‘মুখ্যমন্ত্রীর বিজেপিতে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা,’ কটাক্ষ সূর্যকান্ত মিশ্রের

'মে মাসের ২২ তারিখের মধ্যে মমতা ব্যানার্জিকে নবান্ন ছেড়ে চলে যেতে হবে,' মন্তব্য সূর্যকান্ত মিশ্র (Surjya Kanta Mishra)'র

'মুখ্যমন্ত্রীর বিজেপিতে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা,' কটাক্ষ সূর্যকান্ত মিশ্রের
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Feb 22, 2021 | 7:12 PM

পূর্ব বর্ধমান: আগামী মে মাসেই নবান্নে শেষ দেখা যাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)’কে। তারপর তাঁকে নবান্ন ছেড়ে চলে যেতে হবে। সোমবার বর্ধমানের এক স্মরণসভা থেকে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র (Surjya Kanta Mishra)।

২০১২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘীতে খুন হন সিপিএম নেতা প্রদীপ তা ও কমল গায়েন। আজ তাঁদের স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য অমল হালদার, সিপিএম জেলা সম্পাদক অচিন্ত মল্লিক-সহ সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের মন্তব্য, ‘মে মাসের ২২ তারিখের মধ্যে মমতা ব্যানার্জিকে নবান্ন ছেড়ে চলে যেতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯ সালে দ্বিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল, কিন্তু এই নির্বাচনে তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে যে শক্তি একত্রিত হচ্ছে তা দেখে তাদের (তৃণমূল ও বিজেপির) কপালে ভাঁজ পড়েছে। এখন মুখ্যমন্ত্রীর বিজেপিতে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।’ কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের।

এর আগেও সূর্যবাবু দাবি করেন, বিধানসভা ভোটের ফল ত্রিশঙ্কু হলে বিজেপি (BJP)’র সঙ্গেই জোট করবেন তৃণমূল নেত্রী (TMC Supremo)। এদিন সেই প্রসঙ্গকে আরও এক কদম এগিয়ে নিয়ে গিয়ে সূর্যকান্তের কটাক্ষ, মমতাও বিজেপিতে চলে যাবেন। তাঁর অভিযোগ, আগামী ২৮ তারিখ বামেদের ব্রিগেড থেকে সবার নজর ঘোরাতে এবং কোনও সংবাদমাধ্যম যাতে বামেদের সভার প্রচার করতে না পারে তার জন্য ওই একইদিনেই মোদী-মমতা সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে মানুষের নজর এভাবে ঘোরানো যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

একুশের ভোটে বাংলাকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। বারবার কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের বঙ্গ সফর লেগেই আছে। এই প্রেক্ষিতে সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের কটাক্ষ, আদিবাসী ও দলিত বাড়িতে খাবার খেতে যাওয়া আসলে অমিত শাহদের নাটকের অংশ। বলেন, দেশে গান্ধী হত্যাকারী নাথুরাম গডসের মূর্তি গড়া হচ্ছে। আর যিনি রামরাজ্যে তৈরির কথা বলেছেন, সেই গান্ধীজিকে অপমান করা হচ্ছে।