পূর্ব বর্ধমান: বাড়ি বাড়ি পৌঁছবে পানীয় জল, বসবে পানীয় জলের ট্যাপ কল। তারপর সেই গ্রাম হবে ‘সজল গ্রাম’। এমনটাই কথা। কিন্তু প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছনোর আগেই ‘সজল গ্রাম’ হয়ে গিয়েছে কেতুগ্রাম-২ ব্লকের সীতাহাটি পঞ্চায়েতের শাখাই। যা নিয়ে জোর তরজা চলছে। পঞ্চায়েত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগে শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব। অভিযোগ, রাতারাতি শাখাইকে সজল গ্রাম ঘোষণা করা হয়েছে। গ্রামজুড়ে লাগানো হয়েছে হোর্ডিং। কিন্তু সব বাড়িতে জলের ব্য়বস্থা কোথায়, উঠছে প্রশ্ন।
স্থানীয় পঞ্চায়েতের বক্তব্য, জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ থেকে এই হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তাদের কিছু জানানোই হয়নি। ব্লকের জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের পাল্টা বক্তব্য, প্ৰধানের সম্মতিতে তার সইয়ের পরই সজল গ্রাম ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনাকে সামনে রেখে শুরু রাজনীতির কচকচানিও।
বিজেপির দাবি, কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে। অথচ এসব চলছে। কেন্দ্রকে তা জানানো হবে। স্থানীয় বিজেপি নেতা অরবিন্দ দে বলেন, “এখানে সব বাড়িতে জল নেই। অথচ সজল ধারা বোর্ড লাগানো হয়ে গেল গ্রামে। কেন্দ্রের সরকারের টাকা নয়ছয় করছে। আমরা জানাব এটা।”
ব্লক জনস্বাস্থ্য আধিকারিক হায়দার আলি বলেন, “সজল গ্রামের প্রথম সইটা কিন্তু প্রধানই করেছেন। কানেকশন বাকি আছে সেটা আমি জানি। কিছু বাড়িতে জল পড়ে না, সেটাও শুনেছি। ওখানে আলাদা করে মিনি প্রজেক্টও করা হবে।” কিন্তু রাতারাতি গ্রামময় হোর্ডিং কারা লাগাল? হায়দার আলি বলেন, তাঁরা জানেন না। সাবডিভিশন থেকে এজেন্সি মারফত করা হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
উপপ্রধান প্রবীর দাস বলেন, “দিনেরবেলা এসেছিল হোর্ডিং লাগাতে। বলল এজেন্সির লোক। আমি আবার বলি, সব বাড়িতে জল নেই। এই বোর্ড লাগাতে না। এরপর রাতের অন্ধকারে এসে লাগিয়ে চলে গিয়েছে। এটা পিএইচই করেছে। সব বাড়িতে জল না গেলে এই হোর্ডিং তো লাগানো যায় না।”