। বাংলা থেকে একমাত্র বীরেনবাবুই এই সম্মানে সম্মানিত হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, ডিজাইন ডেপলপমেন্টেও (২০১৮) পুরস্কৃত হচ্ছেন তিনি। বাংলা থেকে তাঁতের নকশার উপর পুরস্কৃত হয়েছে রাজ্য সরকারি সংস্থা তন্তুজও।

উল্লেখ্যনীয়, এবার জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন বীরেন বসাকের ঘরানার আরও ৪ তাঁতি। জামদানি শাড়ি বুনে এই নিয়ে পরপর দ্বিতীয়বার জাতীয় সম্মান পাচ্ছেন নদিয়ার সঞ্জিত সরকার। মসলিন কাপড়ের উপর জামদানি বুনে পুরস্কৃত হচ্ছেন জ্যোতিষ দেবনাথও।

ঐতিহ্যের বালুচুরি বুনে জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন চন্দন দে। এছাড়াও বাংলার নাম উজ্জ্বল করে পুরস্কারের ঝুলিকে আরও সমৃদ্ধ করেছেন অপর্ণা জোয়ারদার, সুনীল বিশ্বাসের মতো তাঁত শিল্পীরা।

বাংলার তাঁত শিল্পে বীরেন বসাক নিঃসন্দেহে একটি প্রতিষ্ঠান। তাঁর এই সম্মানপ্রাপ্তি যে যথাযোগ্য, তা এক কথায় স্বীকার করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রালয়ের আধিকারিক রাজেশ চ্যাটার্জি। তাঁর কথায়, “বীরেন বসাক সনামধন্য শিল্পী। এর আগেও জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। গত বছর সম্মানিত হয়েছেন পদ্মশ্রী পুরস্কারে। ওনার নিজস্ব ডিজাইন টিম রয়েছে, তিনি, অনেকের কর্মসংস্থান করে দিয়েছেন। বাংলার তাঁত শিল্পে তাঁর অবদান অনেক।”

তন্তুজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রবীন্দ্রনাথ রায়ের কথায়, “বাংলার নকশার নিজস্বতা স্বীকৃতি পাচ্ছে, এতে আমরা খুশি। ঐতিহ্যের সঙ্গে সমসাময়িকতার মিশ্রণে নতুন রঙ, নতুন নকশা তৈরিতে শিল্পীদের আরও সহযোগিতা করব এবং তাঁদের উৎসাহ দেব”। শিল্পী বীরেন বসাক এই কৃতিত্ব স্থাপনকে শুধুমাত্র নিজের নজির হিসেবে দেখছেন না। এই সাফল্যে গোটা বাংলার তাঁত শিল্পের উন্নতি হবে বলেই মত তাঁর।

আরও পড়ুন: পদ্মবিভূষণ পাচ্ছেন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, ৭ বাঙালির নাম পদ্মশ্রী প্রাপকের তালিকায়