Jamalpur: এ কী রোগ এল! বমি, পায়খানায় হয়রান হয়ে দলে দলে ছুটছেন হাসপাতালে!

Manatosh Podder | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jun 02, 2024 | 9:17 PM

Diarrhea: স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ২৮ মে থেকেই ওই গ্রামে ডায়ারিয়া বা আন্ত্রিকের প্রকোপ দেখা দেয়। ঘরে ঘরে বমি, পায়খানা। বয়স্করা কাবু হয়ে পড়েন দ্রুত। এদিকে তখন রেমালের দাপটে দুর্যোগ। তারমধ্যেও গ্রামের লোকজনকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটাছুটি চলে। সূত্রের খবর, মোট ৩২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।

Jamalpur: এ কী রোগ এল! বমি, পায়খানায় হয়রান হয়ে দলে দলে ছুটছেন হাসপাতালে!
ভারপ্রাপ্ত বিএমওএইচ চন্দন মজুমদার।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

পূর্ব বর্ধমান: গ্রামজুড়ে ডায়ারিয়ার প্রকোপ। পেটের গোলমাল, বমি-সহ ডায়ারিয়ার নানা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ প্রায় ১০০ জন গ্রামবাসী। এলাকার লোকজনের দাবি, একজনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের পাঁচড়া গ্রামে এখন আতঙ্কের পরিবেশ। চিকিৎসকদের নজরে গ্রামের একটি পুকুর।

স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ২৮ মে থেকেই ওই গ্রামে ডায়ারিয়া বা আন্ত্রিকের প্রকোপ দেখা দেয়। ঘরে ঘরে বমি, পায়খানা। বয়স্করা কাবু হয়ে পড়েন দ্রুত। এদিকে তখন রেমালের দাপটে দুর্যোগ। তারমধ্যেও গ্রামের লোকজনকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটাছুটি চলে। সূত্রের খবর, মোট ৩২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।

সন্ধ্যা রায় নামে ৫৪ বছরের এক মহিলার মৃত্যু হয়। জামালপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বর্ধমান নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান তিনি। গ্রামবাসীদের দাবি, ডায়ারিয়াতে মারা গিয়েছেন তিনি। যদিও ভারপ্রাপ্ত বিএমওএইচ চন্দন মজুমদার জানান, “আমাদের আশা কর্মী, মেডিক্যাল অফিসার, এমার্জেন্সি মেডিক্যাল টিম সবই গ্রামে পাঠানো হয়েছে। জলও পাঠানো হয়েছে। সংক্রমণ একটা ছিল, তবে তা কমেছে। ফুড সেফটি অফিসার, বিডিও, ওসি এসেছিলেন।”

গ্রামে বিভিন্ন জায়গায় জল জমে থাকার কারণে মাছি দেখা গিয়েছে। মাছিবাহিত বা ভেক্টরবাহিত রোগ হতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। ৩২ জন হাসপাতালে ভর্তি হলেও ১৪ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলছেন বিএমওএইচ। আর সন্ধ্যা রায়ের মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রোগী স্থিতিশীলই ছিলেন। তাঁকে ডিসচার্জও করার পরিকল্পনা ছিল। এই অবস্থায় রোগীর আচমকাই শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা শুরু হয়। এমার্জেন্সি হিসাবে যা যা মেডিক্যাল সাপোর্ট দেওয়া দরকার ছিল, দেওয়াও হয়। তবে দুর্ভাগ্যজনিত কারণে বর্ধমানে উনি মারা যান। কার্ডিও রেসপিরেটরি ফেলিওর হয়ে যায়।”

Next Article